লাশ চেনার কোন উপায় নেইঃ গণজানাজা বরগুনায়

লাশের সারি বরগুনায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গণ কবর দেয়ার জন্য গণ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লাশ চেনার কোন উপায় নেইঃ গণজানাজা বরগুনায়

বরগুনা সংবাদদাতাঃ

There is no way to identify the body in the mass janaza in Barguna

লাশ এতটাই পুরে গেছে যে শনাক্ত করার কোন উপায়ই নেই। আগুনে পুরে যাওয়া অভিযান-১০  লঞ্চে নিহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা। এর মধ্যে পাঁচজনকে শনাক্ত করে লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনরা। তবে ৩২ লাশ শনাক্ত করার মতো অবস্থায় না থাকায় ডিএনএ রেখে গণজানাজার মাধ্যমে দাফন করেছে জেলা প্রশাসন।

বরগুনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার বেলা ১১টায় বরগুনা সার্কিট হাউজ কেন্দ্রীয়  ঈদগাহ্ মাঠে সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

ঝালকাঠি থেকেই বরগুনার চারটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ঝালকাঠি থেকে ৩৩ লাশ বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সদর উপজেলার নলটোনা গ্রামের এক যাত্রীর লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা।

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, সুগন্ধা ট্র্যাজেডিতে নিহত এবং আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বরগুনার নাগরিক। ইতোমধ্যে পাঁচ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানাজার মাঠে আরও একজনকে শনাক্ত করে তার পরিবার। তাই তাদের মাঠেই লাশ হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ৩২টি মরদেহ শনাক্ত করার মতন অবস্থায় না থাকায় সম্মিলিত জানাজার মাধ্যমে পোটকাখালিতে লাশ দাফন করা হয়।

বরগুনা জেলা প্রশাসন লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার এবং আহতদের ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছে বলে জানা গেছে। 

ক্রাইম ডায়রি // জেলা