প্রতিপক্ষকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা : ইউপি সদস্য জেল হাজতে

জনসমাগম বেড়ে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মাদ সিদ্দিকুল রহমান ঘটনার সত্যতা যাছাই করার জন্য ইউপি সদস্য শরিফকে থানায় নিয়ে আসে।

 স.ম আব্দুস সাত্তার,জেলা প্রতিনিধি:

"চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে" সরকারের এই নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদক দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের অপচেষ্টা করতে গিয়ে ইউপি সদস্যের জেল হাজতে যাবার ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে,  সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের  নলছিয়া দড়ি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৪ নং ওয়ার্ডের থেকে  ইউপি সদস্য  এই শরিফুল ইসলাম নানামুখী অনিয়মের মাধ্যমে জনসেবার নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় একই গ্রামের তার প্রতিপক্ষ  জাহাঙ্গীরের পুত্র আরিফুলকে মাদকদ্রব্য দিয়ে  ফাঁসানোর জন্য  ঘৃণ্য তৎপরতা চালায়।

এরই ধারাবাহিকতায় অক্টোবর ১৪,২০২৩ইং গভীর রাতে সবার অজান্তেই  জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গোপনে ইয়াবা রেখে আসে। ইয়াবা রেখে ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম রায়গঞ্জ থানায় খবর দেন। এসময় পুলিশ  ইউপি মেম্বারের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরের বাড়ি হতে ইয়াবা উদ্ধার পুর্বক আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জাহাঙ্গীরের আটকের খবর নলছিয়া গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জাহাঙ্গীরকে মুক্ত করার জন্য রায়গঞ্জ  থানায় জড়ো হয়।

জনসমাগম বেড়ে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মাদ সিদ্দিকুল রহমান ঘটনার সত্যতা যাছাই করার জন্য ইউপি সদস্য শরিফকে থানায় নিয়ে আসে। ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসায় ইয়াবা দিয়ে জাহাঙ্গীরকে ফাঁসানো রহস্য বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দিয়ে ইউপি সদস্য শরিফকে জেল হাজতে প্রেরণ করে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকার জনসাধারন শংকিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনগন বলছেন,জনপ্রতিনিধির হাতে যদি জনগন নিরাপদ না থাকে তবে কোথায় যাবে জনগন।

রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মাদ সিদ্দিকুল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউপি সদস্যকে মাদকদ্রব্য আইনে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, থানা প্রশাসন ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় সর্বদাই জনগনের পাশে আছে।

ক্রাইম ডায়রি/ ক্রাইম