ভূয়া সাংবাদিকে সয়লাব পুরো দেশ,প্রশাসন ও পেশাজীবি সাংবাদিকরা বিব্রতঃ আতংকিত সাধারন জনতা

ট্রাক ড্র্ইাভার, সিকিউরিটি গার্ড, ব্যবসায়ী, কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ, নরসুন্দর, দারোয়ান, পান বিক্রেতা ,মফস্বলের মুদি দোকানদার কিংবা হোটেল বয় রয়েছে এসব ভুয়া সাংবাদিকদের তালিকায়। এরা অনেকে আবার সম্পাদক ও প্রকাশক। কারন ১২০০ টাকায় পোর্টাল খোলা যায়।

ভূয়া সাংবাদিকে সয়লাব পুরো দেশ,প্রশাসন ও পেশাজীবি সাংবাদিকরা বিব্রতঃ আতংকিত সাধারন জনতা

তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল,অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে৷ এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা৷ ‍কি গ্রাম , কি শহর সবখানেই এদের দৌড়াত্ব্য। দেশের ৬৪ জেলাতেই এদের বিচরন। পুলিশের উদ্বর্তন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান নেয়া হবে সারাদেশেই৷ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভুয়া সাংবাদিকদের পুলিশ মাঝে মধ্যেই গ্রেফতার করে৷ তাদের কাছ থেকে টেলিভিশন চ্যানেল এবং পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়৷ তারা মফস্বলে থেকেও ষ্টাফ রিপোর্টার,বার্তা সম্পাদক কিংবা কেন্দ্রীয় নেতা। সাংবাদিক সেজে গোটা উপজেলা দাপিয়ে বেড়ানো চক্রের মধ্যে এক সময়ের অনেক সন্ত্রাসী,দলীয় কর্মী কিংবা নেতা,হোটেল বয়,মুদি দোকানদার কিংবা এনজিও ও ইনসিওরেন্স কর্মীও  রয়েছেন।

আতিকুল্লাহ আরেফিন রাসেলঃ

তারা বড় সাংবাদিক। তাদের সাথে কথা বলাই যেন দায়! তাদের দাপটে তটস্থ ঘোর পল্লীর আমজনতা থেকে শুরু করে শহুরে সভ্যতার আধুনিক মানুষেরাও। ওরা মাঝে মাঝে খোদ প্রফেশনাল সাংবাদিকদেরও ঘোল খাইয়ে ছাড়ে।  নিজেদের ব্যবসা কিংবা বানিজ্যকে হালাল করতে কিংবা মিডিয়ার হাত থেকে বাঁচতে তারা নিজেরাই খুলে বসেছে পত্রিকা,চ্যানেল কিংবা সাংবাদিক সংগঠন। তারা রিপোর্টার হতে নারাজ। কোন রকমে টাকার বিনিময়ে কার্ড সংগ্রহ করে কয়েকদিন সাংবাদিক থাকার পর তাদের মনে হয় আমার কি টাকা কম আছে? খুলে বসে পোর্টাল। সাজে সম্পাদক। এরপর নিজেরাই শুরু করে চাঁদাবাজি। সম্প্রতি খোদ রাজধানীতেই  ভুয়া সাংবাদিকের ছড়াছড়ি যেন বেড়েই চলেছে। মোটরসাইকেলে কিংবা গাড়িতে প্রেস লিখে রাখলে ট্রাফিক ধরবেনা এমন তথ্যের উপর ভিত্তি করে কার্ড কেনার হিড়িক পড়ে গেছে যেন রাজধানীতে। খোঁদ ক্রাইম ডায়রির সম্পাদককে এমন প্রস্তাব অনেক চাকুরীজীবির।অবশ্য ক্রাইম ডায়রির নামে স্টিকার লাগানো গাড়ি কিংবা সিএন জি প্রায়ই দেখা যায়। যা মূলতঃ ক্রাইম ডায়রির নয়। কারন ক্রাইম ডায়রি কাউকেই কোন ষ্টিকার ব্যবহারের অনুমতি দেয়না। আর গাড়িতে প্রেস  লিখে চলছে চাঁদাবাজি। তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল,অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে৷ এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা৷ ‍কি গ্রাম , কি শহর সবখানেই এদের দৌড়াত্ব্য। দেশের ৬৪ জেলাতেই এদের বিচরন। পুলিশের উদ্বর্তন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান নেয়া হবে সারাদেশেই৷ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভুয়া সাংবাদিকদের পুলিশ মাঝে মধ্যেই গ্রেফতার করে৷ তাদের কাছ থেকে টেলিভিশন চ্যানেল এবং পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়৷ তারা মফস্বলে থেকেও ষ্টাফ রিপোর্টার,বার্তা সম্পাদক কিংবা কেন্দ্রীয় নেতা। সাংবাদিক সেজে গোটা উপজেলা দাপিয়ে বেড়ানো চক্রের মধ্যে এক সময়ের অনেক সন্ত্রাসী,দলীয় কর্মী কিংবা নেতা,হোটেল বয়,মুদি দোকানদার কিংবা এনজিও ও ইনসিওরেন্স কর্মীও  রয়েছেন।

কেইস ষ্টাডি-০১ঃ-

ঢাকায় তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে৷ এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা৷ ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে তানভীর আহমেদ নামে এক ভুয়া সাংবাদিককে পুলিশ  গ্রেপ্তার করে৷ তার কাছ থেকে দুটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং চারটি পত্রিকার জাল পরিচয়-পত্র উদ্ধার করা হয়৷ এছাড়া, তার মোটরবাইকেও লাগানো ছিল টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার৷ সে ইনসিওরেন্স কোম্পানির একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে৷ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম ক্রাইম ডায়রিকে জানান, ক্ষতিকর রিপোর্ট করার হুমকি দিয়ে এই ভুয়া সাংবাদিক গত ছয় মাস ধরে তাঁর কাছে থেকে প্রতিমাসে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা করে নিত৷ পরে তিনি জানতে পারেন যে, সে আসলে সাংবাদিক নয়৷ তখন তিনি তাকে ধরে পুলিশে দেন৷ পুলিশ তার ছয়টি ভুয়া পরিচয়-পত্র এবং মোটরসাইকেল জব্দ করেছে৷

