কমলগঞ্জে সাবেক হুইপের উপর বিদ্রোহী প্রার্থীর হামলা

সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যাক্ষ আব্দুস শহীদের হামলা ন্যাক্কারজনক। অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড নেতাদের আচরন এমন বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর।

কমলগঞ্জে সাবেক হুইপের  উপর বিদ্রোহী প্রার্থীর হামলা

Rebel candidate attacks former whip in Kamalganj

কমলগঞ্জ মৌলভীবাজার সংবাদদাতাঃ

হাইব্রিড এবং অনুপ্রবেশকারী নেতাকর্মীরা নিজেদের পক্ষে কোন সুবিধা পেলে জীবন দিয়ে দিবে এমন ভাব দেখায় কিন্তু দলের কোন নির্দেশ এলে তারা তা মানতে নারাজ। সোজা বিদ্রোহ করে বসে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিদ্রোহী প্রার্থীদের আচরন এমনই প্রমান করে। তবে একথাও ঠিক সব বিদ্রোহী প্রার্থীই এমন নয়। 

সম্প্রতি, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নে সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. আবদুস শহীদ এমপির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় তার ব্যক্তিগত সহকারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

জানুয়ারি ২,২০২২ইং রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়ন এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই  এমপির ছোটভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতেখার আহমেদের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ইমতিয়াজ আহমেদ বাদী হয়ে ৩৫ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

 
এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ শহীদ রাত সাড়ে ৯টায় ব্যক্তিগত গাড়ি ‘নোহা বক্সি’ নিয়ে মুন্সীবাজার যান। সেখানে তার ছোটভাই রহিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইফতেখার আহমেদ বদরুলের কার্যালয়ে বসেন। ছোটভাই এ সময় অফিসে না থাকায় তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন শহীদ। এ সময় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী জুনেল আহমেদ তরফদারের নির্দেশনায় তার সমর্থকরা অতর্কিতে হামলা চালায়।
এ সময় এমপির ব্যক্তিগত সহকারী ইমাম হোসেন সোহেলসহ পাঁচজন জখম হয়েছেন। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এরপরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আবদুস শহীদকে উদ্ধার করে ও আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

প্রধান অভিযুক্ত রহিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী ও অভিযুক্ত জুনেল আহমেদ তরফদার বলেন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এমপি উপাধ্যক্ষ ড. এম শহীদ প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলেন। তিনি কোনো হামলার নির্দেশও দেননি। বিক্ষুব্ধ লোকজন  এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, মামলায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ক্রাইম ডায়রি // জেলা/ রাজনীতি