উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ : বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি হিসেবে তিনটি বিষয় তার সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরমধ্যে রয়েছে- অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বাহিনী সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ।

উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ : বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

তিনি বলেন, বিজ্ঞানীগণ ধারণা করছেন- অদূর ভবিষ্যতে মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রের সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। কিছু নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যেমন- মেশিন মানুষের কর্মক্ষেত্রকে সংকুচিত করবে, সস্তা শ্রমের চাহিদা কমে যাবে, অসমতা বৃদ্ধি পাবে এবং অভিবাসনকে উৎসাহিত করবে।

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের (ফোরআইআর) সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা। ডিসেম্বর ১১, ২০২১ইং শনিবার গণভবন থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে প্রযুক্তির সহজলভ্য ও পর্যাপ্ত হস্তান্তর নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে  তিনি আরও বলেন, সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন সময়োপযোগী নীতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিজেদের মতো করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা- যদি প্রযুক্তি সহজলভ্য এবং সহজে হস্তান্তরযোগ্য না হয়।’

বঙ্গকন্যা প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা আরও  বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সৃষ্টি করেছি। এক্ষেত্রে তিনি তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে কৃতিত্ব প্রদান করেন। তিনি বলেন,   আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই শিল্পোন্নয়নে (আইএসআইডি) কাজ করছি, ‘এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছি।   আমরা লক্ষ্য স্থির করে দেশ পরিচালনা করি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এখন আমরা ‘উদ্ভাবনী বাংলাদেশ’ এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি, সেটাই হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি হিসেবে তিনটি বিষয় তার সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরমধ্যে রয়েছে- অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বাহিনী সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ।

তিনি বলেন, বিজ্ঞানীগণ ধারণা করছেন- অদূর ভবিষ্যতে মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রের সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। কিছু নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যেমন- মেশিন মানুষের কর্মক্ষেত্রকে সংকুচিত করবে, সস্তা শ্রমের চাহিদা কমে যাবে, অসমতা বৃদ্ধি পাবে এবং অভিবাসনকে উৎসাহিত করবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমবে এবং প্রযুক্তিজ্ঞান ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়বে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো যার যার গতিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে, যদি প্রযুক্তি সহজলভ্য এবং সহজে হস্তান্তরযোগ্য না হয়।

২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে তার সরকার ধারাবাহিকভাবে শিল্পখাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সন্নিবেশসহ ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য কাজ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি অতিক্রম করেছে। শিগগিরই আমরা ৫জি নেটওয়ার্ক সেবা চালু করছি। এটি ব্যবসার মডেল, শিক্ষা পদ্ধতি, জীবনযাত্রার মান এবং প্রচলিত ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিবে। তিনি ডিজিটালাইজেশনে জাতীর বিবেক ও যুব সমাজকে স্বতঃর্ফুত অংশ গ্রহন করে  এগিয়ে আসার প্রতি উৎসাহ দেন।

ক্রাইম ডায়রি/জাতীয়