তারা বড় সাংবাদিক। তাদের সাথে কথা বলাই যেন দায়! তাদের দাপটে তটস্থ ঘোর পল্লীর আমজনতা থেকে শুরু করে শহুরে সভ্যতার আধুনিক মানুষেরাও। ওরা মাঝে মাঝে খোদ প্রফেশনাল সাংবাদিকদেরও ঘোল খাইয়ে ছাড়ে।  নিজেদের ব্যবসা কিংবা বানিজ্যকে হালাল করতে কিংবা মিডিয়ার হাত থেকে বাঁচতে তারা নিজেরাই খুলে বসেছে পত্রিকা,চ্যানেল কিংবা সাংবাদিক সংগঠন। তারা রিপোর্টার হতে নারাজ। কোন রকমে টাকার বিনিময়ে কার্ড সংগ্রহ করে কয়েকদিন সাংবাদিক থাকার পর তাদের মনে হয় আমার কি টাকা কম আছে? খুলে বসে পোর্টাল। সাজে সম্পাদক। এরপর নিজেরাই শুরু করে চাঁদাবাজি। সম্প্রতি খোদ রাজধানীতেই  ভুয়া সাংবাদিকের ছড়াছড়ি যেন বেড়েই চলেছে। মোটরসাইকেলে কিংবা গাড়িতে প্রেস লিখে রাখলে ট্রাফিক ধরবেনা এমন তথ্যের উপর ভিত্তি করে কার্ড কেনার হিড়িক পড়ে গেছে যেন রাজধানীতে। খোঁদ ক্রাইম ডায়রির সম্পাদককে এমন প্রস্তাব অনেক চাকুরীজীবির।অবশ্য ক্রাইম ডায়রির নামে স্টিকার লাগানো গাড়ি কিংবা সিএন জি প্রায়ই দেখা যায়। যা মূলতঃ ক্রাইম ডায়রির নয়। কারন ক্রাইম ডায়রি কাউকেই কোন ষ্টিকার ব্যবহারের অনুমতি দেয়না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান ক্রাইম ডায়রিকে জানান, তারা প্রায় প্রতিদিনই এরকম ভুয়া সাংবাদিকদের নানা বেআইনি কাজের  খবর পাওয়া যায়। চলতি বছরে তারা পর্যন্ত অন্তত ২০ জন ভুয়া সাংবাদিকে আটক করেছেন৷ তিনি জানান, এইসব ভুয়া সাংবাদিকদের ঠাটবাট এমন যে তাদের সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারেন না৷ এমনকি পেশাদার সাংবাদিকরাও তাদের দেখে মাঝেমধ্যে বিভ্রান্ত হন৷ তারা অনেকেই দামি গাড়িতে চলা-ফেরা করেন৷ আর ক্যামেরায় জাল স্টিকার লাগিয়ে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে৷ মাসুদুর রহমান জানান, তারা সকল ভুয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
এসব ভূয়া সাংবাদিকরা কোন না কোন কোম্পানীর কর্মরত। হয় মার্কেটিং না হয় এনজিও কর্মী কিংবা ইনসিওরেন্স কর্মী। তাদের মোটরবাইকেও লাগানো থাকে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার।  এরা এমনভাবে টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিকার ক্যামেরায় লাগিয়ে নেয় এটা কি টেলিভিশন চ্যানেলের তা বোঝা খৃুবই মুশকিল।   ফেসবুক কিংবা  শত শত ইউটিউব  চ্যানেলের স্বঘোষিত সাংবাদিক এরা।  এইসব ভুয়া সাংবাদিকদের ঠাটবাট এমন যে তাদের সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারেন না৷ এমনকি পেশাদার সাংবাদিকরাও তাদের দেখে মাঝেমধ্যে বিভ্রান্ত হন৷ তারা অনেকেই দামি গাড়িতে চলা-ফেরা করে৷ আর ক্যামেরায় জাল স্টিকার লাগিয়ে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে৷
ট্রাক ড্র্ইাভার, সিকিউরিটি গার্ড, ব্যবসায়ী, কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ, নরসুন্দর, দারোয়ান, পান বিক্রেতা ,মফস্বলের মুদি দোকানদার কিংবা হোটেল বয় রয়েছে এসব ভুয়া সাংবাদিকদের তালিকায়। এরা অনেকে আবার সম্পাদক ও প্রকাশক। কারন ১২০০ টাকায় পোর্টাল খোলা যায়। পেশাদার সাংবাদিকরা মনে করেন, ঐক্যবদ্ধ ইউনিয়ন থাকলে এটি সম্ভব ছিল না।
কেইস ষ্টাডি-০২ঃ-
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণমাধ্যমের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভয়াবহ প্রতারণা চলছে। তারা পত্রিকায় খবর ছাপানোর ভয় দেখিয়ে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা-পয়সা। অনেকে থানায় দালাল হিসেবে আসামিদের ছাড়িয়ে নিতে মধ্যস্থতা করে থাকে। এসকল ভূয়া সাংবাদিকদের আখড়া এখন যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ও উত্তরা এলাকায়। সস্পত্তি দেখাযায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় কোন পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হলে সেখানে অবস্থিত কথিত ভূয়া সাংবাদিকরা সেই ব্যাক্তির কাছে গিয়ে চাঁদাদাবি করে, এমনকি প্রতিবাদ ছাপিয়ে দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। আরো অভিযোগ রয়েছে যাদ্রবাড়ী এলাকায় কতিপয় হকার, পুলিশের র্সোস নিজেদের সংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপর্কম করে বেড়াচ্ছে আর এদের সহায়তা করে থাকে কতিপয় অসৎ পুলিশ সদস্য আর এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা বেকায় পরছে আর পুলিশ সদস্যরা হারাচ্ছে তাদের বাহিনীর সম্মান। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ডিসি জানান, অনেকে সাংবাদিক না হয়েও যানবাহনে প্রেস স্টিকার ব্যবহার করছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপরাধে জড়াচ্ছেন। রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ীতে দেহব্যবসার ফ্ল্যাট, ফুটপাত, গাড়ী, ফলের ও মাছের আড়ত পলিথিনের আড়ত পর্যন্ত চাঁদাবাজি করছে সাংবাদিক নামধারী এই চক্র। নানা অপকর্ম করতে এসব ভুয়া সাংবাদিক নানা নামে শত শত সংগঠনও গড়ে তুলেছে।
ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। বিভিন্ন সময় মাদকসহ ভুয়া সাংবাদিকদের আটক করা হয়েছে। এতে মূল ধারার সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুণ হচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারকের নানা অপতৎপরতায় থানা পুলিশও অতিষ্ঠ। থানায় অপরাধীদের হয়ে নানা তদবির করাই তাদের কাজ। এ ছাড়া এরা গলায় সাংবাদিক পরিচয়পত্র আর গাড়িতে দপ্রেসদ লেখা স্টিকার লাগিয়ে মাদক পাচার এমনকি রাজনৈতিক সহিংসতার সময় ককটেল ও বোমাও বহন করছে। সাংবাদিক পরিচয়ধারী এসব প্রতারক চক্র শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকার আইডি কার্ড বহনই নয়, বিভিন্ন ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা মূল ধারার বড় পত্রিকার সাংবাদিকও পরিচয় দেয়। তা ছাড়া ভূইফোঁড় পত্রিকা অফিসগুলো সাংবাদিক পরিচয়পত্রদও বিক্রি করে থাকে। এসব পরিচয়পত্র পকেটে রেখে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইলের সামনে সাংবাদিকদ বা প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় সারাদেশে।   এদের কাজহলো নতুন উদ্দ্যেক্তাদের হেনস্থা করা। ফ্যাক্টরী কিংবা যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্টান কিংবা সমাজের নীরিহ ব্যক্তিরা এদের টার্গেট।   ২০ থেকে ৫০ টাকার চাদাবাজী করা আর রাত হলে থানার গেইট বিভিন্ন মামলার তদবির করে যা কামানো যায়।  বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গেলে দেখা যায় শত শত নামধারী সাংবাদিক দিনের বেলায় সোর্স আর রাতের বেলা সাংবাদিক। অভিযোগ রয়েছে এদের কারনে পুলিশ সদস্যরাও কাজ কর্ম করতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা,যাত্রাবাড়ীতে এসব ভুয়া সাংবাদিকদের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা গেছে। কথিত সাংবাদিক পরিচয় দেয়া এসব ব্যক্তির হাতে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
তারা শুধু নামসর্বস্ব পত্রিকা বা অনলাইনের আইডি কার্ড বহনই করেন না বরং মূল ধারার জাতীয় দৈনিক কিংবা টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও মানুষকে জিম্মি করছেন। বেশ কিছু ভুয়া ও অখ্যাত পত্রিকা এবং অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয়ে অনেকে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।ভূয়া সাংবাদিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে খোদ পুলিশেরও অনেকটা ভুমিকা রয়েছে। কারণ, পুলিশের সঙ্গেই ওইসব ভূয়া ও নামধারী সাংবাদিকদের বেশি সখ্যতা। এরা প্রায়ই থানার ভিতরে দারোগাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকে। ‘দালাল’ হিসেবে ঘুষ বাণিজ্যে সরাসরি সহায়তা করে, পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবেও তারা বিশ্বস্থ! কারন অনেক পুলিশ সদস্য না চিনেই তাদের সুযোগ দিচ্ছেন।
কেইস ষ্টাডি-০৩ঃ-
সারা দেশে ‘ভুয়া মানবাধিকার কর্মি আর ভূয়া সাংবাদিক’দের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে। ভুয়া সাংবাদিকেরা বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পেতে এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা নিজেদেরকে ‘মানবাধিকার সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে নিরীহ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও এন্তার অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে এরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, দোকানপাট দখল, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে। এই চক্রে বিতর্কিত নারী সদস্যও থাকেন। এরা মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ‘প্রেস’ কিংবা ‘সংবাদপত্র’ লিখে পুলিশের সামনে দিয়েই  দাঁবড়ে বেড়ায়। এদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনও থাকে চোরাই এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্রবিহীন। ভূয়া সাংবাদিক আর কথিত মানবাধিকার কর্মিদের নানা অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব ফেসবুৃক সাংবাদিক আর মানবাধিকার নেতার জয়জয়কার চারিদিকে। এরাই এখন স্বঘোষিত সাংবাদিক নেতা।। এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা আজ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন।
সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগে এসব ভুয়া ও কার্ডধারীদের দৌড়াত্বে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ।  এক থেকে পাঁচ হাজার টাকায় সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীর কার্ড কিনে রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলা চষে বেড়াচ্ছেন অর্ধশতাধিক ভুয়া সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী। অসাধু চক্রের কাছ থেকে অখ্যাত অনলাইন পত্রিকা, অনলাইন টিভি চ্যানেল ও মানবাধিকারকর্মীর কিংবা অনিবন্ধিথত পত্রিকার কার্ড নিয়ে যথেচ্ছা করে বেড়াচ্ছেন এসব ব্যক্তিরা। সাংবাদিক সেজে মোটরসাইকেলে প্রেস ও সাংবাদিক লিখে বোকা বানাচ্ছেন বিভিন্ন মহলকে। অনেকের বিরুদ্ধে রীতিমত মাদক বহনের অভিযোগও উঠেছে।
