সম্পাদকীয়--- মানবাধিকার লংঘনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে RAB এর সংবাদ সম্মেলন ও কিছু কথা

শিক্ষকের বেতের লাঠি যেদিন হতে নেই সেদিন হতে ছাত্র পাশ করছে কিন্তু মানুষ হচ্ছে না। পরিবার প্রধানের হাতে যেদিন হতে শাসনের লাঠি নেই ; সেদিন হতে সন্তুান বড় হচ্ছে মানুষ হচ্ছে কি? কঠোরতা ছাড়া শাসন দিয়ে আর যাই হোক ; মানব জাতীকে মানুষ বানানো এবং কন্ট্রোল করা অত সহজ নয়। এটা মানবজাতির প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য।আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় RAB এর সামান্য কঠোরতা হয়তো অনেকে মেনে নেননি। তাই বিশ্ব দরবারে প্রচারটা সেভাবেই চালিয়েছেন। মাদক বেঁচবে বেঁচুক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস কিংবা দূর্নীতিবাজ ওরা সমাজে থাকবে RAB তা দমনে চেষ্টা করতে গিয়ে প্রয়োজনে গুলি খেয়ে মরবে। জনগনের হয়ে কেন তারা অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করবে? এটাই তাদের দূর্নামের মূল কারন।। আর ভাল কাজ যা করেছে তা করুক, ওটা ধর্তব্যই নয়। ওটা কেন প্রচার হবে?

সম্পাদকীয়---  মানবাধিকার লংঘনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে RAB এর সংবাদ সম্মেলন ও কিছু কথা

অসংখ্য ভাল কাজ করে বিশ্ব দরবারে উদাহরন সৃষ্টি করেছে এই বাহিনী সেই ভাল কাজের জন্য স্বীকৃতি তো দুরের থাক;  কেউ কখনও সামান্য বক্তব্য ও দেয়নি। কিন্তু নিন্দাসূচক কথা বলে দেশের সেরা একটি বাহিনীকে হেয় করে নিজেদের ক্ষতিই আমরা করছি কিনা? তা ভেবে দেখা দরকার।

সম্পাদকীয়----

শিক্ষকের বেতের লাঠি যেদিন হতে নেই ; সেদিন হতে ছাত্র পাশ করছে কিন্তু মানুষ হচ্ছে না। পরিবার প্রধানের হাতে যেদিন হতে শাসনের লাঠি নেই ; সেদিন হতে সন্তুান বড় হচ্ছে মানুষ হচ্ছে কি? কঠোরতা ছাড়া শাসন দিয়ে আর যাই হোক; মানব জাতীকে মানুষ বানানো এবং কন্ট্রোল করা অত সহজ নয়। এটা মানবজাতির প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য।আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় RAB এর সামান্য কঠোরতা হয়তো অনেকে মেনে নেননি।

তাই বিশ্ব দরবারে প্রচারটা সেভাবেই চালিয়েছেন।  মাদক বেঁচবে বেঁচুক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস কিংবা দূর্নীতিবাজ ওরা সমাজে থাকবে RAB তা দমনে চেষ্টা করতে গিয়ে প্রয়োজনে গুলি খেয়ে মরবে। জনগনের হয়ে কেন তারা অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করবে? এটাই তাদের দূর্নামের মূল কারন।। আর ভাল কাজ যা করেছে তা করুক, ওটা ধর্তব্যই নয়। ওটা কেন প্রচার হবে? 

অসংখ্য ভাল কাজ করে বিশ্ব দরবারে উদাহরন সৃষ্টি করেছে এই বাহিনী সেই ভাল কাজের জন্য স্বীকৃতি তো দুরের থাক কেউ কখনও সামান্য বক্তব্য ও দেয়নি। কিন্তু নিন্দাসূচক কথা বলে দেশের সেরা একটি বাহিনীকে হেয় করে নিজেদের ক্ষতিই আমরা করছি কিনা তা ভেবে দেখা দরকার।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১০ ডিসেম্বর,,২০২১ইং  পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন বলেছেন, র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সত্য নয়। র‌্যাবের মতো মানবিকতা বিশ্বের খুব কম বাহিনীই দেখিয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে একটি চুরির ঘটনা উদঘাটন নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে র‌্যাবের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকেরা। 

জবাবে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, র‌্যাবের মতো মানবিকতা বিশ্বের খুব কম বাহিনীই দেখিয়েছে। র‌্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, মানবাধিকার রক্ষা করে। এখন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে যা কিছু জেনেছি, তার সবই গণমাধ্যম থেকে পাওয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানাবে।

তিনি জানান, মানবাধিকার রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‌্যাবের লে. কর্নেল আজাদসহ ২৮ জন জীবন দিয়েছেন। মানবাধিকার রক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে র‌্যাবের এক হাজারের অধিক সদস্যের অঙ্গহানি হয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখার জন্য দুই হাজারের বেশি সদস্য বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন।  যার সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার বলে তিনি জানান।

এই বাহিনীর হস্তক্ষেপে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন,  মাদকমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পারছি আমরা।  জঙ্গিবাদ দমনেও র‌্যাব কাজ করেছে। তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে। জলদস্যুদের ঘর বানিয়ে দিয়েছে, গরু দিয়েছে, সুস্থ জীবনে ফিরে আসার জন্য যা যা দরকার, সব করেছে র‌্যাব। বিশ্বের খুব কম বাহিনীই এত মানবিকতা দেখিয়েছে।  মহামারী করোনার সময় যখন ছেলে বাবাকে কিংবা বাবা ছেলেকে ফেলে গেছেন, তখন র‌্যাব হেলিকপ্টারে তাদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছে এমন সংবাদও আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছি। 

তবে প্রশ্ন এসেছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড নিয়ে।

RAB এর পক্ষ হতে বলা হয়েছে  মাদক ও জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে  প্রতিরোধের শিকার হয়ে যখন গুলি চালিয়েছে অপরাধীরা; শুধুমাত্র আত্নরক্ষায়  তখনই  গুলি চালিয়েছে তারা । গুলি বিনিময়ে অফিসার ও বিভিন্ন সদস্য শহীদও হয়েছেন। সেগুলো নিয়ে তদন্ত ও হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা আরও অধিকতর তদন্ত করতে পারেন কিন্তু দেশের ক্রান্তিলগ্নে গঠিত বাহিনী   RAB এর অসংখ্য ভাল কাজের নজীর লঘুপাপে গুরুদন্ডের মতো নিমিষেই ভুলে গেলে চলবেনা। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হলে অবশেষে কারোই কোন লাভ হবেনা। 

আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল 

সম্পাদক ও প্রকাশক 

ক্রাইম ডায়রি 

( জাতীয় সাপ্তাহিক, অনলাইন দৈনিক, অনলাইন টেলিভিশন ও অপরাধ গবেষণা) 

ক্রাইম ডায়রি // সম্পাদকীয়