রাজশাহীতে গোয়েন্দা পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগঃ হাতকড়াসহ আটক ৪ অপরাধী

In Rajshahi, 4 criminals arrested with handcuffs were accused of cheating in the identity of detective police and journalists

রাজশাহীতে গোয়েন্দা পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগঃ হাতকড়াসহ আটক ৪ অপরাধী
তারা সিন্ডিকেট করে এ অপরাধ করে।  তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আগে টার্গেট করে।  এরপর দলের নারী সদস্যকে দিয়ে তাদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। মানসিকভাবে দূর্বল করে তাদেরকে নিজ আস্তানায় হাজির করে। এরপরে তারা ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে উপস্থিত হয়ে ওই কর্মকর্তাকে অপহরণ এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করত
রাজশাহী মহানগর সংবাদদাতাঃ
পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারনা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে। যে কারনে অনেক সাধারন মানুষ না জেনে পুলিশের প্রতি ভিন্ন ধারনা পোষণ করার সুযোগ পাচ্ছে।  সম্প্রতি, ডিবি পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মী পরিচয় দিয়ে প্রতারণাকারী চক্রের চারজনকে আটক করেছে রাজশাহীর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি চৌকস দল।
এ সময় আটক অপরাধীদের নিকট হতে নকল খেলনা পিস্তল, হ্যান্ডকাপ, বিদেশি মুদ্রাসহ বেশকিছু প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত নমুনা উদ্ধার করে পুলিশ। ফেব্রুয়ারী ২৭,শনিবার মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক  সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের  এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রতারণার গুরু রাজশাহীর চারঘাটের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৩৬), একই উপজেলার সেলিনা আক্তার সাথী (২৫) ও খাইরুল ইসলাম (২৬) এবং পটুয়াখালী জেলার রাংগাবালী থানার তুহিন সরকার (৩২)।
তারা সিন্ডিকেট করে এ অপরাধ করে।  তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আগে টার্গেট করে।  এরপর দলের নারী সদস্যকে দিয়ে তাদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। মানসিকভাবে দূর্বল করে তাদেরকে নিজ আস্তানায় হাজির করে। এরপরে তারা ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে উপস্থিত হয়ে ওই কর্মকর্তাকে অপহরণ এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করত
 
চক্রের  মনোয়ার ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা এবং খাইরুল ডিবির সদস্য সেজে সেখানে উপস্থিত হতেন। পরে তাদের ফোন কলে সেখানে সাংবাদিক সেজে উপস্থিত হতেন তুহিন সরকার। আটক ও সংবাদ মাধ্যমে ছবি-ভিডিও প্রচারের হুমকি দিয়ে আদায় করা হতো মোটা অংকের টাকা। সম্প্রতি, তাদের দলের সাথী  রাজশাহীর চারঘাটের এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে প্রতারণার মাধ্যমে ডেকে নেন। পরে তাকে জোর করে একটি বাসায় নিয়ে মনোয়ারসহ অন্যরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছে থাকা ২৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারপর তাদের পরিবারের লোকজনকে ফোন করে আরো ৪৪ হাজার টাকা নেয়া হয়।  এরপর তাকে মুক্তি দেয়া হয় । মুক্তি পাবার পর  তিনি আরএমপিকে বিষয়ট  অবহিত করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা যায়। 

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এসময় সেখানে  উপস্থিত ছিলেন।

ক্রাইম ডায়রি // ক্রাইম