সাংবাদিক পরিচয়দানকারী এসব ব্যক্তি  অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদ পড়ে ছুটে যান অভিযুক্তদের কাছে। নানা উছিলায় তারা এসব মানুষের কাছ থেকে আদায় করেন মোটা অংকের টাকা।
সারা দেশে ‘ভুয়া মানবাধিকার কর্মি আর ভূয়া সাংবাদিক’দের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে। ভুয়া সাংবাদিকেরা বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পেতে এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা নিজেদেরকে ‘মানবাধিকার সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে নিরীহ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও এন্তার অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে এরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, দোকানপাট দখল, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে।
সম্প্রতি রাজশাহী বিভাাগের প্রায় সকল উপজেলায়ই প্রেস ও সাংবাদিক লেখা মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। গলা ও কোমরে বাহারি রঙের পরিচয়পত্রও ঝুলছে তাদের। তাদের বেশিরভাগই নতুন মোটরসাইকেল চালান। বেশভুষা দেখে দাপুটে সাংবাদিক মনে হলেও পরিচয়পত্র চেক করলে চোখ ছানাবড়া হওয়ার অবস্থা। কারন তারা মফস্বলে থেকেও ষ্টাফ রিপোর্টার,বার্তা সম্পাদক কিংবা কেন্দ্রীয় নেতা।
হাইওয়ে পুলিশ কিংবা চেকপোস্টে দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এরা পুরো জেলা উপজেলা চষে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ এদের গাড়ির কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কি না, গাড়ি চোরাই কিংবা টানা কিনা চেক করতে পারছেন না সাংবাদিক ভেবে।
জানা যায়, রাজশাহীর পুঠিয়া ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিকদের পকেটে রয়েছে নামসর্বস্ব অনলাইন নিউজপোর্টাল, পত্রিকা ও টিভি এবং মানবাধিকারকর্মীর কার্ড। একটি অসাধু চক্র এক থেকে দশ হাজার টাকায় এসব কার্ড বিক্রি করছে। এদের কারনে বেড়ে চলেছে ভুয়া সাংবাদিকের সংখ্যা। সাংবাদিক সেজে গোটা উপজেলা দাপিয়ে বেড়ানো চক্রের মধ্যে এক সময়ের অনেক সন্ত্রাসী,দলীয় কর্মী কিংবা নেতা,হোটেল বয়,মুদি দোকানদার কিংবা এনজিও ও ইনসিওরেন্স কর্মীও  রয়েছেন। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে এসব ব্যক্তি সাংবাদিক পরিচয়ে অভিযুক্তদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট পত্রিকা অফিস না জানলেও সংবাদ বন্ধ করার কথা বলে অর্থ হাতাচ্ছেন। এমনকি তাদের অখ্যাত অনলাইন ও পত্রিকায় সংবাদ ছেপে দেয়ার হুমকি দিয়েও ব্লাকমেইল করছেন।
এদের অনেকের পকেটেই কেনা পরিচয়পত্র। মোটরসাইকেল সাংবাদিক ও প্রেস লিখে হম্বিতম্বি করে পথ চলছেন। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেক সময় অবৈধ মালামাল বহন করছেন। সাংবাদিকতার কার্ড বিক্রি করা চক্র ও ওই কার্ড কেনা চক্রকে খুঁজছে একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম, রাজশাহী পবা হাইওয়ে থানার ওসি মো. লুৎফর রহমান ও পুঠিয়া থানার পরিদর্শক মো. খালিদুর রহমান ক্রাইম ডায়রিকে জানিয়েছেন,  অনেক প্রতারক ও নামধারী সাংবাদিক  মহাসড়কে মোটরসাইকেলের সামনে ও পিছনে প্রেস ও সাংবাদিক লিখে প্রতারণা করছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। তারা অতি সত্তর আইনগত ব্যবস্থা নিবেন।
এ ছাড়া, প্রতিনিয়ত নানা ডিজাইনের বাইকে প্রেস বা সাংবদিক লিখে দাপটে পথ চলছে তারা। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় থাকে না। এদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। চক্রের কেউ কেউ সম্পাদক কিংবা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেজে সাংবাদিকতার কার্ড বিক্রি করছেন। এই সব বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত প্রতারক চক্রকে আটক করা হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
 
কেইস ষ্টাডি ০৫ঃ-
অলিতে গলিতে গজিয়ে উঠেছে নাম সর্বস্ব ভূয়া মানবাধিকার সংগঠন। যার মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই ভূয়া মানবাধিকার সংগঠনের কারনে মানবাধিকার শব্দটি আজ আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কারনে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ মানবাধিকার এর উপর থেকে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। মানবাধিকারের একটি চক্র জেল থেকে আসামী ছাড়ানো এবং নির্যাতিত মানুষকে আইনী সহায়তা প্রদানের নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। পাশাপাশি সারা দেশ ব্যাপী চলছে তাদের কার্ড বাণিজ্য। যাদের মানবাধিকার সম্বন্ধে নূন্যতম জ্ঞানও নেই তাদের হাতে মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে মানবাধিকার কর্মীর আইডি কার্ড। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে থানা কমিটি এবং ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলা কমিটি গঠনের অনুমোদনও দেয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্গের ছাতার মতো সারা দেশে খুলে বসেছে শাখা প্রশাখা, এমনও অনেক সংগঠন আছে যারা সরকারের কোন সংস্থারই অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু মাত্র প্রেস লেখা আইডি কার্ড কেনাবেচাই যাদের মূল পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার নামক সংস্থায় কাজ করে মুরগী আর পান ব্যবসায়ী, পেশাদার ছিনতাইকারীরা নামের আগে পিছে বসাচ্ছে সাংবাদিক। নিজের নাম লিখতে কলম ভাঙ্গে, সাংবাদিক বলতে গেলে উচ্চারণ করে বসে সামবাদিক, নিজের সংগঠনটির নাম পর্যন্ত বলতে পারে না-তারাই রাতারাতি মানবাধিকার-সাংবাদিক সংগঠনের নেতা বনে গেছেন।
