বন্যপ্রাণী দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী প্রকৃতিপ্রেমিক গণমানুষের

প্রতিটি জেলায় ও থানায় পরিবেশ অধিদপ্তর, বনরক্ষক রয়েছে। রয়েছে পরিবেশবাদী আন্দোলনের অনেক নেতাকর্মী ও সুবিধাভোগী। কিন্তু কেউই কোন উদ্যোগ গ্রহন করছেন না দেখে উদ্বিগ্ন সাধারন মানুষ।

বন্যপ্রাণী দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী প্রকৃতিপ্রেমিক গণমানুষের
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

হাতি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে এভাবে চাঁদাবাজির কারন কি? এমন প্রশ্নে হাতির মাহুত রবিউল জানান, দুটি হাতির পিছনে প্রতিদিন খরচ প্রায় চারশত টাকা। এগুলো সার্কাসের প্রশিক্ষিত হাতি। এখন সার্কাস কেউ দেখে না। হাতিগুলোকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই এভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের খাবার খাওয়াতে হয়।

কালিমুল্লাহ দেওয়ান রাজাঃ

হাতি বিশালদেহী বন্যপ্রাণি। বনেই সে বেশি সুন্দর। হাতিকে পোষ মানিয়ে পাহাড় থেকে গাছ নামানোসহ কঠিন সব কাজ করানো হচ্ছে।

কিছু মানুষ হাতিকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করছে। মাহুত দোকান, ফুটপাত, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায় করছে এ প্রাণিটি দিয়ে। গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও টাকা আদায় করা হয়।

পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে বন্যপ্রাণী ও মানুষ একে অপরের পরিপূরক হিসেবে বিরাজ করছে। মানুষের সাথে যুগ যুগ ধরে সখ্যতা গড়ে উঠেছে বন্যপ্রাণীর। তেমনি কারো খেলার সাথী, প্রাচীন আমলের রাজা বাদশাদের বাহনের একমাত্র আভিজাত্যের প্রতীক বন্যহাতি। সভ্যতা বিকাশের সাথে সাথে লোভী মানুষগুলো মেতে উঠেছে টাকার নেশায়।

বিশালদেহী হাতিটি তার পেছনের বাম পা দিয়ে  ঠিকমতো হাঁটতে পারছিল না। একটু হাঁটার পর সে দাঁড়িয়ে পড়ছিল। এ সময় মাহুত তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হাতিটি চিৎকার দিয়ে পুনরায় সামনে এগোচ্ছে।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে যেখানে উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে সেখানে মানবিক বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে কথা উঠছে। যে সমাজে মানুষ বসবাস করবে সেখানে পশুপাখি ও বন্যপ্রাণী থাকবে না যা কল্পনাতীত। একশ্রেণির অসাধু, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অর্থলোভী ব্যক্তিদের যোগসাজশে বন বিভাগ এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। বন্যপ্রাণী হাতি সংরক্ষণের জন্য নিরাপদ বনাঞ্চল গড়ে তোলা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। দেখার যেন কেউ নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন্য প্রাণী সংরক্ষনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিষয়টি আমলে নিবেন এমনই আশা সকলের। সম্প্রতি অসুস্থ হাতিকে দিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় জনমনে শংকা প্রকৃতির এই নিরীহ বিশালকায় প্রানীর অস্তিত্ব নিয়ে।

কেইস ষ্টাডি ১ঃ

 রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় মহাসড়কে অসুস্থ একটি হাতিকে দিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাহুতের বিরুদ্ধে।

 

সরেজমিন মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা হতে আসা ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহন আটকে চালকদের কাছ থেকে মাহুতকে টাকা তুলতে দেখা যায়।

এ সময় দেখা যায়, বিশালদেহী হাতিটি তার পেছনের বাম পা দিয়ে  ঠিকমতো হাঁটতে পারছিল না। একটু হাঁটার পর সে দাঁড়িয়ে পড়ছিল। এ সময় মাহুত তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হাতিটি চিৎকার দিয়ে পুনরায় সামনে এগোচ্ছে। এর মাঝে কোনো যানবাহন আসলে সে শুঁড় দিয়ে যানবাহন আটকে দিচ্ছে। চালক ঘটনা বুঝতে পেরে হাতির শুঁড়ে বিভিন্ন অংকের টাকা গুঁজে দিলে তাকে ছেড়ে দিচ্ছে। 

