পুলিশের লুঠ হওয়া অস্ত্রসহ একজন গ্রেফতার

পুলিশের লুঠ হওয়া অস্ত্রসহ একজন গ্রেফতার
ছবি-ক্রাইম ডায়রি

অনলাইন ডেস্কঃ

নোয়াখালীতে অস্ত্র বিক্রির চেষ্টার কাজে জড়িত থাকা এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে হাটের পূর্ব পাশে হানিফ বাবুর্চির বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শনিবার বিকেলে তাকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হামিদের আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডের ব্যাপারে পরে শুনানি হবে জানিয়ে আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠান আদালত।


সেনবাগ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, ৫ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন থানায় দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগসহ সরকারি অস্ত্র-গুলি লুট করে। শুক্রবার সেনবাগ থানা পুলিশ গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে উপলোর কাদরা ইউনিয়নের মতি মিয়ার হাট এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে মনির আহাম্মদের কাছে একটি অত্যাধুনিক পিস্তল রয়েছে। অস্ত্রটি সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রির চেষ্টা চলছে।


গণভবন থেকে লুট করা টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব, রেগে সেনাবাহিনীকে ফোনগণভবন থেকে লুট করা টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব, রেগে সেনাবাহিনীকে ফোন
এরপর সেনবাগ এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনবাগ থানা পুলিশের একটি দল রাত সোয়া ৯টার দিকে হানিফ বাবুর্চির বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় মনির আহাম্মদকে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে সেমি অটোমেটিক ৭.৬২ এম. এম পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

সেনবাগ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল জানান, কাইয়ুম নামে একজন কয়েক দিন আগে চাচাত ভাই মনির আহাম্মদের কাছে অস্ত্রটি বিক্রি করার জন্য রেখে যায়। শুক্রবার দুপুরের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাসে “হা হা” রিয়্যাক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মনিরের সঙ্গে এক তরুণে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় মনির তাকে পিস্তল বের করে গুলির হুমকি দেন। এ ঘটনা দেখে ফেলেন স্থানীয় আরেক তরুণ। তিনি সেনবাগ থানার ওসিকে বিষয়টি জানান। এরপর সেনাবাহিনীকে নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।

এ ঘটনায় সেনবাগ থানার এসআই মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে শনিবার অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি মনির আহাম্মদ জানায়, তার প্রতিবেশী ও আত্মীয় কাইয়ুম অস্ত্রটি বিক্রি করার জন্য তার কাছে রাখে। অস্ত্রটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার একটি থানা থেকে লুট হওয়া। যে লুটের ঘটনায় কাইয়ুম সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল। এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

ক্রাইম ডায়রি / ক্রাইম