কোনো এক ছড়াকার টিটকারির সুরেই ছন্দ মিলিয়ে লিখেছেন-
‘হঠাৎ করে এই শহরে এলো যে এক সাংবাদিক,
কথায় কথায় তোলে ছবি ভাবখানা তার সাংঘাতিক।
তিলকে সে বানায় তাল-তালকে আবার তিল,
চড়ুইকে সে পেঁচা বানায় কাককে বানায় চিল।
পুলিশ দেখে মুখ লুকিয়ে পালায় দিগ্বিদিক,
সবাই বলে লোকটা নাকি ভূয়া সাংবাদিক।’
পেশাদার সম্মানিত সাংবাদিকদের জন্য বিষয়টি লজ্জাকর হলেও ছড়া ছন্দের মতই ভূয়া সাংবাদিকরা দেশ জুড়ে বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ফেলেছে। সাংবাদিকদের মতো বেশভূষায় সেজেগুজে একশ্রেণীর প্রতারক অলিগলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত বাহিনী নিয়ে হামলে পড়ছেন সেখানে। প্রকৃত ঘটনা কি-সে ঘটনার আদৌ কোনো নিউজ ভ্যাল্যু আছে কি না, সেসব ভেবে দেখার ফুসরৎ তাদের নেই। তাদের দরকার নিজেদের প্রতাপ দেখিয়ে, আতংক ছড়িয়ে টুপাইস কামিয়ে নেয়া। টাকা পকেটে না আসা পর্যন্ত চিল্লাপাল্লা, হুমকি, ভীতি প্রদর্শনের সব কান্ডই ঘটিয়ে থাকেন তারা। রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত পল্লীর সাধারণ বাসিন্দারা পর্যন্ত কথিত সাংবাদিক কার্ডধারী ভূয়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন, তটস্থ থাকছেন। পেটে বোমা ফাটালেও দু’ লাইন লেখার যোগ্যতাহীন টাউট বাটপারের দল চাঁদাবাজিতে সিদ্ধহস্ত।
সম্প্রতি, সিলেটে ট্রাফিক সার্জেন্টকে হুমকি দেয়া ভূয়া স্বঘোষিত সাংবাদিক গ্রেফতারেও বেড়িয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সে ফেসবুকভিত্তিক পিকে টিভির (পৃথিবীর কথা টিভি) ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও মাতৃজগত নামে একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াত।
কেইস ষ্টাডি ০৬ঃ-
সাংবাদিকতার যে মহান পেশা সকল শ্রেণী-পর্যায়ের ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম, বিভ্রান্তি, অসঙ্গতির বিস্তারিত তুলে ধরে, এখন সে পেশার নাম ভাঙ্গিয়েই চলছে ভয়ংকর ফাঁকিবাজী, চাঁদাবাজি, জোর-জুলুমের হাজারো কারবার। কারা অপকর্মটি করছেন? অনেকেরই তা জানা আছে। সাংবাদিক না হয়েও সাংবাদিকতার বেশভূষা তাদের মূল পুঁজি। খ্যাত-অখ্যাত একাধিক গণমাধ্যমের ৪/৫টি আইডি কার্ড বুকে পিঠে ঝুলিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় সর্বত্র। যারা পেশাদার সাংবাদিক তাদের কারো না কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে সাইনবোর্ড হিসেবেও ব্যবহার করেন তারা। সম্ভব হলে সাংবাদিকদের কোনো সংগঠনে নিজের নামটা লিখিয়ে নেয়, তা না হলে নিজেরাই ‘সাংবাদিক’ ‘রিপোর্টার’ ‘প্রেসক্লাব’ শব্দ যোগ করে ভূইফোঁড় কোনো সংগঠন খুলে বসে। প্রয়োজনে টাকা-পয়সা খরচ করে রেজিস্ট্রেশনও করিয়ে নেয়। পেশাজীবী সংগঠন গড়তে, বৈধতা পেতে যেহেতু আলাদা কোনো নিয়ম কানুনের দরকার পড়ে না; সেই সুযোগে কাওরানবাজারের আলু পটলের ব্যবসায়ি, মুগদা-মান্ডার বংশানুক্রমের জেলেও এক মুহূর্তেই সাংবাদিক ফাউন্ডেশন নামক সংগঠনের রেজিষ্ট্রেশন পেয়ে যাচ্ছেন। তখন তাদের বুলি থাকে অন্যরকম-“আমি সাংবাদিক কি না সেটা আপনার জানার দরকার নাই, আমি সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট। আমি সাংবাদিক বানাই, আমার স্বাক্ষরে আইডি কার্ড দেয়া হয়। সুতরাং আমার পরিচয় আলাদাভাবে দেয়ার কি দরকার আছে? ভূয়াদের এতোসব সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ও কথিত ক্লাব-ইউনিটির দাপ্তরিক প্রতারণার ধকলে নানাভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষজন। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে মহান সাংবাদিকতার পবিত্র পেশাটিও।
খ্যাত-অখ্যাত একাধিক গণমাধ্যমের ৪/৫টি আইডি কার্ড বুকে পিঠে ঝুলিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় সর্বত্র। যারা পেশাদার সাংবাদিক তাদের কারো না কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে সাইনবোর্ড হিসেবেও ব্যবহার করেন তারা। সম্ভব হলে সাংবাদিকদের কোনো সংগঠনে নিজের নামটা লিখিয়ে নেয়, তা না হলে নিজেরাই ‘সাংবাদিক’ ‘রিপোর্টার’ ‘প্রেসক্লাব’ শব্দ যোগ করে ভূইফোঁড় কোনো সংগঠন খুলে বসে।
