সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

Meeting of the Ambassador of South Korea with the Minister of State for Culture

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বড় সরদার বাড়ি সংরক্ষণ কাজ কোরিয়ান কোম্পানি ইয়ংওয়ানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে জানান, পানাম সিটি সংরক্ষণেও তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন (H.E. Mr. Lee Jang Keun) আজ সকালে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি'র সঙ্গে তাঁর সচিবালয়স্থ অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বড় সরদার বাড়ি সংরক্ষণ কাজ কোরিয়ান কোম্পানি ইয়ংওয়ানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে জানান, পানাম সিটি সংরক্ষণেও তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, কোরিয়ার রন্ধনশিল্পের সারাবিশ্বে খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আগ্রহী রন্ধনশিল্পীরা যাতে কোরিয়ায় গিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য তিনি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সংস্কৃতির মধ্যে চমৎকার সাদৃশ্য বিদ্যমান। বাংলাদেশের ন্যায় দক্ষিণ কোরিয়াকেও সংগ্রাম করে মাতৃভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে। দু'দেশই ঔপনিবেশিক শাসনাধীন ছিল। তিনি বলেন, আগামী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি হবে। এ উপলক্ষে আমরা বড় ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। রাষ্ট্রদূত বলেন, সংস্কৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা দু'দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৯ সালের ১৪ জুন ঢাকায় দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এ চুক্তির আওতায় সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ২০১৯-২০২৩ মেয়াদে দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তিনি বাংলাদেশ হতে সংস্কৃতি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনারত ও আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও প্রফেশনালদের দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা, নাটক ও সংগীত বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বেশ জনপ্রিয়। তিনি বলেন, ২০১৩ সাল হতে বাংলাদেশে নিয়মিত 'কোরিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব' আয়োজিত হয়ে আসছে। চলতি বছর আগামী ২৪ হতে ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে 'কোরিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব' অনুষ্ঠিত হবে। তিনি প্রতিমন্ত্রীকে এ উৎসবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।

সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-১) মোঃ ফাহিমুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও  উপসচিব ড. মাসুমা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।

ক্রাইম ডায়রি // শিল্প সংস্কৃতি