ভালুকার কাদিগড়ে জোর পূর্বক কৃষকদের ধান নিয়ে যাচ্ছে সেচ সন্ত্রাসীরা

বর্তমান সিদ্ধান্তে শতাংশ প্রতি ৪৮ টাকা করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে৷

ভালুকার কাদিগড়ে জোর পূর্বক কৃষকদের ধান নিয়ে যাচ্ছে  সেচ সন্ত্রাসীরা
ছবি-ক্রাইম ডায়রি
ভালুকার কাদিগড়ে জোর পূর্বক কৃষকদের ধান নিয়ে যাচ্ছে  সেচ সন্ত্রাসীরা

সেচ বিভাগের ব্যাপক প্রচার না থাকায় সাধারন মানুষ জানতেও পারছেনা কতটা কম মূল্যে তারা সেচ পাবার হকদার

বিশেষ সংবাদদাতাঃ

বিট্রিশ নীলকরেরা এখন নেই। কিন্তু রয়ে গেছে নীলকর কায়দায় কৃষক নির্যাতনের সেই ছিলছিলা। আর এ ধরনের ঘটনা ঘটছে ভালুকার কাদিগড় গ্রামে। তবে কাদিগর একটি প্রতীক, সেচ সন্ত্রাসীদের নির্মমতার প্রতীক। এমন কাদিগর সারাদেশের আনাচে কানাচে। 

সেচ সন্ত্রাসীদের আখড়া যেখানেঃ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা।  সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্ধারিত অর্থের বাইরে জোর পূর্বক কৃষকের জমি থেকে ধান নিয়ে যাচ্ছে এই উপজেলার কাদিগড় গ্রামের গভীর নলকূপের সদস্যরা। 

ধান না দিলে কৃষকদের জমিতে ধান কাটতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। পাকা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষকরা। আধুনিক বাংলাদেশেও এমন ঘটনা কিন্তু নীরবেই ঘটে সারাদেশে।

  অত্যাচারীদের আধ্যাত্বিক সিন্ডিকেট সারাদেশ হতে সারাবিশ্বে বিস্তৃত।  এদের অত্যাচারের ধরন একইরকম। দেশের অনেক জায়গাতেই এভাবেই সেচের ভাগ নেয় ওরা।

সেচ বিভাগের ব্যাপক প্রচার না থাকায় সাধারন মানুষ জানতেও পারছেনা কতটা কম মূল্যে তারা সেচ পাবার হকদার। সরকারের কৃষকদের প্রতি এমন সহযোগিতা ও সহমর্মিতার কথা শুধু  যেন কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে সেচ সন্ত্রাসী ও তাদের দোসররা।

 এ যেন ব্রিটিশ আমলের নব্য নীলকর। মাত্র ৪৮ টাকা যেখানে বিল সেখানে ধান কেটে নেয়া মানে লাভের পুরোটাই তাদের পকেটে আর কৃষকের সর্বনাশ।

সরকার যেখানে কৃষকদের জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে সেখানে এরা কৃষকদের জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখানোর এতো দুঃসাহস পায় কিভাবে! 

উল্লেখ্য কোন কৃষকের জমিতে যে ফসল হয় স্কীমের আওতায় ৪ ভাগের ১ ভাগ নিয়ে যেত স্কীমের সদস্যরা। কৃষককে নিজের খরচে সেই ধান কেটে খড় সহ দিয়ে দেওয়া হতো৷ 

বর্তমান সিদ্ধান্তে শতাংশ প্রতি ৪৮ টাকা করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে৷ 

এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের নজরদারী বৃদ্ধিসহ সংশ্লিষ্ট  উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সাধারণ কৃষকরা।

ক্রাইম ডায়রি // কৃষি