সম্প্রতি, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় তারেক হাসান (৩০) নামে দৈনিক নবতান পত্রিকার পরিচয়ধারী এক ভুয়া সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ সাংবাদিক পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় আদালত কর্তৃক ওয়ারেন্ট ছিল। গ্রেপ্তারকৃত তারেক উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের বিলবালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আনসার-ভিডিপির বহিষ্কৃত সদস্যসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারেক হাসান তার সহযোগী রবিউল ইসলাম সরিষাবাড়ী থেকে প্রকাশিত দৈনিক নবতান পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর রাতে শেরপুর সদর উপজেলার চরজঙ্গলদী দশানী বাজারে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক গণধোলাইয়ের শিকার হন। পরে শেরপুর সদর থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি একটি মামলা (নম্বর ১৫, তাং -১২-২০১৯) রুজু করে জেলহাজতে পাঠায়। পরে তারা জামিনে বের হয়ে আর আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। ছাড়াও তার স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত থাকায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়
কেইস ষ্টাডি ০৭ঃ-
আইন সহায়তা প্রদানের নামে গড়ে তোলা কথিত এক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এক হাজার টাকায় তাদের সদস্যপদ বিক্রি করছে। কোন থানা কমিটি করতে আগ্রহীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং জেলা কমিটির জন্য ১০ হাজার টাকা ফি আদায় করে নেয়। শর্ত দেওয়া হয়, সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে কোন টাকা আয় হলে তা আলোচনার মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আজীবন সদস্য হতে হলে দিতে হবে অন্তত ১০ হাজার টাকা। সংগঠনের কোন সদস্য সাংবাদিক হতে চাইলে ‘সাংবাদিক কার্ড’ বাবদ দিতে হবে আলাদা টাকা।
শুধু এই ফাউন্ডেশনই নয়, এভাবে সাধারন মানুষের সঙ্গে মানবাধিকারের নামে প্রতারনা করছে দেড় শতাধিক তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন। জয়েন্ট স্টক কোম্পানী ও ফার্মস এর দপ্তর থেকে সোসাইটি এ্যাক্টের অধিনে নিবন্ধন নিয়ে মানবাধিকারের নামে প্রতারনা করছে বিভিন্ন চক্র। এই প্রতারক চক্রের একটি বড় অংশ বিভিন্ন অখ্যাত আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার কার্ডধারী সাংবাদিক। .... সোসাইটি নামে একটি সংগঠনের প্রাদুর্ভাব রয়েছে দেশজুড়ে। সোসাইটি এ্যাক্টের অধিনে নিবন্ধন নেওয়া এই সংগঠনের আইডি কার্ডের উপরে বড় করে লেখা রয়েছে “গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সাাংবাদিক সংস্থা”। গভ: অফিস-000/এ মতিঝিল সি/এ (চতুর্থ তলা) ঢাকা। একই ভাবে মানবাধিকার ও পরিবেশ  এর নামে সাংবাদিক কল্যান সোসাইটি খুলে আরেকটি সংগঠন সদস্যদের ‘মানবাধিকার সাংবাদিক’ হিসেবে পরিচয়পত্র দেওয়ার নাম করে এক হাজার টাকা এবং বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন করে আঞ্চলিক পরিচালক, সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদের জন্য ৩ হাজার টাকা করে আদায় করছে।
মানবাধিকার সংগঠনের নামে প্রতারনার অভিযোগে ইতিপূর্বে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) থেকে ভুয়া সাংবাদিক ও তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন’ এর চেয়ারম্যান এসএম হুমায়ুন কবীরসহ তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। এই সংগঠনটিও ঢাকাসহ সারাদেশে টাকার বিনিময়ে প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তিকে ‘প্রেস’ লেখা আইডি কার্ড বিতরণ করেছে বলে জানা গিয়েছিল। একইভাবে ....... ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটি,......সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, ..... সাংবাদিক মানবাধিকার সোসাইটি, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি, বাংলাদেশ জাতীয় পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটি,.... হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি, .....কনজুমার এন্ড প্যাসেঞ্জার রাইটস , এশিয়ান ...... জার্নালিস্ট এন্ড ..... সোসাইটি নামের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নানারকম দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা যায়। কিম্ভূতকিমাকার নামধামের এসব মানবাধিকার সংগঠনের কর্মকান্ড মনিটরিং না করায় বাধাহীনভাবে তাদের অপকর্ম বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে  আরেক ভূয়া সংগঠন আর্ন্তজাতিক এই সংগঠনটির সরকারী কোন অনুমোদন না থাকলেও লেথা রয়েছে আর্ন্তজাতিক সনদপ্রাপ্ত, এই সংগঠনের মালিক এলাকার সাধারন মানুষকে সদস্য করা তাদের পাশে দাড়ানো এবং উপকার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা, অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের মালিক বেশীদিন এক স্থানে অফিস নিয়ে থাকতে পারেনা তার কারন কিছুদিনের মধ্যেই তার আসল রুপ জানতে পারে আর সে জন্য সে রাতের আধারে পালিয়ে গিয়ে অন্যস্থানে ভিন্ননামে সংগঠন খুলে বসে প্রতারনা করছে  প্রতিনিয়ত।
