নারীদের জন্য বিশেষ এলাকা করা হচ্ছেঃ কক্সবাজারকে বিশ্বে নেতিবাচক করবেন না

কক্সবাজার নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হতে পারে। এই জায়গা বাংলাদেশের গর্ব। সমগ্র বিশ্ব বাংলাদেশকে যে কারনে চেনে তার মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম। আমরাই যদি নিজ ঘরকে অনিরাপদ বলে আন্দোলন করি তবে বিদেশীরা আসবে কেন ঝুঁকি নিয়ে?? একটু ভাবুন। সবার আগে দেশ।

নারীদের জন্য  বিশেষ এলাকা করা হচ্ছেঃ কক্সবাজারকে বিশ্বে নেতিবাচক করবেন না

Special area for women is being created: Do not make Cox's Bazar negative in the world

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

মেয়ে যেমনই হোক পাত্রপক্ষ এলে কিংবা গোপনেও খোঁজ নিলে ভাল প্রতিবেশীরা সুনাম করে। বিয়ে যাতে হয় এর জন্য চেষ্টা করে।  বিশ্বের অনেক দেশে পর্যটন এরিয়াকে যে কোন মূল্যে ভাল বলে প্রচার করে। গুম খুন ধর্ষন দেশের সবজায়গায় কমবেশি দুষ্ট লোকেরা করে থাকে। কারন দুষ্টের তো নির্দিষ্ট এলাকা নেই। ট্যুরিষ্ট স্পটগুলো শুধু এলাকাবাসীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটায়না বরং এটা দেশের রেমিট্যান্সকে সমৃদ্ধ করে।  সমগ্র বিশ্ব দেশকে চিনতে পারে ঐ একটা জায়গার নামে।

 এমন ঘটনা অনেক ঘটে নিরবে। কিন্ত কখনও এমন করে বয়কট প্রতিবাদ হয়না। হঠাৎই কক্সবাজার কেন টার্গেট হলো, ইস্যু হলো এটা নিয়ে ভাবতে হবে। গোয়েন্দা তৎপরতার দূর্বলতা নিয়ে বিশ্লেষণ করা দরকার।

তবুও আশার বানী হলো কক্সবাজারে জেলা প্রশাসন নারীদের জন্য আলাদা একটি সংরক্ষিত এলাকা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে বিবিসি বাংলা এই খবর প্রকাশ করেছে। 

ট্যুরিষ্ট স্পটগুলো শুধু এলাকাবাসীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটায়না বরং এটা দেশের রেমিট্যান্সকে সমৃদ্ধ করে।  সমগ্র বিশ্ব দেশকে চিনতে পারে ঐ একটা জায়গার নামে

বিবিসির খবর অনুসারে, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেছেন, কক্সবাজারে আসা শুধু নারী পর্যটকদের জন্য আলাদাভাবে কার্যক্রম চলছে।

যারা নারী পর্যটক বা পর্দানশীন নারী রয়েছেন, তাদের জন্য ১০০ বা ১৫০ ফিটের একটা সংরক্ষিত এলাকা করছি। যারা ইচ্ছুক হবেন বা স্বেচ্ছায় চাইবেন, তারা সেখানে গিয়ে পানিতে নামতে পারবেন। খুব তাড়াতাড়ি সেটি চালু করা হবে। 

সৈকতে নারীদের জন্য আলাদা ড্রেসিং রুম ও লকার রুম করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। কক্সবাজারে একজন নারীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সেখানকার নিরাপত্তায় বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ডিসেম্বর ২৪,২০২১ইং শুক্রবার বিকালে কক্সবাজারের হোটেল মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে আমাদের যদি এক-দুই মাস সময় লাগতে পারে তবুও  এসব বাস্তবায়ন করতে পারলে পর্যটনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

 বেড়াতে যাওয়া এক নারীকে অপহরণের পর একটি হোটেলে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে।  ঘটনার পর কক্সবাজারে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে , কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এখানে এতোটা খারাপ অবস্থা কিন্তু নয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ-সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করছে নিরাপত্তা প্রদানের। পাশাপাশি টুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। 

ক্রাইম ডায়রি // জাতীয়