যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি চালুর পরও তাদের কোনো শুভবুদ্ধির উদয় হয়নি- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

আগামী নির্বাচন প্রতিযোগীতাপূর্ণ হোক এবং দেশের জনগণ আগামীর সরকার নির্বাচিত করুক, সেটিই সরকার চায়, সেটিই জননেত্রী শেখ হাসিনা চায়, সেটিই আওয়ামী লীগ চায়।

শাহাদাত হোসেন রিটনঃ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতিতে এটা স্পষ্ট করেছে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি তাদের কোনো সমর্থন নেই। একটি সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক সেটিই তারা চায়। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেবে বা নির্বাচন প্রতিহত করবে তাদের বিরুদ্ধে এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে। আগামী নির্বাচন প্রতিযোগীতাপূর্ণ হোক এবং দেশের জনগণ আগামীর সরকার নির্বাচিত করুক, সেটিই সরকার চায়, সেটিই জননেত্রী শেখ হাসিনা চায়, সেটিই আওয়ামী লীগ চায়।

এ সময় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিচারের রায় উচ্চ আদালতে বহাল থাকা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বিরূপ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছে। আমান সাহেব আর টুকু সাহেবের মামলা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। তারা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন, হাইকোর্ট সেই রায় বহাল রেখেছেন। আবার গয়েশ্বর বাবুসহ আরও অনেকে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ একইসঙ্গে সেখানে পুলিশ ও জনতার ওপর হামলা পরিচালনা করা সত্ত্বে তারা যে আগাম জামিন পেয়েছেন এতেই তো প্রমাণ হয় আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করেন। এর চেয়ে আর বড় প্রমাণ তো দরকার নেই।

নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তার প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখেই বলতে চাই, দুর্নীতি দমন কমিশন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সত্যতা পেয়েছে বিধায় মামলা করেছে। কারণ তিনি শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ তাদের না দিয়ে শ্রমিক নেতাদের অ্যাকাউন্টে ঘুস হিসাবে ট্রান্সফার করেছেন। সেজন্য মামলায় তার সঙ্গে নেতারাও আসামি হয়েছেন। এখানে দুর্নীতি হয়েছে, অনিয়ম হয়েছে সেটিই দুদক বলছে এবং সেজন্য মামলা হয়েছে। 

হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন, যারা মানুষের কাছ থেকে যোজন যোজন দূরে থাকেন তাদের পক্ষে রাজনৈতিক দল করা সহজ নয়। রাজনীতি করতে হলে সাধারণ মানুষের কাতারে নামতে হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকতে হয়। নিজের পরিবারের চেয়েও সাধারণ মানুষকে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। সেটি যারা করতে পারে না, তাদের পক্ষে রাজনৈতিক দল বা রাজনীতি করা সম্ভব নয়। তারা কেউ কেউ মন্ত্রী হতে পারেন কিন্তু রাজনীতিবিদ বা গণমানুষের নেতা হওয়া তাদের পক্ষে কখনো সম্ভবপর নয়।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য ‘উই নিড ফুড, নট টোব্যাকো’ অনুসারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিপাদ্য ‘তামাক নয় খাদ্য ফলান’ উলে­খ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে তামাকের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। সারা জীবন একটিও সিগারেট বা তামাক গ্রহণ করিনি। পৃথিবীতে বহু ক্ষুধার্ত মানুষ আছেন। তামাক চাষের চেয়ে তাদের জন্য খাদ্য ফলানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

ক্রাইম ডায়রি/রাজনীতি