অশ্লীল ভিডিও'র ফাঁদে ইউপি সচিবঃ দুই নারী গ্রেফতার

শহরে দীর্ঘ দিন যাবত একটি চক্র প্রতিষ্ঠিত বিত্তশালী পুরুষদের টার্গেট করে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়। আবার অনেক সময় নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে।

অশ্লীল ভিডিও'র ফাঁদে ইউপি সচিবঃ দুই নারী গ্রেফতার
ছবি-ক্রাইম ডায়রি

গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এসব নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও গোপন অভিসারের চেষ্টাও

লায়ন কাজী রহিম, নোয়াখালীঃ

ইউপি সচিবকে ফাঁদে ফেলে অশ্লীলতা ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা আদায়ের ঘটনায় দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর সদর উপজেলার ২০ নম্বর আণ্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদের (৩৩) অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের থেকে এসব কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের খালেক দারোগার বাড়ির আক্তার হোসেনের মেয়ে সানজিদা আক্তার জেরিন (২০) ও চাটখিল পৌরসভার দশঘরিয়া হাজী বাড়ির মাহাবুব রব্বানীর স্ত্রী সুবর্ণা মাহাবুব (৩৫)।

পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর মাইজদী শহরে দীর্ঘ দিন যাবত একটি চক্র প্রতিষ্ঠিত বিত্তশালী পুরুষদের টার্গেট করে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়। আবার অনেক সময় নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে।

পরবর্তীকালে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবে কিংবা পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ক্রমাগত টাকা দাবি করত চক্রের সদস্যরা।

সূত্রে জানা গেছে, একজন ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দাখিল করে। পুলিশ অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পেলে এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা নেয়া হয়। ওই মামলায় ঘটনার সাথে জড়িত দুই নারী প্রতারককে মাইজদী শহরের হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের থেকে মোবাইলে ধারণকৃত বিভিন্ন জনের অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গত ৫-৬ বছর তারা কয়েকজন মিলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায় করে আসছিলেন। পরে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

তবে এলাকার গুণীজনরা বলছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এসব নারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও গোপন অভিসারের চেষ্টাও অপরাধ।  কারন নারী পর্যন্ত একান্তে না পৌঁছালে অশ্লীল ভিডিও গ্রহন করার সুযোগ হতোনা।  সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিরা এমন ফাঁদের রাস্তায় হাঁটা সামাজিক অবক্ষয়ের চরম বহিঃপ্রকাশ। 

ক্রাইম ডায়রি / ক্রাইম