সেই ওসি মনিরুলের সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুদক

দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রথম প্রতিরোধকারী ও জীবনদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পুলিশ। নিজদেশ সহ সারা বিশ্বে শান্তি রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে সুনাম অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অনিয়ম করলে কেউই ছাড় পাবেনা। তারই প্রকৃষ্ট উদাহরন অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হবার অভিযুক্ত একজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমানিত হলে তবেই তাকে দোষী বলা যাবে নচেৎ নয়।

সেই ওসি মনিরুলের সম্পদ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুদক
ছবি-প্রতীকি

মোঃ হেলাল উদ্দিনঃ

দেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানকারী দেশের প্রথম প্রতিষ্টান বাংলাদেশ পুলিশ। রাজারবাগ পুলিশ লাইনেই দেশের প্রথম জীবনদানকারী এবং প্রতিরোধকারী বাহিনী বাংলাদেশ পুলিশ। তাই এই বাহিনীর ইতিহাস ঐতিহ্য এবং বর্তমানের সাথে দেশের মান সম্মান ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এ বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অন্যায় বা অন্যায়ের চেষ্টা কখনও মেনে নেয়নি বাংলাদেশ পুলিশ। হাজার হাজার সৎ পুলিশ সদস্যর ভীরে বিশাল এই পরিবারে দু’একজন অসৎ থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকার রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য অনুসন্ধানের অনুমোদন ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে কমিশন।

সেপ্টেম্বর ৪,২০২২ রোববার  দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নিয়ামুল আহসান গাজীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে বলেন, রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অনুমোদন ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে দুদক।

গত ১৭ আগস্ট দুদকের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডলের সই করা এক চিঠিতে অনুসন্ধানের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

এদিকে ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩ মাসের মধ্যে ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২১ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

শুনানিকালে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে দুদক ইতিমধ্যে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে গত ১০ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সায়েদুল হক সুমন রিট আবেদনটি করেন। পরে হাইকোর্ট তাকে এ বিষয়ে দুদকে আবেদন জমা দিতে বলেন।

এরপর ১১ আগস্ট রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের রাজধানীতে আটতলা বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে চিঠি দেন সুমন।

ক্রাইম ডায়রি/ আইন শৃঙ্খলা