এ সময় স্থানীয় সমাজসেবী আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, একটা অসুস্থ হাতি দিয়ে এভাবে মহাসড়কের দীর্ঘ পথ হাঁটানো এবং চাঁদা তোলা খুবই অমানবিক কাজ। পশুটি ঠিকমতো হাঁটতে পারছিল না। তার জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

এ প্রসঙ্গে হাতিটির মাহুত পাগলা জসিম বলেন, হাতিটি দি লায়ন সার্কাসের। ওর নাম ‘বাহাদুর’। বরিশাল ও রাজবাড়ীতে সার্কাস শেষ করে তারা ঢাকায় ফিরছে। হাতিটার পায়ে লোহা বিঁধে কিছুটা অসুস্থ হয়েছে। ঢাকার ফিরে ওর চিকিৎসা করাব। চলার পথে হাতি এবং তার নিজের খাবার খরচ জোগাতে পরিবহণ চালকদের কাছ থেকে সহযোগিতা হিসেবে টাকা তুলছেন।

কেইস ষ্টাডি ২ঃ 

রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী হাতি। যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যায় ভয়ে সেখান দিয়ে যেতে পারছে না শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহন। পিঠে ভাব নিয়ে বসে আছেন মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতিটি। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখাচ্ছে মাহুত। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, পটুয়াখালীর দুমকিতে বৃহস্পতিবার সকালে পীরতলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরণ অনুযায়ী ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকানেই সীমাবদ্ধ নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতকে।  

পীরতলা বাজারের একটি মুদি দোকানে হঠাৎ বিশাল দেহের হাতিটি মাহুতের ইশারা ইঙ্গিতে শুঁড় এগিয়ে দিল দোকানের মধ্যে। সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার ৩০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন। 

টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার বলেন, টাকা না দিলে হাতিটি যাবে না। তাছাড়া অনেক সময় ভাঙচুরও করে। এজন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে বিদায় করলাম।

উপজেলার থানাব্রিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রাজিবুল ইসলাম রন্টিসহ  ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করেন তারা। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরিয়ে নেওয়া হয় না। অনেক সময় সাধারণ মানুষ, শিশু বাচ্চাসহ মহিলা ক্রেতারা হাতি দেখে ভয় পান। এতে ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান বলেন, দোকান থেকে চাঁদা উঠানো শেষ হলে হাতিগুলো রাস্তায় নামে। শুধু দোকানই না এরা  চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। এতে করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

হাতির মাহুত রাকিব ইসলাম বলেন, হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলে তা আবার চাঁদাবাজি হয় কীভাবে? তবে আমরা কারো উপর কোনো ধরনের জোর করি না; যার ইচ্ছে দেয় মন না চাইলে দেয় না। 

দুমকি থানার ওসি মো. আবদুস সালাম বলেন, হাতি দিয়ে টাকা তোলার বিষয়ে এখনো কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেইস ষ্টাডি ৩ঃ 

গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুতরা। সর্বনিন্ম ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরণ অনুযায়ী একশ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয় সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতারা। 

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি চায়ের দোকানে হঠাৎ একটি হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে চায়ের দোকানদার ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন। টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার বলেন, ‘টাকা না দিলে যাবে না। তাছাড়া দেড়ি হলে অনেক সময় ভাঙচুর করে। এজন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিলাম।’

বিশালদেহী হাতিটি তার পেছনের বাম পা দিয়ে  ঠিকমতো হাঁটতে পারছিল না। একটু হাঁটার পর সে দাঁড়িয়ে পড়ছিল। এ সময় মাহুত তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে হাতিটি চিৎকার দিয়ে পুনরায় সামনে এগোচ্ছে।

হাতির মাহুত আলমগীর বলেন, ‘হাতির ভরনপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলে তা আবার চাঁদাবাজি হয় কিভাবে।’ 

চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরানো হয় না। অনেক সময় মহিলা ক্রেতারা হাতি দেখে ভয় পান। এতে ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন আহমেদ বলেন, ‘হাতির কারণে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। দোকান থেকে চাঁদা উঠানো শেষ হলে হাতিগুলো রাস্তায় নামে। হাতিগুলো চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দেয়। এতেই যানজটের সৃষ্টি হয়।’

কেইস ষ্টাডি ৪ঃ 

গভীর অরণ্যে থাকার কথা। কিন্তু বনাঞ্চল ছেঢ়ে খাবারে খোঁজে লোকালয়ে নয়। একেবারে শহরের রাস্তায়। বড় আকারের দুইটি হাতি। আর হাতি দু’টিকে দেখে লোকজন হঠাৎ দিকবিদিক হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। এমন ঘটনা ঘটেছে খুলনা মহানগরের জংশন মোড়ে।

গতকাল দুপুর ১টার দিকে জংশন মোড়ে হঠাৎ দিকবিদিক হয়ে মানুষের ছোটাছুটি। রাস্তায় চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি মালিককে পিঠে নিয়ে হেলে দুলে একপাশ দিয়ে চলছে হাতি। হাতির উপরে দুই মাহুত। রাস্তার প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল সব রুখে দিচ্ছে হাতিগুলো।
বিশাল শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে ধরছে গাড়ি। টাকা দিলে মিলছে মুক্তি। টাকা না দিলে হাতি পথ ছাড়ছে না। রাস্তার পাশেও দোকানগুলোতে হাতি শুঁড় দিয়ে দোকানীদের জানান দিচ্ছে টাকা চাই। টাকা দিলে তা শুঁড় দিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে উপরে বসা মাহুতকে।

এমন দৃশ্য রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। মহানগরীর পুরো বিআইডিসি রোড, জংশন রোড, জোড়াগেটসহ প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তায় চলে এমন অভিনব চাঁদাবাজি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দায়িত্বরত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যদের এ সময় অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়।
হাতি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে এভাবে চাঁদাবাজির কারন কি? এমন প্রশ্নে হাতির মাহুত রবিউল জানান, দুটি হাতির পিছনে প্রতিদিন খরচ প্রায় চারশত টাকা। এগুলো সার্কাসের প্রশিক্ষিত হাতি। এখন সার্কাস কেউ দেখে না। হাতিগুলোকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাই এভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের খাবার খাওয়াতে হয়।

কেইস ষ্টাডি ৫ঃ 

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে হাতি দিয়ে বিভিন্ন সড়কে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করায় হাতির মাহুতকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

 দীর্ঘদিন ধরে হাতির মাহুত হাতি দিয়ে ভয় দেখিয়ে সড়কে গাড়ি থামিয়ে এবং দোকানপাটে চাঁদাবাজি করে আসছিল। এমন অভিযোগে তাকে সতর্ক করা হয় এবং ১৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এই পাঁচটি ঘটনা মহাসমুদ্রের মধ্যে কীটসম প্রাণী খুঁজে বের করার মতো। হাজারো ঘটনা প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের সকল প্রান্তরেই এমন ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে অহরহ। প্রতিটি জেলায় ও থানায় পরিবেশ অধিদপ্তর, বনরক্ষক রয়েছে। রয়েছে পরিবেশবাদী আন্দোলনের অনেক নেতাকর্মী ও সুবিধাভোগী। কিন্তু কেউই কোন উদ্যোগ গ্রহন করছেন না দেখে উদ্বিগ্ন সাধারন মানুষ। গণমানুষের প্রত্যাশা নিউজের লিংকে কিংবা পাতায় যেন  এই ঘটনাগুলি সীমাবদ্ধ না থাকে।  প্রকৃতি রক্ষায় ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় এবার তারা এগোবেন বলে প্রত্যাশা দেশের সর্বস্তরের মানুষের।

ক্রাইম ডায়রি/ স্পেশাল