ক্যাসিনো পাড়ার ক্যাশিয়ার খ্যাত আরমানের হ্যারিয়ার গাড়ি জব্দ করেছে দুদক

The ACC has seized Arman's Harrier car, a well-known cashier in the casino business

ক্যাসিনো পাড়ার ক্যাশিয়ার খ্যাত আরমানের হ্যারিয়ার গাড়ি জব্দ করেছে দুদক

পূবালী ব্যাংকের কমলাপুর শাখা থেকে ৩৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন যুবলীগ নেতা আরমান।  রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে ঋণ নেন তিনি। ঋণের সামন্য কিছু টাকা পরিশোধ করলেও বড় অংশ এখনও বকেয়া। সেই ঋণের সূত্র ধরেই গাড়িটির সন্ধান পায় দুদক।

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

সারাদেশে দূর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ক্যাসিনো কিং  ইসমাইল হোসেন সম্রাটের একাউন্টস কাম ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা এনামুল হক আরমানের বিলাসবহুল হ্যারিয়ার ব্রান্ডের গাড়িটি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগষ্ট ২৫,২০২১ইং  বিকেলে ঢাকা মহানগরীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গাড়িটি জব্দ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল।  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ওরফে ‘ক্যাসিনো সম্রাটের’ খুব কাছের  মানুষ কাম ক্যাশিয়ার ছিল সে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে,  খোরশেদ আলম নামে এক ব্যবসায়ীর হেফাজত থেকে গাড়িটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫৭৮৭২) উদ্ধার করা হয়েছে।  আরমান গ্রেফতারের পর  গাড়িটি তাকে  ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছিল। কালো রংয়ের বিলাসবহুল গাড়িটির কাগজপত্র জব্দ করা হেফাজতে নিয়েছে দুদক।

পুবালী ব্যাংকের একটি সুত্রে জানা গেছে, এই গাড়ির বিপরীতে পূবালী ব্যাংকের কমলাপুর শাখা থেকে ৩৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন যুবলীগ নেতা আরমান।  রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে ঋণ নেন তিনি। ঋণের সামন্য কিছু টাকা পরিশোধ করলেও বড় অংশ এখনও বকেয়া। সেই ঋণের সূত্র ধরেই গাড়িটির সন্ধান পায় দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন গাড়ি জব্দের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিস্তারিত তথ্য এই মুহুর্তে  সাংবাদিকদের জানাতে চাননি।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির টাকার বড় অংশ আরমানের কাছে রাখতেন সম্রাট। ‘লাগেজ পার্টি’ থেকে যুবলীগ, ক্যাসিনো ও সিনেমা প্রযোজক হয়ে আরমান দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সব জায়গা।

৯০ এর দশকে বিদেশ থেকে ‘লাগেজ পার্টির’ আনা ইলেকট্রনিক পণ্য বায়তুল মোকাররম এলাকার দোকানে দোকানে বিক্রি করতেন এই যুবলীগ নেতা।  পরে নিজেই লাগেজ পার্টির কারবারে যুক্ত হন। ২০১৩ সালে যুবলীগের পদ পেয়ে অল্প সময়ে গড়ে তোলেন বিত্তবৈভব। জুয়া-ক্যাসিনোর টাকায় নামেন সিনেমা প্রযোজনায়ও।

প্রসঙ্গতঃ সম্রাটের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুত্র ধরে ২০১৩ সালের দিকে  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতির পদ বাগিয়ে নেন আরমান।        এরপর হতে সম্রাটের  আশির্বাদে  ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনো ও জুয়া-বাণিজ্যের অন্যতম গডফাদারে পরিণত হন তিনি।  তিনিই সম্রাটকে ক্যাসিনো ব্যবসা করতে আগ্রহী করেন বলে  এলাকায় প্রচার হতো একসময়।  সম্রাটের ক্যাসিনো বানিজ্য দেখভাল করতেন তিনি।

ক্রাইম ডায়রি//ক্রাইম//রাজধানী