বিশ্বমানের পুলিশ তৈরি হবে বাংলাদেশে -- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

করোনাকালীন সময়ে পুলিশের সর্বোচ্চ ত্যাগ জাতী বিস্ময়ের সাথে অবলোকন করেছে। ত্রান বিতরন হতে আরম্ভ করে দাফন এমনকি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভুখা নাঙ্গা মানুষের গৃহে খাবারও পৌছে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে বিশ্বমানের পুলিশ হিসেবে তৈরি করতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করছি। তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে উঠছে। তারা সব সময়ই জনগণের পাশে থাকে। করোনাকালে পুলিশ যেভাবে জনগণকে সেবা দিয়েছে তা সত্যিই অভূতপূর্ব।

বিশ্বমানের পুলিশ তৈরি হবে বাংলাদেশে -- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অনলাইন হতে সংগৃহীত

তানজিনা পারভিন লীলাঃ

স্বাধীনতার পর সোনার বাংলাদেশে সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের। খাকি পোশাক হতে আরম্ভ করে এখন বিশ্বমানের পোশাক ও ট্রেনিং দেয়া হয়ে থাকে পুলিশ বাহিনীতে। বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার সুদীর্ঘ সময়ে ক্ষমতায় থাকায় পুলিশে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। ্আগে পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী করতে মানুষ ইতস্ততঃ বোধ করতো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এবং মর্যাদার কারনে পুলিশ এখন গর্বের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

দেশের সাহসী এবং স্মার্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ আধুনিকায়নের প্রয়োজনীতা  বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার নিকট উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশে বিভিন্ন ধরনের মৌলিক শাখা প্রশাখা বৃদ্ধিসহ অনেক সুযোগ সুবিধাও বৃদ্ধি  পেয়েছে।  

করোনাকালীন সময়ে পুলিশের সর্বোচ্চ ত্যাগ জাতী বিস্ময়ের সাথে অবলোকন করেছে। ত্রান বিতরন হতে আরম্ভ করে দাফন এমনকি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভুখা নাঙ্গা মানুষের গৃহে খাবারও পৌছে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে বিশ্বমানের পুলিশ হিসেবে তৈরি করতে চাই। এজন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করছি। তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে উঠছে। তারা সব সময়ই জনগণের পাশে থাকে। করোনাকালে পুলিশ যেভাবে জনগণকে সেবা দিয়েছে তা সত্যিই অভূতপূর্ব।

এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, করোনায় মৃত্যবরনকারীকে কবর দেয়ার জায়গা খুঁজে না পাওয়ায় সিআইডি পুলিশের সিনিয়র ্এএসপি এডমিন এনায়েত করিম রাসেল নিজ ভিটায় কবর দেয়ার জায়গাও দান করে করোনার প্রথম দিকে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পেরেছিলেন।  হ্যা এরই নাম পুলিশ। আচ্ছা বলেনতো দেখি, দুচারজন কুলাঙ্গার কোথায় নেই। কোন্ ডিপার্টমেন্টে নেই  বা কোন্ পরিবারে নেই? দু’চারজনের জন্য পুরো বাহিনীর  সম্মান কখনই ধুলোয় মিশে যেতে পারেনা।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে দেশে সন্ত্রাসবাদের যেভাবে উত্থান হয়েছে সেখানেও পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন পালন করেছে। ২০১৩ সালে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী আন্দোলনের নামে দেশে যে হত্যা সন্ত্রাস করেছিল তা আপনারা দেখেছেন।

জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ পুলিশ 'রোল মডেল' হিসেবে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দেশ জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), এন্টি টেররিজম ইউনিটসহ (এটিইউ) বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট করা হয়েছে। পুলিশের জন্য যখন যেটা প্রয়োজন আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। পুলিশ স্টাফ কলেজকে বিশ্বমানের করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ সদস্যরা বর্তমানে যেভাবে কাজ করছেন ভবিষ্যতেও সেভাবেই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরো সফলতার সাথে কাজ করে যাবেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের বেশকিছু যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেছেন। কিছু অসংগতির কথা তুলে ধরেছেন। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে যেসব দাবি দাওয়া পূরণ করতে পারবো সেগুলো অচিরেই পূরণ করা হবে। যেসব দাবি দাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শের প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে আমরা উনার সাথে কথা বলবো।

ক্রাইম ডায়রি/ জাতীয়