মিনিকেট চাল নামে প্রতারণা বন্ধে নতুন আইন আসছে- খাদ্যমন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে এদেশের কৃষকরাই মূল ভূমিকা পালন করে। দেশে ফসল উৎপাদন হলে খাদ্যে মজুদ শক্তিশালী হবে।

মো: খাদেমুল ইসলাম, উত্তরাঞ্চলীয় প্রধানঃ

মিনিকেট চাল বলতে আসলে কিছু নেই। মিনিকেট মানে মিনি কাটিং বা ছোট করে কাটা। মোটা চালকে মেশিনে ছোট করে কেটে বাজারে বিক্রি হয় মিনিকেট নামে এবং চড়া দামে। এই প্রতারণা বন্ধে গণমানুষের হৃদয়ের যে কান্না তা নিয়ে সরকার যথেষ্ঠ আন্তরিক হওয়ায় এবার মিনিকেট নামে চাল উৎপাদন ও বন্ধে আসছে নতুন আইন। 

 এপ্রিল ১১,২০২৩ইং মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে 'আউশ প্রণোদনা কর্মসূচি' আওতায় ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মিনিকেট নাম দিয়ে মানুষকে ঠকিয়ে চাল বিক্রি ও ছাঁটাই রোধে একটি আইন ইতিমধ্যে কেবিনেট মিটিংয়ে (খসড়া) চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। এখন সংসদে যাওয়ার অপেক্ষায়।

মন্ত্রী বলেন, সুখী সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়তে এদেশের কৃষকরাই মূল ভূমিকা পালন করে। দেশে ফসল উৎপাদন হলে খাদ্যে মজুদ শক্তিশালী হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। এবারে মাত্র ১১ লাখ মেট্রিক টন সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাল আমদানি করা হয়েছে। এই আমদানি করার ফলে যারা মজুতদার ছিল তারা বেকায়দায় পড়েছে। এছাড়াও ওএমএস চালু করায় চালের বাজার স্থিতীশীল রয়েছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে বছরে কতটুকু সারের প্রয়োজন, কোন কোন ফসলের জন্য কতটুকু সার দরকার, সরকার সেই হিসাব করে সার কিনে। করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও অর্থের যোগান দিয়ে বিদেশ থেকে বেশি দামে সার কিনে ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদেরকে হিসাব রাখতে হয় আউশ, বোরো ও আমন কতটুকু উৎপাদন হবে এবং কতটুকু ঘাটতি হবে। তাই সরকারের দেওয়া প্রণোদনার বীজ ও সারের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আউশের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখুন।

ক্রাইম ডায়রি/কৃষি