ভোট দিয়ে সরকার গঠনের অপেক্ষায় সাধারন মানুষ: আমির খসরু

জনগণের সরকারের জন্য দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনীতিকরা যত ধরনের সংস্কারের কথা বলছেন, নির্বাচিত সরকার সে কাজ করবে। 

ভোট দিয়ে সরকার গঠনের অপেক্ষায় সাধারন মানুষ: আমির খসরু
ছবি- অনলাইন হতে সংগৃহীত

প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কোনো লজ্জা নেই, অডিও দেন, ভিডিও দেন। নাটক চলছে।

অনলাইন ডেস্ক:

 বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সবার অধিকার সমুন্নত রেখে আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়তে হবে। কারণ, আমরা তো অধিকারের জন্য লড়াই করেছি, জীবন দিয়েছি, জেলে গিয়েছি। সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার কারও ক্ষমতা নেই। সে কারণেই মানুষ ভোট দিয়ে সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষায় আছে। কারণ, জনগণের সরকারের জবাবদিহি আছে, অন্য কোনো সরকারের জবাবদিহি নেই। তাই জনগণের সরকারের জন্য দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনীতিকরা যত ধরনের সংস্কারের কথা বলছেন, নির্বাচিত সরকার সে কাজ করবে। 

সোমবার নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় এবং চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন এবং চসিক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে আমির খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে যদি রাজনৈতিকভাবে বাতিল করতে হয়, সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে করা সবচেয়ে সহজ। সেই বাতিল হবে স্থায়ী বাতিল, অন্য বাতিল কিন্তু কাজ করে না। অন্য ধরনের বাতিলে গেলে সে বাতিল সাময়িক কাজ করবে তবে দীর্ঘমেয়াদি হবে না। আওয়ামী লীগকে জনগণ যখন বাতিল করবে, সেটিই হচ্ছে আসল বাতিল। আমাদের ওইদিকে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার করলে আপত্তি নেই। তবে সবচেয়ে বড় সংস্কার নির্বাচনি সংস্কার। এত সংস্কারের কথা শুনছি কিন্তু নির্বাচনি সংস্কারের কথা শুনছি না। বিএনপি যদি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যায়, তাহলে দেশ সংস্কারের যে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করবে।’

প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। কোনো লজ্জা নেই, অডিও দেন, ভিডিও দেন। নাটক চলছে।’ 

সংবর্ধিত অতিথি চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস জানতে হলে একাত্তরের ইতিহাস জানতে হবে। এ ইতিহাস জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে রচিত হতে পারে না। একাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত একটা ইতিহাস, ৭৫-এর ৭ নভেম্বর থেকে আরেকটি ইতিহাস। জিয়াউর রহমানের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এটাই হচ্ছে সঠিক ইতিহাস।’ 

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিএমইউজের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

ক্রাইম ডায়রি// রাজনীতি