হাজি দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের আর্থিক দূর্নীতিঃ যৌন কেলেংকারী ও আর্থিক দূর্নীতির বিচারহীনতায় এমনটি ঘটছে বারংবার

Haji Danesh University Teacher Financial Corruption: This is happening again and again due to sexual scandals and lack of justice in financial corruption.

হাজি দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের আর্থিক দূর্নীতিঃ যৌন কেলেংকারী ও আর্থিক দূর্নীতির বিচারহীনতায় এমনটি ঘটছে বারংবার

সামান্য গুটিকয় কুলাঙ্গার এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সম্মানিত অভিভাবক শিক্ষক সমাজের মর্যাদায় আঘাত আসছে একের পর এক। সম্প্রতি যৌণ ও আর্থিক কেলেংকারীতে একজন শিক্ষকের চাকুরী হতে অব্যহতি ও শাস্তির দাবীতে প্রচন্ড আন্দোলন, মানববন্ধন হয়েছিল।  যে ঘটনায় মামলা হলে উচ্চ আদালতের তদন্ত কমিটি সত্যতাও খুঁজে পায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই শিক্ষককে চাকরি হতে অব্যহতি দেয়। যদিও সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা ও  আর্থিক কেলেংকারীর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। যা সোশাল মিডিয়া ও প্রথমসারির সকল পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায়  এসেছে। এরই মধ্যে নতুন করে আরেক শিক্ষকের আর্থিক দূর্নীতি সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছে সুশীল সমাজকে। সুত্রে জানা যায়, গবেষণা প্রকল্পের নামে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা ও দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

ক্লিন ইমেজের গবেষণাগার হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক (হাবিপ্রবি'র) শিক্ষকদের দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারীতা,যৌন কেলেংকারী ইত্যাদি যেন কমছেই না। সামান্য গুটিকয় কুলাঙ্গার এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সম্মানিত অভিভাবক শিক্ষক সমাজের মর্যাদায় আঘাত আসছে একের পর এক। সম্প্রতি যৌণ ও আর্থিক কেলেংকারীতে একজন শিক্ষকের চাকুরী হতে অব্যহতি ও শাস্তির দাবীতে প্রচন্ড আন্দোলন, মানববন্ধন হয়েছিল।  যে ঘটনায় মামলা হলে উচ্চ আদালতের তদন্ত কমিটি সত্যতাও খুঁজে পায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই শিক্ষককে চাকরি হতে অব্যহতি দেয়। যদিও সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা ও  আর্থিক কেলেংকারীর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। যা সোশাল মিডিয়া ও প্রথমসারির সকল পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায়  এসেছে। এরই মধ্যে নতুন করে আরেক শিক্ষকের আর্থিক দূর্নীতি সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছে সুশীল সমাজকে। সুত্রে জানা যায়, গবেষণা প্রকল্পের নামে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ.টি.এম রেজাউল হকের বিরুদ্ধে।

ইউজিসির অর্থায়নে পরিচালিত  'Production Structure and a comparison of profitability between wheat and maize grain production in northern part of Bangladesh' গবেষণা প্রকল্পে শ্রমিক ভাতা প্রদানে অনিয়ম করেছেন অধ্যাপক রেজাউল হক বলে জানা গেছে।   প্রকল্পটিতে ইউজিসি কর্তৃক অনুদানের শর্তাবলিতে প্রতিমাসে শ্রমিক ভাতা ৩,৫০০ (তিন হাজার পাঁচশত) টাকা তবে তা ২১,০০০ (একুশ হাজার) টাকার ঊর্ধ্বে নয় মর্মে উল্লেখ থাকলেও অধ্যাপক রেজাউল হক শ্রমিক ভাতা মাসিক ৬,০০০ (ছয় হাজার) টাকা হিসেবে মোট ৭২,০০০ (বাহাত্তর হাজার) টাকা প্রদান করেছেন। যা ওই গবেষণা প্রকল্পের জন্য ইউজিসির কর্তৃক প্রদত্ত শর্তাবলির পরিপন্থী। গণমাধ্যমের বরাতে আরও জানা যায়,  প্রকল্পে গবেষণা সহকারী হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী নিয়োগ দিয়েছিলেন অধ্যাপক রেজাউল হক।

