ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনের মুক্তি মিলল নাঃ রিভিউ আবেদন খারিজ

Destiny MD Rafiqul Amin was not released: Review application rejected

ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনের মুক্তি মিলল নাঃ রিভিউ আবেদন খারিজ

মহামান্য আদালতে রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট খুরশীদ আলম খান

শাহাদাত হোসেন রিটনঃ 

ডেসটিনির যখন সুসময় ছিল তখন তিনি ছিলেন লাখো যুবকের হৃদয়ের স্পন্দন।  এমনও বলতে শোনা গেছে তার অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শোনার জন্য ডেসটিনির কর্মীরা যেকোন অনুষ্ঠানে যেত।

দীর্ঘদিন হলো তিনি অর্থ পাচার ও কোটি মানুষকে ঠকিয়ে হাজারকোটি টাকার সম্পদ গড়ে জেলে আছেন।

অর্থপাচার মামলায় রফিকুল আমীনের জামিন প্রশ্নে করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। মাননীয় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিজ্ঞ আপিল বিভাগ জানুয়ারি ১৩,২০২২ইং বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।

মহামান্য আদালতে রফিকুল আমীনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

জানা গেছে,  আপিল বিভাগ তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো শর্তই তিনি পূরণ করতে পারেননি। পরে আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। সেই আদেশের রিভিউ আপিল বিভাগ আজ খারিজ করে দিয়েছেন।

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের অভিযোগে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দু'টি মামলা করে দুদক।

 মামলায় রফিকুল আমীনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়েছিলো, ছয় সপ্তাহের মধ্যে ৩৫ লাখ গাছ বিক্রি করে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে সরকারি কোষাগারে।

 এই অর্থ জমা দেয়ার কপি নিম্নআদালতে দাখিল করলেই জামিন পাবেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসেন। তবে আপিল বিভাগের এই আদেশ প্রতিপালন করেননি রফিকুল আমীন।

উল্লেখ্য যে, গত ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনি গ্রুপের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি মামলা করে। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ১৯ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতি মামলার ৪৬ জনকে আসামি করা হয়।

ক্রাইম ডায়রি // আদালত //সূত্র : বাসস