দুদকের মুখোমুখি আর্থিক দুর্নীতির শীর্ষ গুরু পিকে হালদারের অনিন্দিতা

PK Haldar, the top guru of financial corruption facing the ACC, is innocent

দুদকের মুখোমুখি আর্থিক দুর্নীতির শীর্ষ গুরু পিকে হালদারের অনিন্দিতা

পিকে হালদার একটা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমের মহাট্রাজেডির নাম। রাস্ট্র যাদের বিশ্বাস করে গুরুত্বপুর্ন পদে বসায় তারা যদি ভক্ষকের ভুমিকায় আসে তবে তা অত্যন্ত দৃষ্টি কটু ও করুণ ব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশ।।  রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে লুটপাটের পর সেই অর্থ পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সহযোগী অনিন্দিতা মৃধাকে রিমান্ডে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ

পিকে হালদার একটা ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইমের মহাট্রাজেডির নাম। রাস্ট্র যাদের বিশ্বাস করে গুরুত্বপুর্ন পদে বসায় তারা যদি ভক্ষকের ভুমিকায় আসে তবে তা অত্যন্ত দৃষ্টি কটু ও করুণ ব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশ।।  রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে লুটপাটের পর সেই অর্থ পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) সহযোগী অনিন্দিতা মৃধাকে রিমান্ডে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফেব্রুয়ারী ৯ , ২০২১ইং মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিনে নেতৃত্বে একটি টিম অনিন্দিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গত ২১ জানুয়ারি সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সুকুমার ও তার মেয়ে অনিন্দিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেফতার করেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ায় গ্রেফতার করে ওই দিন দুপুর ২টার দিকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে পিকে হালদারের ২৫ ‘সহযোগীর। তালিকায় আছে  সুকুমার ও তার মেয়ে অনিন্দিতার উপর। প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা তদন্তে রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আর্থিক খাত থেকে আত্মীয়স্বজন চক্রের মাধ্যমে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেয়ার কারিগর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অফিসিয়াল তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। দুদক ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। 

কানাডায় অবস্থান করা পিকে হালদার পালিয়ে যাওয়ার পরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। দুদকের এই মামলার মুখে নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৯ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করে আইএলএফএসএল জানায়, আত্মসাত করা অর্থ ফেরত দিতে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আদালতের আশ্রয়ে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চাইছেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিকে হালদারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড (আইএলএফএসএল)। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  আদেশে আদালত বলেন, পিকে হালদার বিমান থেকে দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হেফাজতে নেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।  তিনি যাতে ‘নিরাপদে’ দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করতে পারেন সেজন্য পুলিশ প্রধান, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন আদালত।

পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় আবেদন করে দুদক। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলার নথি চায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। তাকে গ্রেফতারে আন্তর্জাতিক ভাবে চেস্টা করছে পুলিশ।

ক্রাইম ডায়রি/// ক্রাইম