চাঁরাগাঁও সীমান্তে কয়লা ও মাদকের জমজমাট বাণিজ্যের অভিযোগ

চাঁরাগাঁও সীমান্তে কয়লা ও মাদকের জমজমাট বাণিজ্যের অভিযোগ

মুজাম্মেল হক, সুনামগঞ্জ থেকেঃ   

সুনামগঞ্জের চাঁরাগাঁও সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রায় ২মাস যাবত সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁরের পাশাপাশি কয়লার বস্তার ভিতরে করে মদ,গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করা হচ্ছে বলে জানাগেছে। চিহ্নিত চোরাচালানীরা নিজেদেরকে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সোর্স পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে তাদের অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে থানায় রয়েছে মাদকসহ আরো একাধিক মামলা। এলাকাবাসী জানায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চাঁরাগাঁও সীমান্তের ১১৯৬ পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রতিরাতে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বস্তা ভর্তি করে ১০মে.টন কয়লার সাথে কয়লার বস্তার ভিতরে করে মদ,গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করছে লালঘাট গ্রামের মাদক মামলা আসামী-বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী আব্দুল আলী ভান্ডারী, রমজান মিয়া, শরফত আলী, আবুল মিয়া, খাইরুল মিয়া ও খোকন মিয়াগং। তারা প্রথমে একই গ্রামের চোরাচালানী জসিম মিয়া ও হারুন মিয়া ছোট বারকি নৌকা দিয়ে অবৈধ কয়লা ও মাদক পাচাঁর করে পরিবহন করে পাশর্^বর্তী সমসার হাওরে নিয়ে চোরাচালালানী খোকন মিয়ার নৌকায় বোঝাই করে। এরপর সেই অবৈধ মালামাল পাটলাই নদী পথে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার বাজার সংলগ্ন দক্ষিণে অবস্থিত ব্রিজের কাছে নিয়ে বিক্রি করে চোরাচালানী খোকন মিয়া । পাচাঁরকৃত ১ বস্তা কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৬০টাকা চাঁদা নেয় সোর্স রমজান মিয়া। অন্যদিকে একই সীমান্তের বাঁশতলা তেতুল গাছের নিচ দিয়ে প্রতিরাতে অবৈধভাবে  ৮মে.টন কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতর লুকিয়ে রাখে চাঁরাগাঁও গ্রামের বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও তার মামতো বোন জামাই বাবুল মিয়াগং। পরে সেই অবৈধ কয়লা শ্যালক শফিকুল ও দুলাই ভাই বাবুল মিলে প্রতিটনে ১হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে চোরাচালানী খোকন মিয়ার নৌকার মাধ্যমে একই জায়গাতে নিয়ে বিক্রি করে। এব্যাপারে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার নির্মল বলেন, শফিকুল ইসলাম ভৈরবকে চিনি কিন্তু অন্যদেরকে চিনি না এবং বিজিবির কোন সোর্স নাই। সঠিক তথ্য পেলে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশনে ব্যবসায়ী আমির হোসেন,জমির আলী,লাল মিয়া,কবিরুল ইসলাম,সাজিদুর রহমান,আব্দুর রহমান,রাশেদুল ইসলামসহ আরো অনেকে এমন অভিযোগ করেন।  সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান  জানান সুশীল সমাজ।

ক্রাইম ডায়রি// ক্রাইম