বিল ভাউচার থেকে ওই শিক্ষার্থীর নাম জানা যায় মো. জাদ্দাম হোসেন। জাদ্দাম হোসেনকে গবেষণা সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বারোটি বিল ভাউচারে ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা করে মোট ১,২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা দিয়েছেন অধ্যাপক রেজাউল হক। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি যোগাযোগ করে একই বিভাগের চেয়ারম্যান এর সাথে।  হাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে  টিম ক্রাইম ডায়রি।  তিনি ক্রাইম ডায়রিকে বলেন, অর্থনীতি বিভাগে ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে মাস্টার্স  শিক্ষার্থী ভর্তি  হয়েছে, যাদের মধ্যে মো. জাদ্দাম হোসেন নামে কোন শিক্ষার্থী নেই। কিন্তু জাদ্দাম হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে গবেষণা সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে সম্মানী ভাতা বাবদ ১,২০,০০০ (এক লক্ষ বিশ) হাজার টাকা দিয়েছেন অধ্যাপক রেজাউল হক। যা সম্পুর্ন বে আইনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে অনিয়ম এবং অসঙ্গতির ব্যাপারে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এ.টি.এম রেজাউল হকের নিকট। তিনি ক্রাইম ডায়রিকে বলেন এটা অনিয়ম নয়,  বরং 'ভুল'।  আর সরলতা হতে এই ভূল হয়েছে।বিল জমা দিতে গিয়ে হয়তো ভুলটি হয়েছে। আসলে আমি গবেষণা প্রকল্পে শ্রমিক ভাতার সাথে অন্যান্য বিল যেমন ভ্রমণ ও যাতায়াত বিল এবং তথ্য সংগ্রহ ও ফিল্ড ওয়ার্ক করতে যে খরচ হয়েছে তার সবগুলো একসাথে খরচের হিসাবে দেখিয়ে দিয়েছি। এজন্যই শ্রমিক ভাতা ২১,০০০ টাকার স্থলে ৭২,০০০ টাকা হয়েছে। সময় নিউজের সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি সেই সাাংবাদিককেও তিনি এমনটি জানিয়েছেন। ইউজিসি যেখানে খাতওয়ারি আলাদাভাবে বাজেট বরাদ্দ করে দিয়েছে, সেখানে আপনি কেন একটি খাতেই অতিরিক্ত টাকা দেখিয়ে দিয়েছেন এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি অধ্যাপক রেজাউল হক। তাছাড়া  প্রকল্পের গবেষণা সহকারী হিসেবে মো. জাদ্দাম হোসেন নামে অর্থনীতি বিভাগের যে শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সে নামে অর্থনীতি বিভাগের কোন শিক্ষার্থী নেই তারপরও কেন এটা করা হয়েছে জানতে চাওয়া হলে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধ্যাপক রেজাউল হক জানান, আসলে মো. জাদ্দাম হোসেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আমি এটা কোথাও উল্লেখ করিনি।তবে, বেতন ভাউচারে মো. জাদ্দাম হোসেনকে কেনো অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বলে উল্লেখ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক রেজাউল হক বলেন, ওটা দ্বারা আমি বুঝিয়েছি প্রকল্পটি অর্থনীতি বিভাগের। তখন  অধ্যাপক রেজাউল হকের কাছে মো. জাদ্দাম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন নাম্বার চান সময় নিউজের  বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।  তখন তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

এই ঘটনার পর  প্রকল্পের নামে আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আই.আর.টি) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হয়।  তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অধ্যাপক রেজাউল হকের বিরুদ্ধে  আর্থিক অনিয়মের ব্যাপারটি খতিয়ে দেখেছি। এখানে অবশ্যই অনিয়ম হয়েছে। বিশেষ করে ইউজিসি কর্তৃক প্রকল্পের অনুদানের শর্তাবলি অনুযায়ী শ্রমিক ভাতা সর্বোচ্চ ২১,০০০(একুশ হাজার) টাকা দেবার কথা থাকলেও, উনি শ্রমিক ভাতা ৭২,০০০ টাকা দেখিয়েছেন। যা এই প্রকল্পের জন্য ইউজিসির কর্তৃক প্রদত্ত শর্তাবলীর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। একইসাথে তিনি সরকারের ভ্যাটও ফাঁকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে । আমি অভিযোগগুলো ইউজিসি কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়ে দেবো। ইউজিসি ওনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিম ক্রাইম ডায়রি।  ইউজিসি জানিয়েছে নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।।

ক্রাইম ডায়রি /// ক্রাইম //সুত্রঃ হাবিপ্রবি প্রেসক্লাব/ সরেজমিন// গণমাধ্যম