কেইস ষ্টাডি ০৮ঃ-
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির জন্য ক্রাইম ডায়রি সম্পাদকের নেতৃত্বে টিম ক্রাইম ডায়রি বিগত এক সপ্তাহ প্রতি রাতে নিয়মিত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা সার্ভে করে প্রতিবেদন তৈরির প্রয়োজনীতা দেখতে পায়।   রাজধানীর থানাগুলোতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত  নামধারী সাংবাদিকদের দৌড়াত্ব লক্ষ্য করা যায়।  বিভিন্ন নামের হরেক আকৃতির পত্রিকা আর মানবাধিকার সংগঠনের ‘সাংবাদিক কার্ডধারীরা’ থানা-পুলিশের দালালি ও তদবির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। অনেকে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে প্রকাশ্যেই পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি’র সোর্সের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। সংগঠনগুলো থেকে দেয়া আইডি কার্ডসমূহে ‘মানবাধিকার লংঘন সংক্রান্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা’ ফিল্ড অফিসার, জোনাল অফিসার (ইনভেস্টিগেশন), থানা কমিটির সেক্রেটারী, মহানগর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর (তদন্ত সেল), পরিচালক (তদন্ত) ইত্যাদি পদবী লেখা থাকে। সন্ধ্যার পর একেকটি থানা চত্বরে, আশপাশের চা দোকানে, দারোগাদের টেবিলে টেবিলে ১৫/২০ জন কথিত সাংবাদিক ও তথাকথিত মানবাধিকার কর্মির জটলা থাকে। থানা, ফাঁড়ি, পুলিশ ষ্টেশন কেন্দ্রিক তথাকথিত সাংবাদিক আর মানবাধিকার তদন্ত কর্মকর্তার সংখ্যা কত-তা হিসেব কষে বলা মুশকিলই বটে। থানায় থানায় গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ কেন্দ্রিক কি কাজ তাদের ?
 কেইস ষ্টাডি ০৯ঃ-
চট্টগ্রাম নগর জুড়ে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য চরম ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সকল ভুয়া সাংবাদিকরা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে এরা কখনো সাংবাদিক, কখনো মানবাধিকার কর্মী, কখনো ডিবি, কখনো ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এদের পড়ালেখা সাংবাদিকতায় নেই কোন যোগ্যতা ব্যক্তিগত মোটর সাইকেল কিংবা মাইক্রোবাসের সামনে প্রেস লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত মাদকসেবী থেকে শুরু করে গার্মেন্টস্ কর্মী, টেম্পু ড্রাইভার, বাসার দারোয়ান, হোটেল বয়, এনজিও কর্মী এরা সবাই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে হাতিয়ে বেড়াচ্ছে এদের কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি থেকে শুরু করে নিরীহ ব্যবসায়ী গার্মেন্টস্ কর্মীরা বিশেষ করে নগরীর ইপিজেড, বন্দর, পতেঙ্গা, আকবর শাহ্ বায়েজিদ এলাকায় এদের বিচরণ বেশী
সকল ভুয়া সাংবাদিকদের কারণে পেশাজীবি সাংবাদিকরাও বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মূখিন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে। গত ২৮ জুন নগরীর ইপিজেড এলাকায় পেশাজীবি সাংবাদিক সংগঠনের নামে বিভিন্ন অনলাইন নাম সর্বস্ব আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকার অখ্যাত-কুখ্যাত সাংবাদিকরা ঈদ পূর্ণমিলনীর নামে ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায় যে, ভয়ানক চক্রটি চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির নামে একটি সংগঠনের সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দাওয়াত-পত্র বিলির নামে ব্যাপক চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়। বিষয়ে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কিরণ শর্মা সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন; কথিতভূইফোড় সাংবাদিকসংগঠনটির চট্টগ্রাম নগরীতে কোন অস্বিত্ব না থাকলেও সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে আমার পরিচয় দিয়ে আমাকে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করে।  বিষয়টি আমার নজরে পড়ায় আমি তাৎক্ষনিক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ঘটনাটি অবহিত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছি। পরবর্তীতে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করেভূইফোড় সাংবাদিকসংগঠনটির অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়
সংগঠনের সদস্য তথাকথিত সাংবাদিকরা হলেন- মোস্তফা তালুকদার (পান বিক্রেতা), হাসান বিশ্বাস ও আতর আলী (যাত্রা দলের সদস্য), সোহাগ সরদার (নারী ব্যবসায়ী), রতন মল্লিক বাপ্পী (পলাতক মামলার আসামী), এমদাদ (এনজিও কর্মী) এরা ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে নগরীর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক, ইয়াবা পাচার, নারী পাচারসহ একাধিক অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার মতো অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায় যে, এরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন অপরাধে মামলার আসামী সাংবাদিক পরিচয়ে গাঁ ঢাকা দিয়ে অপরাধ প্রবণতা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। চক্রের সদস্য সোহাগ সরদার  মুন্না গত জুলাই পিরোজপুর নেছারাবাদে ২৫০ পিস ইয়াবাসহ স্থানীয় প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে। এর আগে চলতি বছরের জুন মাসে ঈদুল ফিতরের দুই দিন পূর্বে চট্টগ্রাম শহরের একে খাঁন নাম জায়গায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বাস ষ্ট্যান্ডে চাঁদাবাজিকালে গণপিটুনির স্বীকার হয়। সরেজমিনে প্রতিবেদনটি তৈরীকালে জানা যায়, নগরীর ইপিজেড বন্দর থানার বিভিন্ন হোটেল রেস্তুরা, বেকারী, জুয়ার আসর থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাদরে বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করার একাধিক অভিযোগও রয়েছে
চক্রের সদস্যরা সকালে গার্মেন্টস্ কর্মী, বিকেলে সাংবাদিক, সন্ধ্যার পর তাদের ভাড়াকৃত বিভিন্ন মাইক্রোবাসে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা অনলাইন টিভির লগো লাগিয়ে ডিবি ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে তাদের নিজস্ব টার্গেটের নিরীহ জনগণ ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ গিয়েছে। প্রাপ্ত সূত্রে জানা জানা যায়, উক্তভূইফোড় সাংবাদিকসংগঠনটি তাদের ঈদ পূর্ণমিলনীর নামে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির মাধ্যমে টাকা আদায় করা হলেও নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠানটি প্রশাসনিক ভাবে বন্ধ করে দেয়া হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি থেকে ঈদ পূর্ণমিলনীর নামে আদায়কৃত কয়েক লক্ষ টাকা এখনো পর্যন্ত সংগঠনটি ফেরত দেয়নি
কেইস ষ্টাডি ১০ঃ-
মোটা অঙ্কের টাকার চুক্তিতে ঢাকা থেকে মানববন্ধনের সংবাদ কভার করতে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ্যাবের হাতে ধরা পড়েছে ভুয়া সাংবাদিক। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার এলাকা থেকে ্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে। সন্ধ্যায় তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটকরা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতো বলে জানিয়েছেন ্যাব কর্মকর্তারা। আটক ভুয়া সাংবাদিকরা হচ্ছে ঢাকার খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া এলাকার এসএম হোসেনের ছেলে সরকার শিপলু (৩৬), ঢাকার উত্তর খান এলাকার আকাশ আহমেদের ছেলে মো. রুবেল (৩০), আগারগাঁও তালতালার সত্তার শিকদারের ছেলে রুবেল শিকদার (২৫), রামপুরার আল আমিনের মেয়ে আয়েশা শিকদার (২১), দারুসসালাম বর্ধনবাড়ির মো. কামালের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), পটুয়াখালীর গলাচিপার আবু জাফরের ছেলে আহসান উদ্দিন (৩৪), একই জেলার বাউফল কেশবপুরের শাহআলমের ছেলে আহসান (৩৪), খুলনার শেখপাড়ার সেলিম খানের তানজির খান রনি (৩৫), শরিয়তপুরের নাড়িয়া নশাসন গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান মো. হাফিজ (৩৩) তাদের বহনকারী হায়েস মাইক্রোবাসটিও আটক করা হয়
এদেশে কামাল লোহানী, আকরাম হোসেন খাঁন, রেহমান সোবহান এর মতো ব্যক্তিত্বও মানবাধিকার কর্মি- অন্যদিকে যাত্রাবাড়ীর হেরোইনসেবী, পেশাদার গ্রিলকাটা চোর হিসেবে খ্যাত ব্যক্তিরাও হয়েছেন মানবাধিকার রক্ষা পরিষদের তদন্ত সেলের কো-অর্ডিনেটর। একইভাবে খুশী কবির, এলিনা খান’রা যখন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন- তখন এর বিপরীতে মিরপুর থানার তালিকাভুক্ত দেহ ব্যবসায়ি, পরপর তিন বার গ্রেফতার হয়ে জেল খাটা আসামি ও  শক্ত অবস্থান নিয়ে মানবাধিকারের আইডি কার্ড ব্যবহার করছেন। তাদের চাররঙা ভিজিটিং কার্ডে লাল হরফে লেখা আছে ‘মাদক রোধ ও মানবাধিকার সংঘ’, রেজিঃ নং-। মনে আছে আইরিন নামধারী এক নারীর কথা। তিনি তার কার্ডের নিচে মোটা অক্ষরে আইরিন সুলতানা’র পদবীর ঘরে লিখেছেন মানবাধিকারের যুগ্ম সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, সদস্য সচিব-ঢাকা মহানগর কমিটি এবং ভাইস চেয়ারম্যান-মিরপুর থানা কমিটি। তার বাসা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জন দেহজীবি ও চার জন খদ্দেরকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় গ্রেফতার করেছিল। তাদেরকে ছাড়ানোর জন্য তিনি থানার ভিতরে ঢুকে তদবির ছোটাছুটিতে ব্যস্ত ছিলেন। তদবিরকালে থানা পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তাকে তিনি টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছিলেন, আবার কোনো কোনো কর্মকর্তার হাতে নিজের ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে হুমকি ধমকিও দিচ্ছিলেন। হায়রে কি ধরনের সেলুকাস ?! কত বৈচিএময় সাংবাদিকতা আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
ক্রাইম ডায়রি//তথ্যসুত্রঃ সরেজমিন অনুসন্ধান ও অনলাইন //ক্রাইম //জাতীয়