কুমিল্লায় নারী বন্ধুকে দিয়ে ফাঁদ পেতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার

গ্রেফতারের পূর্বে পলাতক জীবনে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করেন হাবিবুর রহমান। রাকিব উল হাসান, পিতা- আ. রশিদ, মাতা- সুফিয়া বেগম, গ্রাম- পশ্চিম শেখদী, দনিয়া, ডাকঘর- মাতুয়াইল-১৩৬২, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা এই ঠিকানা ধারণ করে ২০১৪ সাল থেকে নির্বাচন অফিস ঢাকার আগারগাঁওয়ে আউট সোর্সিংয়ে চাকরি করে আসছিলেন এ আসামি। তাকে গ্রেফতারের জন্য দীর্ঘ দিন যাবত নানা কৌশল অবলম্বন করে আসছিল পুলিশ।

কুমিল্লায় নারী বন্ধুকে দিয়ে ফাঁদ পেতে  সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার

সাহিদুজ্জামান চৌধুরি, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ

সহকর্মী বন্ধুকে খুন্ করে দীর্ঘ  বাইশ বছর পলাতক তিনি। তার নাম হাবিবুর রহমান। ২০০২ সালে কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি গ্রামের স্বপন হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি, নারী বন্ধুর মাধ্যমে ফাঁদ পেতে মধ্যাহ্ন ভোজের আমন্ত্রণ জানিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর রেইসকোর্স এলাকার ‘রেড রুফ ইন’ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

হাবিবুর রহমান (৪৫) হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে।পুলিশ জানায়, ২০০২ সালের ১৮ মার্চ মাটি কাটার শ্রমিক একই ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি গ্রামের মৃত হাসু মিয়ার ছেলে স্বপন খুন হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ১৯ মার্চ নিহত স্বপনের বাবা হাসু মিয়া মো. ছালাউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, আবদুর রহামান, আবদুল হাকিম, আজিজুল, সুরাইয়া বেগমসহ সাত জনের নামে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে দুই নাম্বার আসামি করা হয় হাবিবুর রহমানকে।

দীর্ঘ চার বছর পর ২০০৬ সালের ১৫ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে আবদুল হাকিমকে খালাস দিয়ে হাবিবুর রহমানসহ বাকী ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ড প্রদানের পূর্বে জামিনে থেকে হাবিবুর রহমান ও আজিজুল পলাতক ছিলেন। এর আগে হাবিবুর রহমান ১ বছর ১১ মাস ১৪ দিন কারাভোগ করেন।

গ্রেফতারের পূর্বে পলাতক জীবনে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করেন হাবিবুর রহমান। রাকিব উল হাসান, পিতা- আ. রশিদ, মাতা- সুফিয়া বেগম, গ্রাম- পশ্চিম শেখদী, দনিয়া, ডাকঘর- মাতুয়াইল-১৩৬২, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা এই ঠিকানা ধারণ করে ২০১৪ সাল থেকে নির্বাচন অফিস ঢাকার আগারগাঁওয়ে আউট সোর্সিংয়ে চাকরি করে আসছিলেন এ আসামি। তাকে গ্রেফতারের জন্য দীর্ঘ দিন যাবত নানা কৌশল অবলম্বন করে আসছিল পুলিশ।

এ ব্যাপারে হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, হাবিবুর রহমানকে আমরা নারীর ফাঁদে ফেলে কৌশলে গ্রেফতার করেছি। প্রায় ৩ মাস পূর্বে কৌশলে তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মহিলা সোর্সের মাধ্যমে ফোনালাপ করিয়ে তাকে নারীর বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলা হয়। ওই নারী বন্ধুর মাধ্যমেই তাকে ঢাকা থেকে কুমিল্লা শহরের রেসকোর্স এলাকার রেড রুফ ইন হোটেলে লাঞ্চের আমন্ত্রণ জানিয়ে আনা হয়। সেখান থেকেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসামিকে গ্রেফতার করে বুধবার কোর্টের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ক্রাইম ডায়রি// আদালত