সোনালী আঁশের সোনালী দিন ফিরে আসবে,পাটচাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে খুলনা

পাট চাষে জমি উর্বর থাকে। পাট হলো সবুজ সার। শস্য চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পাট খড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পাট দিয়ে এখন বিভিন্ন প্রকার পাটজাত পণ্য তৈরি করা যাচ্ছে বাজারেও যার যথেষ্ট চাহিদা ও কদর রয়েছে। তাছাড়া পাটেরবাজার দরও বাড়ছে।

সোনালী আঁশের সোনালী দিন ফিরে আসবে,পাটচাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে খুলনা
ছবি-অনলাইন হতে সংগৃহীত

বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা পুনরায় পাট চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বিপরীতে ৩৭৫ হেক্টর (২০ হেক্টর বেশি) জমিতে বিজেআরআই তোষা জাতের পাট-৮ চাষ হয়েছে। 

প্রকৌশলী আয়াতুস সাইফ মুন,খুলনা হতেঃ

সোনালী আঁশ পাট। সোনালী আঁশের সেই সোনালী দিন আর নেই। তবুও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন চাষীরা। আশা একদিন সোনালী আঁশের সোনালী দিন ফিরবে। আর এতে  এগিয়ে আছে খুলনা বিভাগ। খুলনার পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৩৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। এতে সুদিনের প্রত্যাশায় চাষিরা।

গত বছর থেকে চলতি মৌসুমে পাটের বাজারদরও বেশ ভালো। উপজেলায় গত বছরের তুলনায় পাট চাষ বেড়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হবে বলেও আশা করছে কৃষি বিভাগসহ উপজেলার পাট চাষিরা।

 জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও উপজেলার প্রায় সর্বত্র পাটের চাষ হত। বলতে গেলে এমন কোনো জমি ছিল না, যেখানে পাটের চাষ হত না। তবে ধীরে ধীরে পাটের বাজারদর কমতে থাকায় লোকসানের মুখে পড়ে চাষীরা। পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে অনেকেই পাটের জমিতে গড়ে তোলেন নার্সারি। কেউবা আবার মৎস্য ঘের। এমনকি আগের পাট চাষ করা জমিতে উপজেলার গদাইপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় নানা ধরনের নার্সারি গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট চাষ একেবারেই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাট চাষে জমি উর্বর থাকে। শস্য চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পাট খড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পাট দিয়ে এখন বিভিন্ন প্রকার পাটজাত পণ্য তৈরি করা যাচ্ছে বাজারেও যার যথেষ্ট চাহিদা ও কদর রয়েছে। তাছাড়া পাটেরবাজার দরও বাড়ছে।

এ ব্যাপারে সহকারী পাট কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ কুমার বৈদ্য স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ৬৩৩ একর জমিতে পাট চাষে কৃষকদের সরকারি প্রণোদনার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে।

জানা গেছে, বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা পুনরায় পাট চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বিপরীতে ৩৭৫ হেক্টর (২০ হেক্টর বেশি) জমিতে বিজেআরআই তোষা জাতের পাট-৮ চাষ হয়েছে। 

ক্রাইম ডায়রি/কৃষি