স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় দর্শনা থানার ওসি (তদন্ত) ঢাকায় গ্রেফতার

অনেকেই বলছেন তিনি পুরুষ নির্যাতনের শিকার। নারী নির্যাতন দমন আইনে তার স্ত্রী ফারজানা খন্দকারের করা মামলায় তাকে ঢাকার রাজাবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় দর্শনা থানার ওসি (তদন্ত) ঢাকায় গ্রেফতার
ছবিঃ অনলাইন হতে সংগৃহীত
গ্রেফতারকৃত পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।  ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এমএ জলিল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধিঃ
কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। যিনি একসময় অসংথ্য মানুষকে গ্রেফতার করেছেন  সময়ের হেরফেরে তিনিই হাতকড়া পড়ে আসামী হয়ে গ্রেফতার হলেন তারই সহকর্মী পুলিশ সদস্যদের হাতে। সম্প্রতি, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক ( ওসি তদন্ত) মো. শামসুদ্দোহাকে (৪০) গ্রেফতার করা হয়েছে।ফেব্রুয়ারী ২৩,২০২২ইং , বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে গুলশান থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর শুক্রবার সকালে শামসুদ্দোহাকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় আনা হয়। 
 
জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।  ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এমএ জলিল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত। নারী নির্যাতন দমন আইনে তার স্ত্রী ফারজানা খন্দকারের করা মামলায় তাকে ঢাকার রাজাবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
মামলা সুত্রে জানা গেছে, তার স্ত্রী ফারজানা খন্দকার বাদী হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ইং ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় শামসুদ্দোহাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ বিষয়ে  ফারজানা খন্দকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট পারিবারিকভাবে শামসুদ্দোহার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত তিনি ফরিদপুরে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ওই বছরের নভেম্বর মাসে সামসুদ্দোহা তাকে তার কর্মস্থল যশোরে নিয়ে যান। সেখানে ভাড়া বাসায় উঠেন। 
তিনি জানান, যশোরে যাওয়ার কয়েক দিন পর থেকেই স্বামীর আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। ওই সময় তিনি জানতে পারেন, অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত শামসুদ্দোহা। এ ব্যাপারে তিনি বাধা দিলে ওই সময় থেকেই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়।   কিছুদিন পর শামসুদ্দোহা প্রমোশনের জন্য ৭০ লাখ টাকা বাবার কাছ থেকে এনে দিতে বলেন। তিনি ১৫ লাখ টাকা এনেও দেন, কিন্তু সে তাতে খুশি হয়নি। এরপর নির্যাতন বাড়তে থাকে। 
শামসুদ্দোহা প্রতিদিন নেশা করে মারপিট করত দাবি করে তিনি বলেন, ওই সময় আমি সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসি। তখন আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাবার বাড়িতেই আমি ছেলেসন্তানের মা হই। সন্তানের বয়স এখন দুই বছর। সন্তানের মুখ পর্যন্ত এখনো দেখেনি শামসুদ্দোহা।  ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের বলেন, শুক্রবার বিকালে শামসুদ্দোহাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে একটি পক্ষ বলছে শামসুদ্দোহা নিরাপরাধ ও পুরুষ নির্যাতনের শিকার।
ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম