খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি

এক দুই তিন ডেস্কঃ

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরো ছয় মাস বৃদ্ধি করে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মুক্তির বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিত্সা গ্রহণ করবেন। এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দাখিলকৃত আবেদন এবং আইন ও বিচার বিভাগের আইনগত মতামতের আলোকে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১(১) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে দুটি শর্তে (বাসায় থেকে চিকিত্সা ও বিদেশ না যাওয়া) খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।

গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়। যার মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। এর আগেই খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুক্ষণ আগে খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে আসা এই আবেদনে অনুমোদন দেন। তবে এর আগে আইন মন্ত্রণালয়ও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছিল। করোনার কারণে গত ছয় মাস খালেদা জিয়ার পরিবার তার কোনো চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এই বিবেচনায় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বছরের পর বছর কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে, এখনো তিনি পুরোপুরি মুক্ত নন। গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে ফখরুল এ কথা বলেন। জাতিসংঘ কর্তৃৃক ২০০৭ সাল থেকে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উত্সাহিত করার জন্য প্রচলিত একটি বিশেষ দিন, যা প্রতি বছর ‘১৫ সেপ্টেম্বর’ পালিত হয়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, আহতদের সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল।