দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত দুদকের দুই কর্মকর্তা

আসলের বিপরীতে যেমন নকলের ছড়াছড়ি তেমনি দুদক নামের এই ভাল প্রতিষ্ঠানে ভেজাল থাকবেই আর এই চিরসত্য সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই চিরসত্য।

দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত দুদকের দুই কর্মকর্তা
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান পাবনায় উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিসকক্ষে মো. সামছুল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ৭৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।

ডেস্ক রিপোর্ট:

আপোসহীন একটি প্রতিষ্ঠান দুদক। প্রত্যেক ভাল কাজেরেই যেমন মন্দ দিক থাকে এবং প্রত্যেক আসলের বিপরীতে যেমন নকলের ছড়াছড়ি তেমনি দুদক নামের এই ভাল প্রতিষ্ঠানে ভেজাল থাকবেই আর এই চিরসত্য সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই চিরসত্য। সম্প্রতি, সহকারী পরিচালক ও উপসহকারী পরিচালক পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর স্বাক্ষর করা আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আর এতে দুদকের স্বচ্ছতা ও সততা সংরক্ষনেরই পরিচয় বহন করে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও উপসহকারী পরিচালক সুদীপ কুমার চৌধুরী। এর আগে গত ১২ জুলাই ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এ দুই কর্মকর্তাকে নিজ কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল। সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে, সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান পাবনায় উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিসকক্ষে মো. সামছুল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ৭৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। গত ২৬ জুন এসংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ দেশের দুটি বেসরকারি টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রচারিত হয়।

অন্যদিকে সুদীপ কুমার চৌধুরীর বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে, বগুড়ায় উপসহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তিনি বগুড়া জেলা পুলিশে গোয়েন্দা বিভাগের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেনের সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাস দেন। তখন তার কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন। এ ছাড়া ঘুষ গ্রহণের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড দুদকের ফরেনসিক ল্যাব বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা সুদীপ কুমারের বলে জানিয়েছেন।
আদেশে বলা হয়, অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানকে দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর ৩৯ (খ) ও ৩৯(ঙ) বিধি মোতাবেক যথাক্রমে অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দায়ের করায় এবং ওই বিধিমালার ৪৩(১) বিধি অনুযায়ী এবং সুদীপ কুমার চৌধুরীকে দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর ৩৯(খ), ৩৯(ঙ) ও ৩৯ (চ) বিধি অনুযায়ী যথাক্রমে অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে বিধিমালার ৪৩(১) বিধি অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা যুক্তিযুক্ত ও অপরিহার্য মনে করেছে কমিশন।

ক্রাইম ডায়রি/ আদালত