একটি নম্বর ৯৯৯ মনে রাখুনঃ নির্যাতিতা গৃহকর্মীকে উদ্ধার করল পুলিশ

Remember the number 999: The police rescued the abused domestic worker

একটি নম্বর ৯৯৯  মনে রাখুনঃ নির্যাতিতা গৃহকর্মীকে উদ্ধার করল পুলিশ

নীলফামারি সংবাদদাতাঃ

একটি নম্বর মনে রাখুন সবসময়। সকল বিপদে।।  সরাসরি পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত জাতীয় পর্যায়ের এই সেবাটি ইতোমধ্যে গণমানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করেন যে ৯৯৯ কল করে তারা সেবা পেয়েছেন।  সম্প্রতি, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে নির্যাতনের শিকার গুরুতর জখম ১২ বছরের এক শিশু গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ । নভেম্বর  ৩০,২০২০ইং সোমবার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর গ্রামের নিজ বাড়ি হতে ওই গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়, শিশুর পরিবার ও প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, শিশুটির শরীরের গোপনাঙ্গের ক্ষত মারাত্মক হওয়ায় তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও সেল (ওসিসি) ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

একটি নম্বর মনে রাখুন সবসময়। সকল বিপদে।।  সরাসরি পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত জাতীয় পর্যায়ের এই সেবাটি ইতোমধ্যে গণমানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করেন যে ৯৯৯ কল করে তারা সেবা পেয়েছেন।

শিশুটির নাম আঁখি মনি। তার দরিদ্র পিতা এলাকার তালিকাভূক্ত ভিক্ষুক।  বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর গ্রামে।

মেয়েটির  মা শিরিনা খাতুন অভিযোগে জানান, ডালিম চন্দ্র রায় নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার মেয়ে দুই বছর থেকে গৃহকর্মীর কাজ করত রংপুর শহরের আদর্শপাড়ার ডেন্টাল ডাক্তার কান্তা এবং রেজাউল বারী দম্পতির বাসায়। রেজাউল বারী সরকারি চাকরি করেন নওগাঁয়। শনিবার ডালিম চন্দ্র রায় আমাকে নিয়ে যান রংপুরের ডেন্টাল ডাক্তাের নিকট। সেখানে তারা আমাকে জানায়- আমার মেয়ে টাকা চুরি করেছে। তাই তারা তাকে আর বাসায় রাখবে না।

তিনি জানান, এ সময় তার মেয়ে সেখানে বলে সে টাকা চুরি করেনি। তবুও বাড়ির লোকজন তাকে শারীরিক নির্যাতন ও গোপনাঙ্গে গরম ছ্যাঁকা দিয়েছে। এ সময় তারা ৩০০ টাকার একটি সাদা স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নিয়ে মেয়েকে আমার হাতে তুলে দেন। আমি মেয়েকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসি। এখানে এসে মেয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীকে ডেকে বিস্তারিত জানাই। একই গ্রামের নুরউদ্দিন জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিস্তারিত খুলে বলি। এরপর কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ এসে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. সাবির হোসেন সরকার জানান, শিশুটির সারা শরীরে ও তার গোপনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন মারাত্মক। তাই কাল বিলম্ব না করে পুলিশের মাধ্যমে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও সেল (ওসিসি) ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সাংবাদিকেরা  মোবাইলে কান্তা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান, মেয়েটি টাকা চুরি করেছে। ওর মাকে ডেকে আনলে মেয়েটির মা তাকে মেরেছে আমরা মারিনি বা নির্যাতন করিনি।

তবে নির্যাতনের শিকার আঁখি মনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে- ওই ডাক্তার, ডাক্তারের স্বামী রেজাউল বারী, তার মা খালেদা বেগম তাকে নির্যাতন করে ও প্রস্রাবের স্থানে গরম ছ্যাঁকা দেয়। কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুল হক বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে আঁখি মনি নামের মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও থানায় একটি জিডি ও করা হয়েছে। মেয়েটিকে রংপুর জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক  রংপুর মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও সেল (ওসিসি) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  পরবর্তীতে উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

ক্রাইম ডায়রি // জেলা