আশংকা থাকার পরও পরমানু যুদ্ধ চায়না রাশিয়া

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ জানান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েভ ইউনিয়ন নেতাদের বিবৃতির ব্যাপারে সমঝোতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। যে বিবৃতিতে তৎকালীন নেতারা বলেছিলেন, পরমাণু যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না। আর এমন যুদ্ধ কখনোই হওয়া উচিত নয়। 

আশংকা থাকার পরও পরমানু যুদ্ধ চায়না রাশিয়া
ছবি-অনলাইন হতে সংগৃহীত
আমি তাদেরকে কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে তুলতে চাই না। তবে এখানে অনেকেই আছে তারা এমনটা (পরমাণু যুদ্ধ) চায়। তাই এটা গুরুতর শঙ্কা, এটাকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না।’
প্রকৌশলী আয়াতুস সাইফ মুন, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়া যদি পরমানু যুদ্ধ কামণা করেনা তবে এবার বাধ্য হবে কিনা এ নিয়ে রয়েছে সংশয় চিন্তাবিদদের মনে। পরমাণু যুদ্ধ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এমনটাই মনে করে রাশিয়া। তাই, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য পরমাণু শক্তিধর দেশের সাথেই সমঝোতা চায় রাশিয়া।
এপ্রিল ২৫,২০২২ইং  মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এসময় এই রুশ কর্তা সতর্ক করে জানান, পরিস্থিতির অবনতি বলছে পরমাণু যুদ্ধ হতে পারে এবং এটা গুরুতর হুমকি। তিনি, ‘এটাই আমাদের মূল অবস্থান।’ তারপরও ল্যাভরভ পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কার বিষয়ে বলেছেন, ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি তাদেরকে কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে তুলতে চাই না। তবে এখানে অনেকেই আছে তারা এমনটা (পরমাণু যুদ্ধ) চায়। তাই এটা গুরুতর শঙ্কা, এটাকে অস্বীকার করা যাচ্ছে না।’
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ জানান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েভ ইউনিয়ন নেতাদের বিবৃতির ব্যাপারে সমঝোতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। যে বিবৃতিতে তৎকালীন নেতারা বলেছিলেন, পরমাণু যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হয় না। আর এমন যুদ্ধ কখনোই হওয়া উচিত নয়। 
 
ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে সমঝোতা না হলেও তার উত্তসূরী জো বাইডেন রাশিয়ার সাথে এ বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। ২০২১ সালে পুতিনের সাথে এক সম্মেলন শেষে একটা ঘোষণাও দিয়েছিলেন বাইডেন। যৌথ বিবৃতিতে, চিন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যও এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছিলেন। 
ক্রাইম ডায়রি/ আন্তর্জাতিক