রাজশাহীতে অনলাইনে প্রেম ও আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস, টাকা দাবীঃ অবশেষে গ্রেফতার ধূর্ত প্রেমিক
Online love and offensive videos leaked in Rajshahi, money demanded: Cunning boyfriend finally arrested
অনলাইন মিডিয়ার প্রেম এবং ব্ল্যাকমেইল যেন বেড়েই চলেছে। আর শিকার ভদ্রও শিক্ষিত পরিবারের অনেক তরুনী। ইদানিংকালে নিউজ মিডিয়ায় প্রায়শঃই এ সংক্রান্ত সংবাদ চোখে পড়ার মত। সম্প্রতি, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার এক প্রতারক অনলাইন প্রেমিক যে কান্ডটি ঘটিয়েছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক ও অশনী সংকেত। ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, দুই বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হারুনুর রশিদের (৩০)। ধুর্ত প্রেমিক কৌশলে ধারণ করে রেখেছিলেন প্রেমিকার সাথে তার ঘটে যাওয়া সব অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও। তার উদ্দেশ্য ছিল টাকা । তাই টাকার দাবী মেটাতে মেটাতে একসময় অস্থির প্রেমিকা। তােই তাদের প্রেমের সম্পর্ক আর বেশিদুর এগোয়নি। রাগে কৌশলী প্রেমিক হারুন প্রেমিকার সেই অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন । তরুণী হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ছবি ও ভিডিও মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করেন। হারুন দাবি করেন টাকা। এরপর বিভিন্ন সময় ওই তরুণী তিন লাখ টাকাও দেন। কিন্তু তারপরও ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে যাচ্ছিলেন হারুন। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
হারুনের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নামকান গ্রামে। বাবার নাম শাহাজাহান প্রামাণিক। সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
তিনি জানান, হারুনুর রশীদ ওই তরুণীর সঙ্গে দুই বছর ধরে প্রেমের অভিনয় করেছেন। মেয়েটির দুর্বলতার সুযোগে হারুন তার অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। নানা কারণে মানোমালিন্য হলে এখন তাদের আর কোনো সম্পর্ক নেই।
গত ১১ জানুয়ারি মেয়েটি জানতে পারেন, হারুন অন্য একটি নামের ফেসবুক আইডি থেকে তার ভিডিও এবং ছবি পরিচিতদের ম্যাসেঞ্জারে পাঠাচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই তরুণী হারুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসব মুছে ফেলার জন্য হারুন তখন তিন লাখ টাকা দাবি করেন। মানসম্মানের ভয়ে ওই তরুণী বিভিন্নভাবে টাকা ম্যানেজ করে হারুনের হাতে তুলে দেন; কিন্তু তারপরও হারুন থামেননি। আগের মতোই তিনি ভিডিও এবং ছবি ছড়াচ্ছিলেন ইন্টারনেটে। দাবি করছিলেন আরও টাকা। এ নিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় হারুনকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে আনেন।পুলিশ কমিশনার জানান, হারুনের মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। সেটি ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। এতে বোঝা যাবে, এই মোবাইল দিয়ে হারুন আর কোনো তরুণীর সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন কিনা। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মঙ্গলবারই হারুনকে আদালতে তুলবেন। আদালতে তার রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাকে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি। এমন ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন আপামর জনসাধারন । এমন অপকর্মের জন্য তার শাস্তি দাবী করেছেন রাজশাহীবাসী।
নোটঃ সকল প্রকার অনিয়ম ও অপরাধের খবর জানাতে এবং জানতে ক্রাইম ডায়রির সাথেই থাকুন। ভিজিট করুন আমাদের সকল নিউজ সাইটে। পত্রিকার জন্য হকারকে বলুন।।
ক্রাইম ডায়রি/// ক্রাইম