আমরা কেজি দরে তরমুজ কিনব না, আমি প্রতিজ্ঞা করেছি,আপনি?- ওমর সানী

ওমর সানী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ‘ফেরাউনের প্রথম ব্যবসা ছিলো তরমুজের ব্যবসা। ফেরাউন তরমুজ পিস হিসেবে কিনে এনে দাঁড়ি-পাল্লায় মেপে বিক্রি করতেন। মেপে অনেক দামে বিক্রি করার কারণে, সেই সময় সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনে খেতে পারতেন না।

আমরা কেজি দরে তরমুজ কিনব না, আমি প্রতিজ্ঞা করেছি,আপনি?- ওমর সানী

কালিমুল্লাহ দেওয়ান রাজাঃ

কৃষকের লাভ না হলেও, ব্যবসায়ীর পোয়া বারো। কমদামে তরমুজ কিনে এনে কেজি হিসেবে কয়েকগুন বেশি লাভ করছে।

সাধারনের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে হওয়ায় উৎপাদনের তুলনায় বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে, বাধ্য হয়ে নামমাত্র মূল্যে ফরিয়াদের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে কৃষক

যেভাবে তারা পিস হিসেবে কিনে আনে সে হিসাবে লাভ রেখে বিক্রি করলেও যথেষ্ট লাভ থাকে। তাতে পাবলিকের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকে মূল্য।বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজধানীসহ দেশের অনেক অঞ্চলে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমী ফল তরমুজ। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সামাজিক মাধ্যমে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। তারপরো কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর যোগসাজশে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধ করা যায়নি। এবার কেজির দরে তরমুজ বিক্রি নিয়ে মনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী।

হজরত মুসা আ: যুগের মিসরের অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের সঙ্গে দেশের অসাধু তরমুজ ব্যবসায়ীদের তুলনা করে ওমর সানী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ‘ফেরাউনের প্রথম ব্যবসা ছিলো তরমুজের ব্যবসা। ফেরাউন তরমুজ পিস হিসেবে কিনে এনে দাঁড়ি-পাল্লায় মেপে বিক্রি করতেন। মেপে অনেক দামে বিক্রি করার কারণে, সেই সময় সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনে খেতে পারতেন না। আজ থেকে তিন হাজার বছর আগে ফেরাউন ঠিকই মারা গিয়েছে। কিন্তু ফেরাউনের কিছু বংশধর বাংলাদেশে এখনো আছে। তারা রমজান আসলে সকল ধরনের পণ্যসামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দেয়। আল্লাহ এদের হেদায়েত দান করুন।’

এভাবে তরমুজ না কেনার প্রতিজ্ঞা করেছেন জানিয়ে তিনি আরো লেখেন, ‘আমরা কেজি দরে তরমুজ কিনব না, আমি প্রতিজ্ঞা করেছি,আপনি??? কেজি দরে আপনি ঠিকই কিনছেন। কিন্তু সাধারন মানুষ পারছেনা। আপনার ক্রয়ের কারনে লোভী ব্যবসায়ীরা পিসের দিকে ফিরছেই না। ফলে, সাধারন মানুষ কিনতেও পারছেনা।।

ক্রাইম ডায়রি // অর্থ বানিজ্য