ফিরে দেখাঃ মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে কোরআন অবমাননার সত্যতা পাওয়া যায়নি

Looking back: The Human Rights Commission's investigation found no evidence of blasphemy against the Qur'an

ফিরে দেখাঃ মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে কোরআন অবমাননার সত্যতা পাওয়া যায়নি

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

গুজবে বাঙালী,হুজুগে বাঙালী।।।  অবশেষে, প্রমাণিত হতে যাচ্ছে যে, লালমনিরহাটের ভিকটিম ধর্ম অবমাননাকারী নন। বরং, তাকে হত্যার পিছনে কারো হাত আছে কিনা বা কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। জমিজমা হতে নারী, কাঠমোল্লাদের বাড়াবাড়ি সবকিছুই  তদন্তে আসা উচিত। তবে, বাংলাদেশ  মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে ইতোমধ্যে বেড়িয়ে এসেছে যে তিনি কাঠমোল্লাদের বাড়াবাড়ি রকমের আক্রোমনের শিকার।।। স্থানীয় ইমাম এমনটিই বলেছেন। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে নিছক গুজব ছড়িয়ে জুয়েলকে (৫০) হত্যা করা হয়েছে।  সেখানে কোরআন অবমাননার সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জাতীয় মানবধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত টিমের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবির। 

নভেম্বর  ০১,২০২০ইং  ঘটনার তদন্তে এসে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্নজনের সাক্ষ্য নেয়ার পর এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় ওই টিমের সদস্য সচিব জাতীয় মানবধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত টিমের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, টিমের সদস্য লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পি এম রাহসিন কবির ও লালমনিরহাটের সিনিয়ন সহকারী পুলিশ সুপার তাপস সরকার উপস্থিতি ছিলেন। 

একই দিন সকাল ১০ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত টিম।  ওই সময় বুড়িমারী ডাক বাংলোতে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, জনপ্রতিনিধি, থানার ওসি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন জনের পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষ্য নেয়া হয়। 

বিকালে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ডাকবাংলো থেকে বেড়িয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাবে জাতীয় মানবধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত টিমের পরিচালক আল মাহমুদ ফাউজুল কবির বলেন, ‘আমরা মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেছি।  এতে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, মৃত জুয়েল কোরআন অবমাননা করেনি।  নিছক গুজব ছড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। 

ঢাকা গিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 
উল্লেখ্য,  গত বৃহস্পতিবার রংপুর থেকে আসা সহিদুন্নবী জুয়েল বুড়িমারী কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদে ‘কোরআন অবমাননা’ করেছে বলে গুজব ছড়ানো হয়।  গুজবে কান দিয়ে শত শত লোক সেখানে জড়ো হতে থাকে।  পরে তাকে উত্তেজিত জনতা রংপুরের বাসিন্দা সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

ক্রাইম ডায়রি //জাতীয়