চরম ধৃষ্ঠতা দেখাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষঃ ছাড়পত্র পেয়ে সিএনজিতে উঠেই সন্তান প্রসব

The hospital authorities showed extreme audacity: after getting the discharge, they got on the CNG and gave birth

চরম ধৃষ্ঠতা দেখাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষঃ ছাড়পত্র পেয়ে সিএনজিতে উঠেই সন্তান প্রসব

সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতর উঠতেই তিনি একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জানা গেছে, ফাতেমা খাতুন উপজেলা সদরের উল্লাপাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের এটা প্রথম সন্তান, এই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে আলী আকবর। এই অমানবিক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে সাংবাদিকদের নজরে আসে। 

ধুনট সংবাদদাতাঃ

নৃশংসতার একটা সীমা থাকা দরকার। সীমাহীন তান্ডবে মানবতা যখন ভূলুন্ঠিত তখন বিবেক জাগ্রত না হওয়াটা চরম ধৃষ্টতার চরম বহিঃপ্রকাশ।ফাতেমা খাতুন (২০) নামে এক প্রসূতিকে পুরো চিকিৎসা না দিয়েই বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (হাসপাতাল) কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়ে অন্য হাসপাতালে যেতে বল। এরপর দ্বিতীয় তলা থেকে হাসপাতাল চত্বরে যেতেই ফাতেমার পুনরায় প্রসববেদনা শুরু হয়। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতর উঠতেই তিনি একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জানা গেছে, ফাতেমা খাতুন উপজেলা সদরের উল্লাপাড়া গ্রামের আসাদুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের এটা প্রথম সন্তান, এই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে আলী আকবর। এই অমানবিক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হলে সাংবাদিকদের নজরে আসে। 

এরপর স্থানীয় সাংবাদিকরা  ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে দেখা যায়, বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে সন্তান নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ফাতেমা খাতুন। তবে শিশুটি সুস্থ থাকলেও তার মা ফাতেমা খাতুন উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে কাতরাচ্ছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলছে, ফাতেমা খাতুনের প্রসববেদনা উঠলে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা। তাকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করান। মাত্র ২০ মিনিট পর নার্সদের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাকে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেলিভারি করানো সম্ভব না। একপর্যায়ে হাসপাতাল থেকে ফাতেমাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তখন হাসপাতালের দ্বিতীয় তলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে বসতেই সেখানে সন্তান প্রসব করেন ফাতেমা।  

ফাতেমা খাতুনের স্বামী আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের ছাড়পত্র দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন। নিরুপায় হয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা ও গাড়ি জোগাড়ের চেষ্টা করতে থাকি। এ সময় হাসপাতাল চত্বরেই আমার স্ত্রী সন্তান প্রসব করে। অমানবিক  এ আচরনে ক্ষুদ্ধ পুরো দেশবাসী। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন।

ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম