কিশোর গ্যাংয়ের কবলে ফতুল্লাঃ হামলা-ভাংচুর, শনাক্তদের ধরতে চলছে অভিযান

Fethullah under the grip of juvenile gang: attack-vandalism, operation is underway to catch the identified

কিশোর গ্যাংয়ের কবলে ফতুল্লাঃ হামলা-ভাংচুর, শনাক্তদের ধরতে চলছে অভিযান
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত
এলাকায় ভয়ভীতি সৃষ্টি ও ত্রাস কায়েম করতে এবং কিশোর গ্যাংয়ের প্রতি ভীতি সৃষ্টি করতেই এ তাণ্ডব চালানো হয়। এরা সকলেই উঠতি বয়সী এবং বখাটে বলে জানায় স্থানীয়রা।
শাহাদাত হোসেন রিটন, সরেজমিন নারায়ণগঞ্জ হতেঃ
কিশোরগ্যাংয়ের লাগাম যেন কোনভাবেই টেনে ধরা যাচ্ছেনা। সারাদেশেই বিভিন্ন আনাচে কানাচে বিভিন্ন দলের ব্যানারে ও আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে লাগামহীন হয়ে উঠছে কিশোররা। বিশেষ করে রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রভাব চোখে পড়ার মতো। রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় এই গ্যাংগুলো দিনের পর দিন হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। এদেরকে কিছু বলার বা ইঙ্গিত করার জো নেই। চেষ্টা করলেই নির্ঘাত মৃত্যূকে মাথায় নিয়েই করতে হবে।
সম্প্রতি, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ ও তাণ্ডবে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। সোমবার রাত ৯টায় মাসদাইর বেকারির মোড় থেকে গুদারাঘাট পর্যন্ত এ তাণ্ডব চালায় তারা। এসময় দুই গ্রুপের শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য হামলা ভাংচুরে অংশ নেয়।
জানা যায়, হামলায় গুদারাঘাট, প্রাইমারি স্কুল, বড়ইবাগের দিকে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকান, ফার্মেসি ভাংচুর চালায় হামলাকারী। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চালানো হয় তাণ্ডব। এসময় হামলাকারীদের হাতে নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এলাকায় ভয়ভীতি সৃষ্টি ও ত্রাস কায়েম করতে এবং কিশোর গ্যাংয়ের প্রতি ভীতি সৃষ্টি করতেই এ তাণ্ডব চালানো হয়। এরা সকলেই উঠতি বয়সী এবং বখাটে বলে জানায় স্থানীয়রা।
হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে তাদের ধরতে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে একাধিক কিশোর গ্যাং সদস্যের নাম নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে সাঈদ, রাজন, সাবু, তুষার, জুম্মন, বাঘা ও নাজমুল হামলায় অংশ নেয় বলে স্থানীয়রা পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন।
 
এলাকায় একাধিক সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের ছবি দেখে পুলিশ তাদের শনাক্ত করে। বাকিদের শনাক্ত করতে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তা নিচ্ছে। সাধারন স্থানীয় জনতা এদের ভয়ে ভীত হলেও তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই তারা স্বতস্ফুতভাবে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু  ক্রাইম ডায়রিকে জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি হানলাকারীদের শনাক্ত করা হচ্ছে, প্রত্যেককে খুঁজে বের করে গ্রেফতার ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ক্রাইম ডায়রি// আইন শৃঙ্খলা