গৃহায়নের প্রকৌশলী ঘুষের টাকাসহ দুদকের হাতে গ্রেফতার
মুহাম্মদ মোরশেদ আলম সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সেবাগ্রহীতার ফাইল আটকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

মুহাম্মদ মোরশেদ আলম সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সেবাগ্রহীতার ফাইল আটকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মার্চ ৩,২০২৪ইং সোমবার তার নিজ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে দুদকের দিনাজপুর অফিসের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের একটি টিম।
এ সময় মোরশেদ আলমের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকাসহ বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রিভাইজড প্ল্যান অনুমোদন, খণ্ড জমি বরাদ্দ ও প্লটের বাণিজ্যিক অনুমোদনে ঘুষ দাবির অভিযোগে দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. নূর আলম, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. বুলবুল আহমেদ, উপসহকারী পরিচালক কামরুন্নাহার সরকার ও সাগর কুমার সাহা অভিযানে অংশ নেন।
অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম উপসহকারী প্রকৌশলী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ মোরশেদ আলম দুদকে অভিযোগকারীর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে নেওয়া দেড় টাকাসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে দুদক টিম নিশ্চিত হয়েছে যে, মুহাম্মদ মোরশেদ আলম সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সেবাগ্রহীতার ফাইল আটকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
মুহাম্মদ মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ সনের ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পরে আসামিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ক্রাইম ডায়রি / অপরাধ