চিকিৎসক না হয়েও চিকিৎসাঃভ্রাম্যমাণ আদালতে জড়িমানা

তিনি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও মাস্টার্স পাশ করলেও ওই ক্লিনিকে বসে শিশু ও নারীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাপত্র/ব্যবস্থাপত্র দিতেন।

চিকিৎসক না হয়েও চিকিৎসাঃভ্রাম্যমাণ আদালতে জড়িমানা

তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করেননি তবুও চিকিৎসা দিতেন সবাইকে। এমনই একজন চিকিৎসক একজন শিশুকে ভূল চিকিৎসা করায় অবশেষে ধরা পড়লেন।

গাজীপুর সংবাদদাতাঃ

তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করেননি তবুও চিকিৎসা দিতেন সবাইকে। এমনই একজন চিকিৎসক একজন শিশুকে ভূল চিকিৎসা করায় অবশেষে ধরা পড়লেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় চালাবাজার এলাকায়।  চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া না করে রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দেয়ার অভিযোগে রোববার রাতে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত । তার নাম মো. জালাল উদ্দিন (৩৮) । তিনি স্থানীয় চালাবাজার এলাকার মো. হাসান আলীর ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ইসমত আরা। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. ইসমত আরা জানান, জালাল উদ্দিন চালাবাজারে মায়া ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিক সেন্টার খুলেছেন। তিনি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও মাস্টার্স পাশ করলেও ওই ক্লিনিকে বসে শিশু ও নারীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাপত্র/ব্যবস্থাপত্র দিতেন। রোববার সন্ধ্যায় চিকিৎসা নিয়ে বের হওয়ার পর এক শিশুর ব্যবস্থাপত্র জব্দ করে ক্লিনিকে জালাল উদ্দিনকে দেখালে তা নিজের দেয়া বলে স্বীকার করেন তিনি।

এ সময় জালাল উদ্দিন জানান, ক্লিনিকে ডাক্তারের অবর্তমানে ওই শিশুকে এ চিকিৎসাপত্র প্রদান করেছেন। পরে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেছেন তিনি ডিগ্রিধারী কোনো চিকিৎসক নন। ২০০৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় এক কলেজ থেকে তিনি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতক ও মাস্টার্স পাশ করেছেন। ইউএনও আরও বলেন, চার মাসের ওই শিশুকে ব্যবস্থাপত্রে যে ওষুধ ও সেবনের ডোজ উল্লেখ করেছেন তা ৬ বছর বয়সী শিশুর বেলায় প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ক্রাইম ডায়রি//জেলা