ফেসবুক,ইউটিউব ও গুগল হতে রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

The High Court directed to collect revenue from Facebook, YouTube and Google

ফেসবুক,ইউটিউব ও গুগল হতে রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ 

এবার যথাযথ উদ্যোগ নিল হাইকোর্ট। একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  সকল ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানি যেমন গুগল-ফেসবুক, ইউটিউব, অ্যামাজন কোম্পানিগুলোকে পরিশোধিত অর্থ থেকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সব ধরনের ট্যাক্স, ভ্যাট এবং অন্যান্য রাজস্ব আদায় করতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। নভেম্বর  ৮, ২০২০ইংরোববার বিচারপতি  মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার  মোহাম্মদ  হুমায়ন কবির পল্লব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার  মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক ও ব্যারিস্টার সাজ্জাদুল ইসলাম। ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, গুগল- ফেসবুক এবং অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি  দেয়ার বিষয় এবং বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনের লক্ষে জনস্বার্থে দায়ের করা রিট পিটিশন এর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিবাদীদের প্রতি পাঁচটি নির্দেশনা জারি করেছেন।

এগুলো যথাক্রমে -----

এক. দ্রুত  সকল ইন্টারনেট ভিত্তিক  কোম্পানি যেমন গুগল-ফেসবুক,  ইউটিউব, অ্যামাজন  কোম্পানিগুলোকে পরিশোধিত অর্থ থেকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সব ধরনের ট্যাক্স, ভ্যাট এবং অন্যান্য রাজস্ব আদায় করতে হবে।  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে এ আদেশ প্রদান করা  হয়েছে।

দুই. ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ থেকে বিগত পাঁচ বছরে পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে আনুপাতিক হারে বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে হবে।

তিন. উক্ত রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর হলফনামা আকারে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে।

চার. এ রায়টি একটি চলমান আদেশ বা কন্টিনিউয়াস ম্যানডেমাস হিসেবে বলবৎ থাকবে।

পাঁচ. এ রায় বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে বাংলাদেশের  যেকোনো নাগরিক যেকোনো সময় আদালতে আবেদন দাখিল করে প্রতিকার চাইতে পারবেন।

২০১৮ সালে একটি পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন ব্যারিস্টার  মো. হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার  মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার  মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার  মো. সাজ্জাদুল ইসলামসহ ছয় জন আইনজীবী জনস্বার্থে এই রিট পিটিশনটি দাখিল করেছিলেন বলে জানা গেছে।  এতে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব আদায় হবে অপরদিকে খরচ বাড়ায় যথেচ্ছ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই মনে করছেন এতে যুব ও কচিঁকাঁচারা অনলাইন মাধ্যমের খারাপ প্রভাব মুক্ত হবে।

ক্রাইম ডায়রি //অর্থ