আদালতে প্রাঙ্গনে হঠাৎ অসুস্থ সাবেক এসপি বাবুল আক্তার: পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ

অসুস্থতার কারনে বাবুল কারাগারে ফেরার পথে  প্রিজনভ্যানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে কারাগারে করে নেওয়ার দাবি করেন। প্রিজনভ্যানের পরিবর্তে মাইক্রোবাসে করেই তাকে ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

আদালতে প্রাঙ্গনে  হঠাৎ অসুস্থ সাবেক   এসপি বাবুল আক্তার: পেছাল  সাক্ষ্যগ্রহণ
ছবি-ক্রাইম ডায়রি

তখন অন্য মামলার কার্যক্রম চলছিল। তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে বেঞ্চে শোয়ানো হয়।

 চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:

বহুল আলোচিত সাবেক এসপি বাবুল আক্তার এর স্ত্রী মিতু হত্যাকান্ডে অন্যতম আসামী স্বামী বাবুল আক্তার আদালত প্রাঙ্গনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারনে চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সোমবার হয়নি। নির্ধারিত দিনে মামলার অন্যতম আসামি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে সোমবার সকালে আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। চট্টগ্রাম মহানগরীর তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এ মামলার বিচার কাজ চলছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী নেছার আহমেদ।

ক্রাইম ডায়রির আদালত প্রতিবেদক সুত্রে জানা গেছে,   সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে সোমবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বাবুল আক্তারকে আদালত কক্ষে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে বসানো হয়। তখন অন্য মামলার কার্যক্রম চলছিল। তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাকে বেঞ্চে শোয়ানো হয়।

সেখানে পুলিশ ও স্বজনরা তাকে প্রাথমিক সেবা দেন। তার অসুস্থতার কারণে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ১৫ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। অসুস্থতার কারনে বাবুল কারাগারে ফেরার পথে  প্রিজনভ্যানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে কারাগারে করে নেওয়ার দাবি করেন। প্রিজনভ্যানের পরিবর্তে মাইক্রোবাসে করেই তাকে ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে এ মামলার অন্যতম আসামি হন বাবুল আক্তার।

ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম/ আদালত