নড়াইলের কালিয়ায় হাসপাতালে প্রসুতির মৃত্যুঃ জেলা প্রশাসনের নজরদারী কামণা জনতার
এর আগেও যেহেতু মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে এবং স্থানীয়দের অনেকেই দাবী করছেন যে, হাসপাতালে যথাযথ অনৃুমোদন থাকলে পরিবেশ অনুপযোগী থাকতনা। তাই স্থানীয় সুশিল সমাজ জেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামণা করছেন। যথাযথ খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে হাসপাতাল হয় ভালভাবে চলবে নয়তো দেখতে হবেনা আর কোন অসহায় মৃত্যু।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালটি চার বছর ধরে চললেও সেখানে সার্বক্ষণিক কোনো চিকিৎসক থাকেন না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সও নেই। অস্ত্রোপচারকক্ষের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। এর আগেও এখানে কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। মালিকপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তারা সবকিছু ‘ম্যানেজ’ করেছে।
Maternity death at Kalia Hospital in Narail:District administration needs surveillance
জিন্নাত আলী বলেন, ‘আমার চার বছরের একটি মেয়ে আছে। তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। তাই থানায় অভিযোগ করিনি। শুক্রবার রাতেই লাশ দাফন করা হয়েছে।’
কিন্তু একজন জিনাত আলীই শুধু ভুক্তভোগী নন এখানকার। তাই স্থানীয় জনগনও বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। এর প্রেক্ষিতে নড়াইলের সিভিল সার্জন নাছিমা আকতার শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি ঘটনা জানার পর পরই কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজল মল্লিককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এ কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনার সবকিছু জানা যাবে।
স্থানীয় নড়াগাতী থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, ঘটনার সময়ে খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে পুলিশ গিয়েছিল। রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ না করায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় জনগন জানান, কোন চিকিৎসক এখানে সার্বক্ষনিক পাওয়া যায়না। চিকিৎসকের বিষয়ে রোগীর স্বজনেরাও কিছু জানাতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শরিফুল নামের একজন চিকিৎসক ওই অস্ত্রোপচার করতে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।
নিবন্ধন ছাড়াই হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম চলার বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন নাছিমা আকতার বলেন, মালিকপক্ষ নিবন্ধনের জন্য গত বছর ও এ বছর আবেদন করেছে। পরিদর্শনের পর নিবন্ধন দেওয়া যায় কি না, সে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। তবে নিবন্ধন ছাড়াই কিভাবে চলছে এ হাসপাতাল এ প্রশ্ন এখন জনগনের মুখে মুখে।
স্থানীয় জনগন মনে করেন যেহেতু হাসপাতালের চিকিৎসার গাফিলাতি নিয়ে অভিযোগ উঠছে বারংবার তবুও অনুমোদনহীন এ হাসপাতাল কিভাবে নিবন্ধন পাবার আগেই দীর্ঘসময় ধরে চলছে এবং কাকে ম্যানেজ করে চলছে তা খতিয়ে দেখা সময়েব দাবী ।
ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম