ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার টাকা তদারকির পরামর্শ দিল হাইকোর্ট

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১ কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বিচারিক আদালতের পেশকার ইমামউদ্দিনের ২৩ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার টাকা তদারকির পরামর্শ দিল হাইকোর্ট
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

৫৪টি জাল চালান তৈরি করে এই টাকা আত্মসাৎ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট পেশকার ইমাম উদ্দিন

মোঃ শাহাদাৎ হোসেনঃ

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সারা দেশে যে টাকা আদায় করা হয় সেই  জরিমানার অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ঠিকভাবে জমা হচ্ছে কিনা, তা তদারকি করতে প্রতিটি মাননীয় জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে পরামর্শ দিয়েছেন মহামান্য  হাইকোর্ট।

একটি মামলাকে কেন্দ্র করে গভীর পর্যবেক্ষণ করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার অর্থ নিয়ে এক রায়ে এমনই একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১ কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বিচারিক আদালতের পেশকার ইমামউদ্দিনের ২৩ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালত তার সহযোগী আসামি কমলা আক্তারকে খালাস দিয়েছেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৭৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। এসব আদালত পরিচালনা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আদায় হয়েছিল। এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়নি। ৫৪টি জাল চালান তৈরি করে এই টাকা আত্মসাৎ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট পেশকার ইমাম উদ্দিন।

তদন্তে ধরা পড়ার পর কিছু টাকা পরবর্তীতে জমা দিয়েছে এবং টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে। এতে সহযোগী ছিল তার স্ত্রী সহকারী কমলা আক্তার। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করলে সেই মামলার তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হয়।

ক্রাইম ডায়রি / আদালত