রায়গঞ্জে জামায়াতের জনসভায় লাখো জনতার ঢল
ফ্যাসিস্ট আমলে সবচেয়ে জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।। রায়গঞ্জে জনসভায় - মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

ফ্যাসিস্ট আমলে সবচেয়ে জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।। রায়গঞ্জে জনসভায় - মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
শ.ম. আব্দুস সাত্তারঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় সব চেয়ে বেশি জুলুমের স্বীকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা। তারপরও নেতাকর্মীরা পালায় নাই। কারণ জামায়াতের নেতারা কোন অন্যায় ও চাঁদাবাজি করেনাই। দখলবাজী করে নাই।
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা নিরহ নিরপরাধ মানুষদেরকে অন্যায় ভাবে হত্যা করেছে। গুমসহ অন্যায়ভাবে জেল দিয়েছে। তাই তারা সকল ক্ষমতা রেখে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তার নিজ জীবনে জেলখানায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করায় মানুষের কান্নার কথাও স্মরণ করেন তিনি।
বাংলাদেশের আপামর জনগণের দাবি গণহত্যাসহ সকল অন্যায় ও অনিয়মের বিচার করতে হবে। দেশের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশের মানুষ সৎ-যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের অপেক্ষায় আছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ২ টার দিকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নিমগাছী ডিগ্রি কলেজ মাঠে রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও সলঙ্গা থানা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।রফিকুল ইসলাম খান আরো বলেন, মাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনে ২ হাজারের অধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
ইন্টারনেটসহ রাস্তা ঘাট বন্ধ সব কিছু অপেক্ষা করে এ দেশের ছাত্র জনতা আন্দোলন চালিয়ে গেছে। উপদেষ্টা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, দেশের সকল সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। তা না হলে এদেশের জনগণ সকল সিন্ডিকেট ভাঙতে যা করা দরকার তাই করবে।
ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হলে কাওকে চাঁদা দিতে হবে না। কোন দূর্নীতি থাকবে না। জামায়াত ইসলামীতে কোন চাঁদাবাজ, দূর্নীতিবাজ নাই। থাকলেও তাদের জায়গা জামায়াতে ইসলামীতে হবে না।
এদেশের জনগণকে নিয়ে আমরা আর কাওকে খেলতে দিবো না। প্রায় দুই কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল আওয়ামী সরকারের আমলে। গোজা মিলের ভোটার তালিকা জনগন মানবে না।
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা প্রয়োজন তা করতে হবে। আগামী দিনে এ জাতিকে সৎ-দক্ষ, চাঁদাবাজ মুক্ত নেতৃত্ব উপহার দিতে আপনাদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব আলী মর্তুজার সভাপতিত্বে, তাড়াশ উপজেলা আমীর খ.ম. সাকলাইন, সলংগা থানা আমির রাশিদুল ইসলাম শহীদ ও রায়গঞ্জ উপজেলা সেক্রেটারি ডাঃ এস এম মুনসুর আলীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা শাইখ আব্দুস সামাদ, সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলম, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম,সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও অধ্যাপক মাওলানা নাসির উদ্দিন,জেলা অফিস সেক্রেটারি শাহাদাৎ হোসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ময়দুল আলম মাষ্টার, সিরাজগঞ্জ শহর আমীর অধ্যাপক আবদুল লতিফ,রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম আব্দুস সাত্তার,তাড়াশ উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা শাহজাহান আলী, সলঙ্গা থানা সেক্রেটারি মাওলানা রাকিবুল হাসান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, শিবিরের সিরাজগঞ্জ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব উদ্দিন, শহর সভাপতি শামীম রেজা ও রায়গঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ হোসেন আকন্দসহ রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গার জামায়াতে ইসলামী ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রাইম ডায়রি // রাজনীতি // জেলা