গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে- প্রশ্নের জবাবে সংসদে তথ্যমন্ত্রী

Work is underway to create public awareness against rumors and propaganda, the Information Minister said in Parliament

গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে- প্রশ্নের জবাবে সংসদে তথ্যমন্ত্রী

বিরোধী শিবিরের আতংক , যৌক্তিক কথা বলা মানুষ , যুব সমাজের আইডল তথ্য মন্ত্রী সংসদকে জানান, সরকার বিশ্বাস করে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একান্ত সহায়ক। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে দেশে দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা ৪৪৫ থেকে এক হাজার ৩০০ উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি মিডিয়া তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পত্রিকাগুলোতে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদান ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের সুযোগ দিয়ে সংবাদপত্রকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়।

শরীফা আক্তার স্বর্নাঃ

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন গুজব ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একান্ত সহায়ক বলে সরকার মনে করে। জাতীয় সংসদের  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে মো. আবদুস শহীদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে গুজব ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে বাংলাদেশ টেলিভিশন বর্তমানে জনসচেতনামূলক বিভিন্ন স্পট ও ফিলার নিয়মিতভাবে প্রচার করে আসছে। প্রচার করা অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- গুজবে কান দেবেন না, গুজবে জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে পুলিশ-র‌্যাব, গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করুন, বিশেষ সতর্কী গুজব ছড়াবেন না (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম), গুজব ছড়াবেন না আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না ইত্যাদি।

মো. আমিনুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে বিরোধী শিবিরের আতংক , যৌক্তিক কথা বলা মানুষ , যুব সমাজের আইডল তথ্য মন্ত্রী সংসদকে জানান, সরকার বিশ্বাস করে সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একান্ত সহায়ক। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে দেশে দৈনিক সংবাদপত্রের সংখ্যা ৪৪৫ থেকে এক হাজার ৩০০ উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি মিডিয়া তালিকাভুক্তির মাধ্যমে পত্রিকাগুলোতে সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদান ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের সুযোগ দিয়ে সংবাদপত্রকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এর আওতায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৪০ জন সাংবাদিককে ১৪ কোটি ৭ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যা সারা দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। তাছাড়া নিয়মিতভাবে সরকার অসুস্থ অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে। করোনাকালে সমস্যা মোকাবিলায় সারা দেশে তিন হাজার সাংবাদিককে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যা উপমহাদেশের অন্য কোনো দেশে করা হয়নি।  তিনি জানান, সাংবাদিকদের কল্যাণে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নকারী সংবাদপত্রকে বিনাশুল্কে নিউজপ্রিন্ট প্রদান করা হয় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ক্রাইম ডায়রি// জাতীয়