দেশেই তৈরি হবে করোনার ভ্যাকসিন-বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা

"বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার এই কথা মহান আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। দেশে আজ গবেষক বিজ্ঞানীদের মূল্যায়ন করে তাদের জন্য আলাদা বলয় গড়ে তোলা দরকার। দেশের বিজ্ঞানীরা বাইরের দেশে গিয়ে সফলতা আনছে অথচ আজ দেশেই তাদের বড্ড প্রয়োজন। "

দেশেই তৈরি হবে করোনার ভ্যাকসিন-বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা

উল্লেখ্য যে, বঙ্গকন্যা  শেখ হাসিনা দেশে বিজ্ঞানী গবেষকদের মূল্যায়ন করার প্রতি জোর দিয়ে থাকেন। সোনার বাংলা গড়ার জন্য দেশে আজ বিজ্ঞানী প্রয়োজন। পাকিস্তানের মত দেশ যদি এত আভ্যন্তরীন অশান্তি নিয়ে একজন সালাম তৈরী করতে পারে পারমাণবিক শক্তিধর হতে পারে বাংলাদেশ তবে কেন নয়? প্রধানমন্ত্রীর কথায় সুর মিলিয়ে সবাইকে উদ্ভাবনী কাজে মনোযোগী হওয়া এখন সময়ের দাবী

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

বঙ্গকন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেশে নিজেরাই ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই। ভ্যাকসিন তৈরির যে বাধাগুলো আছে, সেগুলো আপনাদের সরিয়ে দিয়ে উন্মুক্ত করতে হবে। এটি জনগণের প্রাপ্য।

আয়রন লেডি বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা আরও  বলেন, সারাবিশ্বের কোনো মানুষ যেন ভ্যাকসিন থেকে দূরে থাকতে না পারে। এটা বিব মানবতার মানবিক অধিকার। আমাদের সুযোগ দিলে আমরা উৎপাদন করব। আমরা বিশ্বে দিতে পারব, সে সক্ষমতা আমাদের আছে। (টিকা উৎপাদনের ল্যাব তৈরির জন্য) জমিও নিয়ে রেখেছি। এভাবে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

সোমবার জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনের এক সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সাম্প্রতিক সফরে দেওয়া বক্তৃতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের যে সাফল্য, তা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে—  আমি এটিও বলে এসেছি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পুরস্কার চালু করায় জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে সংসদে একটি প্রস্তাব তোলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ। 

এই প্রস্তাব ওঠানোর পর তা নিয়ে আলোচনা করেন সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। আলোচনা শেষে সংসদে সেটি সর্বস্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে জাতির পিতার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। 

১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ আমাদের কিছু ইয়াং সংসদ সদস্য সবাই মিলেই কিন্তু ইয়াংবাংলা স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়েছে। এই প্রোগ্রামের জন্য আমরা বিশেষ বরাদ্দও রেখেছি। ছেলেমেয়েরা যদি কেউ উদ্যোগ নিতে চায় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াব। অনলাইনে কেনাবেচা, ই-কমার্স, টেন্ডার— এগুলো তো (ইতোমধ্যে) হয়েছে বাংলাদেশে। সামনে আরও সময় আছে, আরও হবে। এক দিনে তো হয় না, ধাপে ধাপে করতে হয়।

বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তন করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। উগান্ডার মোটিভ ক্রিয়েশনের মতো বাংলাদেশের যুবসমাজও এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, উগান্ডা আজ এই পুরস্কার পেয়েছে। একদিন ইনশাল্লাহ বাংলাদেশেরও কোনো না কোনো উদ্যোক্তা এই পুরস্কার পাবে বলে আমি আশা করি। 

উল্লেখ্য যে, বঙ্গকন্যা  শেখ হাসিনা দেশে বিজ্ঞানী গবেষকদের মূল্যায়ন করার প্রতি জোর দিয়ে থাকেন। সোনার বাংলা গড়ার জন্য দেশে আজ বিজ্ঞানী প্রয়োজন। পাকিস্তানের মত দেশ যদি এত আভ্যন্তরীন অশান্তি নিয়ে একজন সালাম তৈরী করতে পারে পারমাণবিক শক্তিধর হতে পারে বাংলাদেশ তবে কেন নয়? প্রধানমন্ত্রীর কথায় সুর মিলিয়ে সবাইকে উদ্ভাবনী কাজে মনোযোগী হওয়া এখন সময়ের দাবী।

ক্রাইম ডায়রি // জাতীয়