সংবাদকে আকর্ষণীয় করতে গিয়ে যেন কাউকে অপব্যবহার না করা হয়-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, সংবাদের নামে যেন আমাদের রাষ্ট্র ও মূল চেতনার বেদীমূলে আঘাত যেন কেউ না করে এবং সংবাদকে আকর্ষণীয় করতে গিয়ে যেন কাউকে অপব্যবহার না করা হয়।’

সংবাদকে আকর্ষণীয় করতে গিয়ে যেন কাউকে অপব্যবহার না করা হয়-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ছবি-ক্রাইম ডায়রি

বাংলাদেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং বর্তমান সরকার এই স্বাধীনতা সবসময় বজায় রাখতে চায়।

 শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

হালের সবচেয়ে ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক নেতা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং বর্তমান সরকার এই স্বাধীনতা সবসময় বজায় রাখতে চায়। লক্ষ্য রাখতে হবে, সংবাদের নামে যেন আমাদের রাষ্ট্র ও মূল চেতনার বেদীমূলে আঘাত যেন কেউ না করে এবং সংবাদকে আকর্ষণীয় করতে গিয়ে যেন কাউকে অপব্যবহার না করা হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করি। আমরা বিশ্বাস করি, সমাজ ও গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ অপরিহার্য। আওয়ামী লীগ শুধু সরকারে থাকা অবস্থায় নয়, বিরোধী দলে থাকার সময়ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে। আসুন দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করি।’

এপ্রিল ৩,২০২৩ইং  সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সম্পাদক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন স্বাগত বক্তব্য দেন। সম্পাদক ফোরামকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদের নামে যা পরিবেশন করেছে, তা যে একইসাথে দায়িত্বহীন এবং রাষ্ট্রবিরোধী, সেটি সম্পাদক ফোরাম তাদের বিবৃতিতে পরিষ্কারভাবে বলেছে।’

সভাপতির বক্তৃতায় দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্র না থাকলে নাগরিকেরই অস্তিত্ব থাকে না, তাই রাষ্ট্রবিরোধী সংবাদ পরিবেশন কখনো সাংবাদিকতা হতে পারে না, এটি অপসাংবাদিকতা।’

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ডিএফপির মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, এডিটরস গিল্ড নেতা মোল্লাহ আমজাদ হোসেন,আমার বার্তা সম্পাদক জসীম উদ্দীন, সিটিজেন টাইম সম্পাদক তৌফিক হোসেন, সম্পাদক ফোরাম নেতা দুলাল আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রতিদিন সম্পাদক অয়ন শর্মা, ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন, দৈনিক ভোরের আকাশের উপদেষ্টা সম্পাদক মোতাহার হোসেন, সংবাদ সারাবেলার সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সাউথ এশিয়ান টাইম সম্পাদক দীপক আচার্য, কান্ট্রি টুডের সম্পাদক হেমায়েত হোসেন, দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন, বাংলাদেশ কণ্ঠের সম্পাদক ফারুক খান, সকালের সময়ের সম্পাদক নুর হাকিম, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাজাহান সরদার, শরীফ শাহাবুদ্দিন, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ বুলেটিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আশরাফ আলী, সংবাদ প্রতিদিন সম্পাদক রিমন মাহফুজ বাংলাদেশের আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মফিজুর রহমান খান বাবু,  প্রমুখ সভায় যোগ দেন। 

ক্রাইম ডায়রি/ রাজধানী