মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
শাহাদাত হোসেন রিটনঃ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থ সরবরাহ কমাতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ষান্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রানীতিতে রেপো হার বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমাও তুলে দেওয়া হয়েছে।
জুন ১৯, ২০২৩ইং রোববার বেলা তিনটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন এসব পরিবর্তনের কথা জানান। তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় আন্তরিক। তাই তারা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে অর্থ সরবরাহ কমাতে চায় ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বর্তমানে সারাবিশ্বে চার ধরনের লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক মুদ্রানীতি প্রচলিত আছে। সুদহার, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রা সরবরাহ এবং বিনিময় হার টার্গেটিং। বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন ‘মূল্যস্ফীতি টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে আসছিল। এবার ‘সুদহার টার্গেটিং’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। মুদ্রানীতিতে এটা কাঠামোগত পরিবর্তন বলা হয়। গভর্নর বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে টাকার চাহিদা কমাতে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। ঋণের সুদহারের যে ৯ শতাংশ ক্যাপ ছিল তাও তুলে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন সুদহার ব্যবস্থা হলো ‘স্মার্ট’ তথা শর্ট টার্ম মুভিং এভারেজ রেট। ১৮২ দিন মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদের সঙ্গে আপাতত সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ করিডোর বা সীমা দেওয়া থাকবে। বর্তমানে ট্রেজারি বিলের গড় সুদহার ৭ শতাংশের নিচে রয়েছে। এর মানে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার হবে ১০ দশমিক ১০ শতাংশের আশপাশে। তিনি জানান, নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি হার হিসাবে বিবেচিত রেপো সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো জরুরি প্রয়োজনে অর্থ নিলে গুণতে হবে অতিরিক্ত সুদ। পাশাপাশি রিভার্স রেপো ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৪ শতাংশ ২৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা রাখলে ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে বেশি সুদ পাবে ফলে তারা জনগনকে বেটার সার্ভিস দিতে পারবে।
ক্রাইম ডায়রি/ অর্থ বানিজ্য