সম্পাদকীয়- ঐক্যবদ্ধভাবে দেশপ্রেমের বিকল্প নেই

দেশের প্রতি প্রেমই শুধু পারে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে। আমরা যে দেশের গনতান্ত্রিক পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি অনুসরন করি বলে দাবী করি যদি সেই দেশের গণতন্ত্রকেও লক্ষ্য করি দেখা যাবে সরকার যেই আসুক না কেন বিরোধী দলের ভুমিকা খুবই ইতিবাচক।

সম্পাদকীয়- ঐক্যবদ্ধভাবে দেশপ্রেমের বিকল্প নেই

দেশের প্রতি প্রেমই শুধু পারে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে। আমরা যে দেশের গনতান্ত্রিক পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি অনুসরন করি বলে দাবী করি যদি সেই দেশের গণতন্ত্রকেও লক্ষ্য করি দেখা যাবে সরকার যেই আসুক না কেন বিরোধী দলের ভুমিকা খুবই ইতিবাচক। দেশপ্রেমের জায়গায় সবাই একাট্টা। উন্নয়ন বা অবনতি যেটাই যখন ঘটুক তা কারোই হাতে নেই। কেউ স্বেচ্ছায় চেষ্টা করেনা যে দেশের ক্ষতি হোক। সবাই ভালোটাই চায় । তবে বিপত্তি কিছু ঘটতে নিলেই আমরা বিরোধীতা কিংবা নিন্দা চর্চার প্রতিযোগীতায় অবতীর্ন হই।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হঠাৎ করে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার একটি খবরেই দেখা গেছে দেশপ্রেমের নমুনা। এই বুঝি গেল। কখন যাবে সেই প্রতিক্ষা। এরকম মন্তব্য কোন দেশপ্রেমিক জনতার হতে পারেনা। রসাতলে গেলে তো দেশই যাবে। আর সাফারার হবো মন্তব্যকারী সহ আমরা সবাই। তাই যে কোন অবস্থায় সমস্যাকালীন সময়ের সরকারকে সাপোর্ট দিয়ে দেশ বাচাতে এগিয়ে আসা দরকার।

ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে আমদানির অর্থ পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে এসেছে। উল্লেখ্য, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন আঞ্চলিক লেনদেনের জন্য আমদানি লেনদেন নিষ্পত্তি করে থাকে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আমদানি দায় শোধ করেছে। ফলে প্রায় দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা এটিকে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি না বললেও প্রাথমিকভাবে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন। সব মিলে রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা যে সন্তোষজনক নয়, এটি বলা যায়।

কাজেই এ ব্যাপারে এখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করি আমরা। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় বন্ধ করার পাশাপাশি রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়ানোর দিকে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। সরকার অবশ্য ইতোমধ্যেই বিলাসী সামগ্রী আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশ্বের মতো এদেশের অর্থনীতিও একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে। দেশের অর্থনীতিতে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে রিজার্ভ সংকট অন্যতম। রিজার্ভ সংকটের কারণে দেশে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রতিনিয়ত কমছে। একদিকে অর্থনীতির নানামুখী সমস্যা রিজার্ভ সংকট সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে রিজার্ভ সংকট।

 রপ্তানি  খাতে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। সেই সঙ্গে প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন শ্রমবাজার খোঁজার পাশাপাশি চলমান শ্রমবাজারগুলোয় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার উদ্যোগ নিতে হবে। অতীতে আমাদের অর্থনীতি নানামুখী প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক দুর্যোগ অতিক্রম করে এগিয়েছে।

দেশের পরিশ্রমী মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে কঠোর পরিশ্রম করে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। আশা করা যায়, শেথ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে  এবারও সব ধরনের প্রতিকূলতা অতিক্রম করা সম্ভব হবে।

আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেল, সম্পাদক ও প্রকাশক।