বিইউএইচএস এর শিক্ষার্থীরা রাস্তায়: দাবী আদায় পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
বাডাসের সকল ব্যক্তির মুখোশ উন্মোচন করা হবে তাদের আসল উদ্দেশ্য এবং চরিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরা হবে। শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা কোনো বাধাই মেনে নিবে না এবং তাদের লক্ষ্য পূর্ণ করতে তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। সারাদেশের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহবান।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভবিষ্যত বর্তমানে এক অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, জমির মালিকানা সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট এবং আইনি নিশ্চিতকরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
মিরপুর সংবাদদাতা:
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস (BUHS) যথন যাত্রা শুরু করে তখন দেশবাসী আশ্বস্ত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি উজ্জল নক্ষত্রের মতো কিছু মেধাবী তৈরি করে সারাদেশে তাক লাগিয়ে দিবে। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই ইতোমধ্যে সেসব শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন নিয়ে শংকা দেখা গিয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীরা এখন ফাইনাল ইয়ারে পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবেকরা নিজের জীবনে শেষ সঞ্চয় দিয়ে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়তে পড়াচ্ছেন এখানে। অথচ কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব কোমলমতিদের ভবিষ্যৎ।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন যে, গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন দফায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সাথে আলোচনা এবং "শান্ত থাকার" জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই শান্তনার বার্তা এবং কাগজপত্রের ভিত্তিহীন আশ্বাস আর গ্রহণযোগ্য নয়। আন্দোলনকারীদের মতে, প্রশাসন এখনও তাদের কাছে কোনো ‘সলিড ডকুমেন্ট’ উপস্থাপন করেনি যা নিশ্চিত করবে, ৫.৫৭ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানাধীন এবং ইউজিসির কোনো আপত্তিও নেই। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া কয়েকহাজার শিক্ষার্র্থীর শিক্ষা জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ২৬ আগস্ট ২০২৫ সকাল ৯:৩০ এ তাদের চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। ৩৪ দিনের আন্দোলন শেষে, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়ের পাশাপাশি, আগামীকাল একটি কঠোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তাদের দাবি হচ্ছে টেকনিক্যাল মোড়ের ৫.৫৭ একর জমি, যা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা পূর্ণমাত্রায় তাদের অধিকার বলে ঘোষণা করা হোক।
শিক্ষার্থীদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী:
রাজধানীর টেকনিক্যালে রাস্তা ব্লক করে শিক্ষার্থীরা বাডাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে। জানা গেছে, PUSAB (পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
বাডাসের সকল ব্যক্তির মুখোশ উন্মোচন করা হবে তাদের আসল উদ্দেশ্য এবং চরিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরা হবে। শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা কোনো বাধাই মেনে নিবে না এবং তাদের লক্ষ্য পূর্ণ করতে তারা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য
আমরা যখন রাস্তায় নামেছি, তখন আমাদের বিজয় ছাড়া ঘরে ফেরার কোনো অপশন নেই।এই কথা বলেন আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী এক শিক্ষার্থী। তারা আরও উল্লেখ করেন, “আমরা ওই ক্যাম্পাস চাই, যেখানে আমরা ভর্তি হয়েছি, যেখানে আমরা ক্লাস করেছি, এবং যেখানে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মিত হচ্ছে। অন্য কোথাও আমাদের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে এক আন্দোলনে তারা রাজনৈতিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এবং সেসময় তারা শক্তিশালী প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল। আজকের আন্দোলনটি তাদের সেই পূর্ববর্তী আন্দোলনের অনুপ্রেরণা নিয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, এবং এখন তারা বাডাসের পতন ঘটানোর জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যত: উজ্জ্বল বা অন্ধকার?
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভবিষ্যত বর্তমানে এক অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, জমির মালিকানা সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট এবং আইনি নিশ্চিতকরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন একদিকে যেমন প্রশাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ভবিষ্যত সুরক্ষা নিয়েও একটি বড় আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
আন্দোলনকারীরা তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে একাধিকবার সতর্ক করেছে যে, তাদের প্রত্যেকের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা জানাচ্ছেন, "কাল আমরা সবকিছু পাবো, কিংবা সবকিছু হারাবো; এটি আমাদের সকলের চাওয়ার গভীরতা এবং উপস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।" তবে তারা প্রত্যয়ী, তাদের আন্দোলন স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে থেমে যাবে না এবং একে সফল করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীরা দৈনিক ক্রাইম ডায়রিকে জানিয়েছে, তারা নিজেদের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ ও অধিকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠেছে, যা শুধুমাত্র আন্দোলনকারীদের জন্য নয়, বরং দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দৈনিক ক্রাইম ডায়রি// ক্যাম্পাস










