হতবাক পুরো দেশঃ পুলিশের হাতের কব্জি কাটার হুমকি নারী ইউপি সদস্যের

The whole country is shocked: women, UP members threaten to cut off the wrists of police

হতবাক পুরো দেশঃ পুলিশের হাতের কব্জি কাটার হুমকি নারী ইউপি সদস্যের

এত্তবড় দুঃসাহস সে কোথায়  পেল? অন্যায় করবে আবার জোর গলায় কথাও বলবে। খুঁটির এত্ত জোর অপরাধীদের যে তা দেখে রীতিমতো অবাকই হতে হয়। বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আদর্শিক সোনার বাংলার গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত ; যখন কোন অন্যায় কারী এমনকি; নিজ দলের বাঘা নেতারা পর্যন্ত অপরাধ করে পার পাচ্ছে না তখন সমাজে অন্যায়ের বিষবাস্প ছড়িয়ে এমন কথা বলার সাহস এরা কি করে পায়, তা জাতি জানতে চায়। সম্প্রতি পুলিশের একজন আদর্শ কর্মকর্তা যিনি তার ভাল কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া জগতে খুবই সুপরিচিত একটি নাম সেই পুলিশ অফিসার সালেহ ইমরানের হাতের কব্জি কাটতে চাওয়ায় সত্যিই বিস্মিত পুরো দেশ। তবে কি সত্য বলা বন্ধ হবে?? নাকি একজন অপরাধী সাজা পাবে এটাই এখন দেখার বিষয়।

ক্রাইম ডায়রি ডেস্কঃ

এত্তবড় দুঃসাহস সে কোথায়  পেল? অন্যায় করবে আবার জোর গলায় কথাও বলবে। খুঁটির এত্ত জোর অপরাধীদের যে তা দেখে রীতিমতো অবাকই হতে হয়। বঙ্গকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আদর্শিক সোনার বাংলার গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত ; যখন কোন অন্যায় কারী এমনকি; নিজ দলের বাঘা নেতারা পর্যন্ত অপরাধ করে পার পাচ্ছে না তখন সমাজে অন্যায়ের বিষবাস্প ছড়িয়ে এমন কথা বলার সাহস এরা কি করে পায়, তা জাতি জানতে চায়। সম্প্রতি পুলিশের একজন আদর্শ কর্মকর্তা যিনি তার ভাল কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া জগতে খুবই সুপরিচিত একটি নাম সেই পুলিশ অফিসার সালেহ ইমরানের হাতের কব্জি কাটতে চাওয়ায় সত্যিই বিস্মিত পুরো দেশ। তবে কি সত্য বলা বন্ধ হবে?? নাকি একজন অপরাধী সাজা পাবে এটাই এখন দেখার বিষয়।  ঘটনা ‍সুত্রে জানা গেছে,  পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হাতের কবজি কাটার হুমকি নারী ইউপি সদস্যের ফেসবুকে সংবাদ শেয়ার করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর সালেহ ইমরান, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রই উদ্দিন ও সাংবাদিকদের হাতের কব্জি কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্যা হাজেরা খাতুন পারুল। এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন উক্ত পুলিশ সদস্য ও মামলার একজন স্বাক্ষী রইস উদ্দিন খান।

এ বিষয়ে শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) পুলিশের কর্মকর্তা মো. সালেহ ইমরান নিজে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ৬৯৭) করেন এবং ১৪ জানুয়ারি রইজ খান বাদী হয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৬৫৯) করেছেন। থানায় লিখিত সাধারণ ডায়েরি বিবরণে জানা যায়, উপজেলার কাচিনা ইউনিয়ন সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোছা. হাজেরা খাতুন পারুল তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১০-১৫ জন লোক সালেহ ইমরানের গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকের ৯ একর জমি ১৬ বছর আগে মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে জাল-জালিয়াতির দলিল করার মাধ্যমে ঢাকা দিলকুশা শাখা অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১৭ কোটি টাকার লোন অনুমোদন করে নেয়। পরে জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ সালেহ ইমরানের শরণাপন্ন হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে মিডিয়া এবং প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে তাদের সহযোগিতায় ওই লোনটি অনুমোদন হওয়ার পরও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা স্থগিত করে দেয়। পরবর্তীতে ওই জালিয়াতি এবং দুর্নীতি নিয়ে কাদিগড় গ্রামের মো. সমর আলী এবং হাবিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর যথাক্রমে ভালুকা সিআর ৪২০/২০১৯ এবং ৫৩০/২০১৯। মামলা দুটি পিবিআই তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মোছা. হাজেরা খাতুন পারুলসহ ১০ জনের নামে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি মোছা. হাজেরা খাতুন পারুলসহ আসামিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। খবরটি নিউজনাউ টোয়েন্টিফোরসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা গুরুত্বের সাথে প্রচার করে। লোন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং এসব খবর পত্রিকায় আসার জের ধরে সাব-ইন্সপেক্টর মো. সালেহ ইমরানের প্রতি মারাত্মকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইউপি নারী সদস্য মোছা. হাজেরা খাতুন পারুল। এরপর চলতি মাসের ৮ তারিখ দুপুর ২টার দিকে কাচিনা বাজারে কবিরের চায়ের দোকানে কাচিনা ইউনিয়ন পরিষদের কাদিগড় গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, কাদিগর গ্রামের মোজাম্মেল ও হানিফসহ আনুমানিক ১৫ জন মানুষের সামনে প্রকাশ্যে সাব-ইন্সপেক্টর মো. সালেহ ইমরান ও রইস উদ্দিনের হাতের কব্জি কেটে ফেলার হুমকি দেন সংরক্ষিত ইউপি মহিলা সদস্য মোছা. হাজেরা খাতুন পারুল। তিনি উপস্থিত মানুষের সামনে এও বলেন, ‘ডরাইলেই ডরে খায়, ঠেইল্লা দিলে কিছুই না।’ এ বিষয়ে সাব-ইন্সপেক্টর মো. সালেহ ইমরান নিউজনাউকে বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি যেখানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কথা সেখানে তিনি তা না করে বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় প্রকাশ্যে যেভাবে আমাকে হুমকি দিয়েছেন, তাতে তার সহযোগী আসামিদের যোগসাজশে আমি এবং আমার পরিবারের যেকোনো ক্ষতি হতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি।’ পুলিশ কর্মকর্তার হাতের কব্জি কাটার ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত হাজেরা খাতুন পারুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নোটঃ সকল প্রকার অনিয়ম ও অপরাধের খবর জানাতে এবং জানতে ক্রাইম ডায়রির সাথেই থাকুন। ভিজিট করুন আমাদের সকল নিউজ সাইটে। পত্রিকার জন্য হকারকে বলুন।।

ক্রাইম ডায়রি//অপরাধজগত