রমজান মাসে প্রতিদিন দেশের সকল বাজারে অভিযান চালাবে বিএসটিআই

মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ লিফলেট বিতরণ করা হবে। এসব কার্যক্রম পরিচালনার সময় অনৈতিকভাবে ব্যবসায়ীরা যাতে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে না পারেন, তা মনিটরিং করবে বিএসটিআই। 

রমজান মাসে প্রতিদিন দেশের সকল বাজারে অভিযান চালাবে বিএসটিআই
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

রমজানে ভেজাল প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। 

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

সারাদেশে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা ও অবৈধভাবে উৎপাদিত পণ্য উৎপাদন বন্ধ করে বেশ সারা ফেলেছে বিএসটিআই। এরই ধারাবাহিকতায় পবিত্র রমজান মাসে পণ্যে ভেজাল রোধ, মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে ঢাকার বাজারে প্রতিদিন তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। জাতীয় মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। বন্ধের দিনও চলবে এ কার্যক্রম। পাশাপাশি সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ কার্যক্রম চলানো হবে। 

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক আবদুস সাত্তার প্রমুখ। 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ন্যায্যমূল্যে সংগ্রহ করতে পারে, সে চেষ্টা চলছে। রমজানে ভেজাল প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, রমজানে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং পণ্যের ওজন ও পরিমাপে কারচুপি রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হচ্ছে। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বিএসটিআই। একই সঙ্গে র‌্যাব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ লিফলেট বিতরণ করা হবে। এসব কার্যক্রম পরিচালনার সময় অনৈতিকভাবে ব্যবসায়ীরা যাতে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে না পারেন, তা মনিটরিং করবে বিএসটিআই। 

মন্ত্রী বলেন, আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর যে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করে থাকেন, সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এ সময় ফলমূল, পানীয়, ফলের সিরাপ, মুড়ি, খেজুর, কোমল পানীয় পাউডার, কার্বোনেটেড বেভারেজ, ভোজ্যতেল, সরিষার তেল, ঘি, পাস্তুরিত দুধ, নুডলস, সেমাই, পানি, ডেক্সট্রোজ মনোহাইড্রেট এবং ইফতার সামগ্রীর মান ও দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। 

তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে মোট ৮২৬টি খাদ্যপণ্য সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৭৭৪টির। যার মধ্যে মানসম্মত নমুনা ৭৬০টি, নিম্নমানের নমুনা ১৪টি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও ৫২টি নমুনা পরীক্ষাধীন রয়েছে। নিম্নমানের পণ্য সরবরাহকারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রমজানের আগে হাইকোর্টের নির্দেশে এবং জনস্বার্থ বিবেচনা করে বিএসটিআই ফলমূলে ফরমালিন পরীক্ষা করে থাকে। এ বছর ১৯২টি নমুনা বাজার থেকে ক্রয় করে ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। তবে কোনোটিতে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।রমজানমাস ব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে মানহীন পণ্য বন্ধ করার মাধ্যমে বিএসটিআই জনগণকে সেবা দিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা সুধী মহলের। 

ক্রাইম ডায়রি/// জাতীয়